নির্বাহী ও নিরীক্ষা কমিটি ছাড়া অন্য কমিটি করা যাবে না-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা কমিটির দায়িত্ব নির্ধারণ

নির্বাহী কমিটি ও নিরীক্ষা কমিটি ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পর্ষদ অন্য কোনো স্থায়ী বা অস্থায়ী কমিটি বা সাব-কমিটি গঠন করতে পারবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের নিরীক্ষা কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এ সংক্রান্ত দুটি নির্দেশনা দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।নিদের্শনায় নিরীক্ষা কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য, সাংগঠনিক কাঠামো, কমিটির সদস্য হওয়ার উপযুক্ততা ও সভা আহ্বানসংক্রান্ত বিষয়গুলো রয়েছে। এর আগে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য এভাবে সুনির্দিষ্ট করা ছিল না।


আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা (বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য সংস্থা) প্রণীত বিধি-বিধান এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পর্ষদ অনুমোদিত অভ্যন্তরীণ নিয়ম-নীতি যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কি না, তা পর্যালোচনা করবে নিরীক্ষা কমিটি।
নির্দেশনা অনুসারে, এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরীক্ষা কমিটি হতে হবে পাঁচ সদস্যের। এর একজন হবেন সভাপতি। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, শেয়ারধারী, আমানতকারী ও অন্যান্য স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের (স্টেক-হোল্ডার) সেতুবন্ধন হিসেবে এই নিরীক্ষা কমিটি কাজ করবে। প্রতিষ্ঠানে একটি দক্ষ, শক্তিশালী ও নিরাপদ অর্থায়ন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিরীক্ষা কমিটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে নিরীক্ষা কমিটির সদস্যরা তিন বছরের জন্য নিয়োগ পাবেন। প্রতিষ্ঠানের কম্পানি-সচিব নিরীক্ষা কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কমিটির সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিচালকের সততা, নিষ্ঠা ও কমিটির কাজে পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করার সুযোগ আছে কি না, তা বিবেচনা করতে হবে। একই সঙ্গে কমিটির কাজে ফলপ্রসূ ও কার্যকর অবদান রাখতে পারবেন_এমন পরিচালকদেরই কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দিতে হবে। আবার কমিটির সদস্যদের সাধারণভাবে অর্থায়ন ব্যবসা, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা এবং বিবিধ ঝুঁকিসহ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.