জেল-মায়ের কান্না

সলামাবাদের অদূরে গ্রামের বাড়ি চাঙ্গা বাঙ্গিয়ালেই ছিলেন তারা; কিন্তু হৃদয় তখন লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে। কায়মনো বাক্যে মোহাম্মদ আমেরের মা নাসিম আকতার প্রার্থনা করছিলেন যেন ছেলের কোনো শাস্তি না হয়; কিন্তু ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করার যে অপরাধ আমের করেছেন, তাতে সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টের বিচারক জেরেমি কুক অন্য দুই ক্রিকেটার ও জুয়াড়ির সঙ্গে তাকেও ৬ মাসের জেল দেন। শাস্তির রায় শুনেই হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন নাসিম আকতার। বললেন, 'আমার ছেলে নির্দোষ। অধিনায়কের নির্দেশেই সে নো বল করেছিল।


দু'দিন আগেই সে আমাকে বলেছিল, তার জন্য দোয়া করতে।' মায়ের সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়লেন আমেরের ভাই মোহাম্মদ ইজাজও। তিনি বলেন, 'আমার ভাই খুবই ছোট। সে কিছু না বুঝেই ওই কাজ করেছিল। ছয় মাসের জেল তার জীবনে অনেক বড় সময়।' স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত হয়ে নিষেধাজ্ঞার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আমেরের মা। আমেরের বাবা পাকিস্তান সরকারের উদ্দেশে বলেন, 'পাকিস্তান সরকার চাইলে এখন আমার সন্তানকে সাহায্য করতে পারে।'
মোহাম্মদ আমেরের মতো শোকে স্তব্ধ সালমান বাটের পরিবারও। লাহোরে সালমান বাটের বাবা জুলফিকার বাট বলেন, 'আমার সন্তান পুরোপুরি নির্দোষ। বন্ধুরাই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। আপনি চাইলে আমাদের ব্যাংক ব্যালেন্স খুঁজে দেখতে পারেন। আমরা এখনও পর্যন্ত নিজেদের বাড়িটি পর্যন্ত ঠিকভাবে নির্মাণ করতে পারিনি।' সালমান বাটের বোন খাদিজা বাট বলেন, 'এটা নিরপেক্ষ বিচার হয়নি। আমার ভাই নির্দোষ।' শাস্তি ঘোষণার পরপরই সংবাদ সম্মেলন করে সালমান বাটের আইনজীবী পল হ্যারিস ঘোষণা দেন, ৩০ মাসের জেল শাস্তির বিপক্ষে আপিল করবেন তারা। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'একজন সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে এ সংবাদ শোনার পর খুবই মর্মাহত হয়েছি আমি।'

No comments

Powered by Blogger.