ফিরে দেখাঃ জীবনানন্দ দাশ by ইমরান রহমান

বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী কবি জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে সে বছরেরই ১৪ অক্টোবর কলকাতার বালিগঞ্জে এক ট্রাম দুর্ঘটনায় তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। অসাধারণ প্রতিভাধর এ কবির জন্ম হয় ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে। তার বাবার নাম সত্যানন্দ দাশ ও মাতা কুসুমকুমারী দাশ। সত্যানন্দ দাশ ছিলেন স্কুল শিক্ষক, পত্রিকা সম্পাদক ও প্রবন্ব্দকার। মা-বাবার কাছেই জীবনানন্দের শিক্ষায় হাতেখড়ি।

বরিশাল ব্রজমোহন স্কুলে তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনের শুরু। পরে ব্রজমোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। পরবর্তীকালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৩০ সালে শ্রীমতী লাবণ্য গুহের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। তাদের ঘরে দু’সন্তান জন্ম নেয়। জীবনানন্দের মাও কবিতা লিখতেন, যার প্রভাব পড়েছিল জীবনানন্দের ওপর। ১৯১৯ সালে জীবনানন্দের লেখা প্রথম কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এ কবিতার নাম ‘বর্ষা আবাহন’। জীবদ্দশায় তার ৭টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। কাব্য সঙ্কলন ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’তেই তার স্বকীয় কাব্য কৌশল পরিসম্ফুট হয়। মূলত কবি হলেও অর্থের প্রয়োজনে তিনি কিছু প্রবন্ব্দ লিখে ছিলেন ও প্রকাশ করেছিলেন। প্রচারবিমুখ জীবনানন্দের ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থটি বাংলা ১৩৫৯-এর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ হিসেবে পুরস্কৃত হয়। ‘ঝরা পালক’, ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’, ‘বনলতা সেন’, ‘মহাপৃথিবী’, ‘রূপসী বাংলা’, ‘বেলা অবেলা কালবেলা’, ‘মহা পৃথিবী’ ‘সাতটি তারার তিমির’ প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ জীবনানন্দকে অমর করেই রাখেনি, বাংলা সাহিত্যভাণ্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ।

No comments

Powered by Blogger.