বিশ্বজুড়ে সামাজিক অস্থিরতায় রূপ নিচ্ছে বেকারত্ব-দুই বছরে ৮ কোটি চাকরির প্রয়োজন, সৃষ্টি হবে ৪ কোটি

গামী দুই বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে আট কোটি চাকরির প্রয়োজন হলেও সৃষ্টি হবে তার মাত্র অর্ধেক। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সতর্ক করে দিয়ে বলছে, বিশ্বজুড়ে চাকরির বাজারে খরা তৈরি হওয়ায় সামাজিক অস্থিরতা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট থেকে পুঁজিবাদবিরোধী যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এটা তারই প্রতিফলন।প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আইএলওর গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান রেমন্ড তোরস বলেন, 'আমরা হিসাব করে দেখেছি, আগামী দুই বছর বিশ্বে বেকারত্বের হার কমিয়ে আনতে চাকরি প্রয়োজন আট কোটি, যা ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া সংকটের পূর্বে ছিল।


কিন্তু বর্তমান যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা অব্যাহত থাকলে চাকরি সৃষ্টি হবে মাত্র চার কোটি, যা প্রয়োজনের অর্ধেক।' আইএলওর মতে, এ চাকরির বেশির ভাগই সৃষ্টি হবে উন্নয়নশীল বিশ্বে। যেখানে মাত্র ২৫ লাখ চাকরি তৈরি হবে উন্নত বিশ্বে। কর্মসংস্থানের এ করুণ অবস্থা সমাজে একধরনের ক্ষত তৈরি করছে। ফলে এ প্রজন্ম শুধু কর্মহীনই হচ্ছে না, ভবিষ্যতের মুজরিও কমে যাচ্ছে। এতে বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ওপর যুবকদের অনাস্থা তৈরি হচ্ছে। আইএলও বলছে, কিছু কিছু দেশে সন্ত্রাস বাড়ছে, মাদকের ব্যবহার বাড়ছে এবং বাড়ছে হতাশা। এসব কিছুই একটি বাস্তবতার চূড়ান্ত পরিণতি। আর তা হচ্ছে কর্মসংস্থান না হওয়ায় যুবসমাজ দিন দিন ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ছে। এতে তারা হয়ে উঠছে ক্ষুব্ধ ও সহিংস।
২০১০ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বজুড়ে বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি, যা যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ। আইএলওর মতে, ২০১১ সালে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। প্রতিষ্ঠানটি সতর্ক করে দিয়ে বলছে, ১১৮ দেশে গবেষণা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ দেশেই চাকরি সংকটের কারণে সামাজিক অস্থিরতা বাড়ছে। এসব আন্দোলনে তীব্র বেকারত্বের জন্য বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে দায়ী করা হচ্ছে। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.