গণভোটে সংবিধান অনুমোদন ১৯৭২ সালেই উপেক্ষিত by মোহাম্মদ মতিন উদ্দিন

সংবিধান নিয়ে নতুনভাবে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আইনমন্ত্রীর ভাষায়, এ পর্যন্ত ১৪ বার সংবিধান সংশোধিত হয়েছে, যার ফলে সংবিধানের গণতান্ত্রিক চরিত্র বিনষ্ট হয়েছে। গণতন্ত্রের স্বার্থেই ১৯৭২ সালের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। আইনমন্ত্রীর ভাষায় '৭২ সালের সংবিধানের পুনঃপ্রতিষ্ঠা মানেই গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। '৭২ সালের সংবিধানের এই সরলীকৃত ব্যাখ্যা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে খুব একটা গ্রহণযোগ্য বিষয় নয়। '

৭২ সালের সংবিধানে রাষ্ট্রীয় মূলনীতিসহ মানুষের মৌ িলক অধিকার, অর্থনৈতিক নীতি, পররাষ্ট্রনীতিসহ এমন অনেক বিষয়ে এমনসব কথাবার্তা লেখা আছে যা শুনতে অনেক ভালো কিন্তু এসবের কোনো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর যে সংবিধান গ্রহণ করা হয়েছিল সেই সংবিধানের ধারা-উপধারাগুলো ক্ষমতাসীন সরকারের জন্য সরকার পরিচালনার বিষয়ে বাধ্যতামূলক এমনটি নয়। ক্ষমতাসীন সরকারের জন্য সাংবিধানিক নীতি-কাঠামোর বিষয়গুলো বাধ্যতামূলক হলে হয়তোবা আজকের বাংলাদেশের ভিন্ন চেহারা আমরা দেখতে পেতাম, কিন্তু এই সৌভাগ্য আমাদের হয়নি। এই সৌভাগ্য না হওয়ার পেছনে আমার কাছে মূলত একটি বিষয়কে প্রধানত দায়ী বলে মনে হয়, সেটি হলো সাংবিধানিক নীতি-কাঠামোগুলো ক্ষমতাসীন সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক এমন গ্যারান্টি ক্লজ সংবিধানে না থাকা। এই গ্যারান্টি ক্লজ না থাকার কারণে সংবিধান লংঘন করে দেশ পরিচালনার জন্য দায়ী ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে এদেশের জনগণ অনেকটা অসহায়, অথচ সংবিধানে বলা হচ্ছে, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। এ বিষয়টি সংবিধান প্রণেতাদের ভুল না প্রতারণা তার বিচার পাঠক সমাজই করবে। আমার মনে হয়, জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে এবং এখনও আমরা সেই প্রতারণার ধারাবাহিকতা থেকে মুক্ত নই। সংবিধানকে গণতান্ত্রিক করে তুলতে হলে এই প্রতারণার খপ্পর থেকে এটাকে মুক্ত করতে হবে। সংবিধানে যখন বলা হচ্ছে, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ, তখন একথা জোর দিয়ে বলা যায়, সংবিধান রদবদলের বিষয়টি জনগণের ক্ষমতার অধীন। কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধানে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টিকে যেভাবে নিয়ে আসা হয়েছে সেখানে জনগণের ক্ষমতার কানাকড়ি মূল্য নেই। মূলত জনগণের নামে জনমতকে উপেক্ষা করেই এদেশে সবকিছু করা হয়। এই প্রতারণার মধ্যে আমরা বাস করি। আর এ কারণেই একটি নতুন রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে সংবিধান প্রণয়ন এবং জনগণ কর্তৃক তা অনুমোদন করিয়ে নেয়ার বিষয়টি শুরুতেই অবহেলা করা হয়েছে। আমার জানা মতে, জননেতা মওলানা ভাসানী '৭২ সালের প্রণীত সংবিধানকে গণভোটে অনুমোদন করিয়ে নেয়ার কথা বলেছিলেন, কিন্তু তার কথার প্রতি সংবিধান প্রণেতারা কেউ কর্ণপাত করেননি। অর্থাৎ শুরুতেই সংবিধান প্রশ্নে জনগণের মতামত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সংবিধান প্রণেতারা অস্বীকার করেছেন। এদের মুখে যখন উচ্চারিত হয় প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ-এটা যে প্রতারণামূলক বিগত ৩৮ বছর ধরে এদেশের জনগণ সেটা টের পাচ্ছে। একটি দেশের সংবিধান গণতান্ত্রিক কি গণতান্ত্রিক নয় এ বিষয়টি আমরা কীভাবে বুঝব। এ সম্পর্কে ধারণার স্বচ্ছতা না থাকলে গণতান্ত্রিক সংবিধানের মর্মবস্তু যে সব সময় অবহেলিত হবে এটাই স্বাভাবিক, যেটা আমাদের দেশে হয়ে আসছে। গণতান্ত্রিক সংবিধানের মর্মবস্তু হচ্ছে-১. দেশীয় অর্থনীতির গণতান্ত্রিক বা জাতীয় ধনতান্ত্রিক বিকাশ নিশ্চিত করা; ২. জনগণের মৌলিক অধিকার সব সময় সমুন্নত রাখা; ৩. রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে এমন নিয়মনীতির মাধ্যমে সাজানো যে নিয়মনীতির কার্যকারিতা দেশীয় অর্থনীতির গণতান্ত্রিক বিকাশ ও জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে বরং তাকে গতিশীল করে; ৪. সংবিধানের কোনো বিধান জনস্বার্থের পরিপন্হী হলে সেই বিধান পরিবর্তন করে জনস্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিধান সংবিধানের অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে গণভোটের ওপর নির্ভর করে; ৫. আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রতিটি রাষ্ট্রের সম্পদ ও বাজারের ওপর স্ব-স্ব জাতীয় কর্তৃত্বকে সম্মান প্রদর্শন করে পারসপরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলে, জাতি-রাষ্ট্রের স্বকীয়তা বিনষ্ট হয় এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা করে। গণতান্ত্রিক সংবিধানের মর্মবস্তুর ক্ষেত্রে দেশীয় অর্থনীতির গণতান্ত্রিক বা জাতীয় ধনতান্ত্রিক বিকাশের বিষয়টি সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যারা ইতিহাস নিয়ে নাড়াচাড়া করেন তাদের এ বিষয়টি না জানা থাকার কথা নয় যে, জনগণের পর্যায়ে গণতান্ত্রিক অধিকারের বিষয়টি অর্থনীতির ধনতান্ত্রিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই বিকশিত হয়েছে। অর্থনীতির জাতীয় ধনবাদী বিকাশ যেমন গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটিয়েছে ঠিক তেমনি জাতীয়তাবাদেরও বিকাশ ঘটিয়েছে। শুধু তাই নয়, অর্থনীতির জাতীয় ধনবাদী বিকাশ সমাজে অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার ধারণাকেও বিকশিত করেছে। অর্থাৎ জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার বিকাশের বিষয়টি অর্থনীতির জাতীয় ধনবাদী বিকাশের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। এজন্য তা গভীরভাবে সম্পৃক্ত যে, অর্থনীতির জাতীয় ধনতান্ত্রিক বিকাশ জনগণের বিভিন্ন স্তরকে সুসংগঠিত করে তোলে, ফলে সংগঠিত প্রতিবাদের ভিত্তি হয় শক্ত, যাকে অস্বীকার করে শাসকশ্রেণীর পক্ষে ক্ষমতায় টিকে থাকা কষ্টকর। ফলে জনগণের প্রতিবাদের ভাষাকে যেনতেন প্রকারে দমন-পীড়নের মাধ্যমে দমিয়ে ফেলার ইচ্ছা, শাসকশ্রেণীকেও দমন করতে হয়। বাংলাদেশে অর্থনীতির জাতীয় ধনবাদী বিকাশের দুর্বলতাই এখানে গণতন্ত্রের জাতীয়তাবাদের এবং অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার বিকাশকে দুর্বল করে রেখেছে। এ দুর্বলতা ততদিন পর্যন্ত বহাল থাকবে যতদিন পর্যন্ত এদেশের অর্থনীতির জাতীয় ধনবাদী বিকাশ দুর্বল হয়ে থাকবে। যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশীয় অর্থনীতির জাতীয় ধনবাদী বিকাশের পরিবর্তে বহুজাতিক বৃহৎ পুঁজির আত্মসফীতির স্বার্থে কাজ করে সেই রাজনৈতিক নেতৃত্বকে গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বলে কোনোভাবেই চিহ্নিত করা যায় না। কিন্তু এদেশে নামকরা সব বুদ্ধিজীবী এ ভুল কাজটিই বিগত ৩৮ বছর ধরে করে আসছেন। এসব বুদ্ধিজীবীদের অনেকে আবার জাতির বিবেক হিসেবে চিহ্নিত করতে ভালোবাসে। বুদ্ধিবৃত্তির এই দুর্বল অবস্থানের কারণেই জাতীয় অর্থনীতির জাতীয় ধনবাদী বিকাশের যোগ্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব এদেশে বিকশিত হতে পারছে না। গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার নামে বিদেশী বৃহৎ পুঁজির সেবাদাসরাই এদেশের রাজনীতিতে কর্তৃত্ব করছে-এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য। দেশে গণতন্ত্রের বিকাশকে নিশ্চিত করতে হলে দেশীয় অর্থনীতির জাতীয় ধনবাদী বিকাশে বা জাতীয় পুঁজির আত্মসফীতির প্রশ্নে যেসব প্রতিবন্ধকতা কাজ করছে তা দূর করার জন্য অর্থনৈতিক নীতির প্রশ্নে আমাদের করণীয় কাজগুলো কী কী সেই প্রশ্নে বিতর্ক করাটাই যথাযথ। গণতন্ত্র বিকাশের প্রশ্নে মূল বিষয়টিকে বাদ দিয়ে অন্যান্য বিষয়কে বিতর্ক আকারে যারা সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন, এরা গণতন্ত্রের নামে এদেশের জনগণকে বিভ্রান্তির পথে ঠেলে দিতে চায়। ১৯৭২ সালের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ নিয়ে যে বিতর্কের সূচনা হয়েছে, এই বিতর্কের রূপ দেখে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এরা উভয়েই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশকে কোণঠাসা করতে চায়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, অর্থনৈতিক নীতির প্রশ্নে উভয় পক্ষই তথাকথিত সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের পক্ষের লোক। সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের পক্ষাবলম্বন করে জাতীয় অর্থনীতির ধনবাদী বিকাশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়, অর্থাৎ গণতন্ত্রের বিকাশকেও নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ধনতন্ত্রের জাতীয় বিকাশের অর্থই হচ্ছে দেশীয় অভ্যন্তরীণ বাজারকেন্দ্রিক ধনতন্ত্রের বিকাশ অর্থাৎ এ ধনতন্ত্রের বিকাশে একটি পরিকল্পিত বিষয় কাজ করবে। উৎপাদন ক্ষেত্রগুলোর পরিকল্পিত বিকাশের মাধ্যমে দেশীয় অভ্যন্তরীণ বাজারের সম্প্রসারণই হবে এই অর্থনৈতিক নীতির মূল বিবেচ্য বিষয়। এ অর্থেই এই ধনতান্ত্রিক বিকাশকে বলা হচ্ছে জাতীয়। আমাদের সংবিধানে পরিকল্পিত অর্থনীতির বিধান থাকা সত্ত্বেও এ বিষয়টি কার্যত মেনে চলার কোনো প্রচেষ্টা এদেশের শাসকদের মধ্যে নেই। এ ক্ষেত্রে হরহামেশা সংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে, বিষয়টি জানা সত্ত্বেও খুব সচেতনভাবেই এই বিতর্কটিকে এড়িয়ে চলার মানসিকতা লক্ষণীয়। সাংবিধানিক নীতি-কাঠামো কার্যকর করার বিষয়ে সংবিধানে গ্যারান্টি ক্লজ সংযুক্ত থাকলে শাসকশ্রেণীর পক্ষে সংবিধান লংঘন করার ইতিহাস সৃষ্টি হতো না। দেশীয় অভ্যন্তরীণ বাজারকেন্দ্রিক শিল্পায়নের লক্ষ্যে শাসকশ্রেণী কাজ করে গেলেই এদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ এগিয়ে যেত। গণতন্ত্র বিকাশের প্রশ্নে বাংলাদেশের সংবিধানের মূল দুর্বলতা হচ্ছে, যে কাজটি করলে এদেশে গণতন্ত্র বিকশিত হবে সেই প্রশ্নে এ দেশের শাসকশ্রেণীর কোনো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই। অর্থনৈতিক নীতি-কাঠামোর ক্ষেত্রে সংবিধান প্রদর্শিত পথ মেনে না চলার রেওয়াজই এ দেশে গণতন্ত্রের বিকাশকে ব্যাহত করেছে। সংবিধান লংঘন করেও এদেশে পার পাওয়া কোনো ব্যাপার নয়। এ বিষয়টিই এদেশে গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা। সংবিধান নির্দেশিত অর্থনৈতিক নীতি হচ্ছে পরিকল্পিত অর্থনীতি, কিন্তু এদেশে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় বসেন তারা ক্ষমতায় বসে এর ধারে-কাছেও অবস্থান নেন না। শুধু তাই নয়, তাদের এই সংবিধানবিরোধী কাজের জন্য কারও কাছে জবাবদিহিও করতে হয় না। এই সমস্যা বহাল রেখে সংবিধান নিয়ে নানামুখী বিতর্ক এদেশে গণতন্ত্রের বিকাশকে এগিয়ে না নিয়ে গণতন্ত্রের প্রশ্নে জনগণকে বিভ্রান্তির জালে আটকে রাখবে। গণতন্ত্র বিকাশের প্রশ্নে মূল বিষয়ে বিতর্ক এড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্তির মধ্যে ডুবিয়ে রাখার এক হীন প্রচেষ্টাই এখন চলছে। সত্যিকার অর্থে যারা এ দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ চান তাদের সচেতনভাবেই এই আওয়াজ তুলতে হবে-রাষ্ট্রীয় মূলনীতির কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানে গ্যারান্টি ক্লজ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যে কেউ রাষ্ট্রক্ষমতায় বসুক না কেন রাষ্ট্রীয় মূলনীতি কার্যকর করা তার জন্য সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে। ক্ষমতায় বসে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি লংঘন করলে তার বিরুদ্ধে জনগণের বিদ্রোহ করার অধিকারও সাংবিধানিকভাবে ন্যায়সঙ্গত অধিকার হিসেবে স্বীকৃত হতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশের প্রশ্নে এর আর কোনো বিকল্প নেই। এদেশের ধনিক শ্রেণীর জাতীয় চরিত্র থাকলে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি কার্যকর করার প্রশ্নে সংবিধানে গ্যারান্টি ক্লজ অন্তর্ভুক্ত করার কোনো প্রয়োজন হতো না, কিন্তু এদেশের ধনিক শ্রেণীর বিকাশ ঐতিহাসিকভাবেই বিজাতীয় হওয়ার কারণে গণতন্ত্র বিকাশের প্রশ্নে বা রাষ্ট্রীয় মূলনীতির কার্যকারিতা নিশ্চিত করার প্রশ্নে সংবিধানে গ্যারান্টি ক্লজ অন্তর্ভুক্ত করা একান্ত প্রয়োজন। এই প্রয়োজনীয়তাকে তারাই অস্বীকার করবে, যারা এদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ চায় না। লেখক : হড়গ্রাম বাজার, রাজশাহী কোর্ট, রাজশাহী

No comments

Powered by Blogger.