চট্টগ্রাম নগরে হত্যাকাণ্ড বাড়ছে-সাত মাসে ৫৮ মামলা by এস এম রানা,

ট্টগ্রাম নগরের লালদীঘির পাড়ের একটি আবাসিক হোটেল থেকে গত বুধবার সকালে মুজিবুল হক (৫৫) নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যায় আরেকটি লাশ উদ্ধার করা হয় খুলশী এলাকা থেকে। মাদক বেচাকেনা, পরকীয়া প্রেম, ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয় এবং জমিসংক্রান্ত বিরোধের কারণে বেশি খুন হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।পুলিশের তথ্যানুযায়ী গত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাত মাসে খুনের ঘটনায় নগরের ১২টি থানায় ৫৮টি মামলা হয়েছে। জুন মাসে ১২টি, জুলাইয়ে ১২টি, আগস্টে ৯টি ও সেপ্টেম্বরে ছয়টি ও অক্টোবরে ছয়টি মামলা হয়েছে। এর আগে মে মাসে পাঁচটি ও এপ্রিলে আটটি মামলা হয়।


এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি) মো. হাছান চৌধুরী বলেন, 'পূর্ব শত্রুতার কারণে কে কাকে, কখন, কিভাবে খুন করবে সেটা আগে থেকে বলা কঠিন। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডকে বিদেশে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স বলে।'
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'গুপ্ত হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ডিবি পুলিশ কাজ করছে। ইতিমধ্যে চারটি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে এবং আসামিও গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্য মামলাগুলো তদন্ত পর্যায়ে আছে।'
পুলিশ জানায়, গত বুধবার লালদীঘির পাড়ের হোটেল সম্রাটের একটি কক্ষ থেকে টাকার নতুন নোট ব্যবসায়ী মুজিবুল হকের (৫৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। খুনের অভিযোগে ওই কক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দুজনকে। সন্ধ্যায় খুলশী এলাকার ৬ নম্বর রোডের ৮১ নম্বর বাড়ি থেকে গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান অ্যারো ফ্যাশনের পরিচালক আবদুল মোমিন মিন্টুর স্ত্রী মাসুদা মোমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। মাসুদা হত্যার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারেনি পুলিশ। অক্টোবরের শেষ দিন গত সোমবার সকালে এবং এর আগের দিন রবিবার রাতে সিআরবি এলাকা থেকে আরো দুটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আগের মাসে (সেপ্টেম্বরে) অজ্ঞাত লাশ পাওয়া গেছে পাঁচটি।
এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার সিইপিজেড এলাকার নালা থেকে একটি এবং সিআরবি পাহাড় থেকে একটিসহ মোট দুটি অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ থেকেও উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ।
গত ১০ অক্টোবর নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে এক সরকারি কর্মকর্তার বাসা থেকে এক শিশু গৃহকর্মী ও বন্দর থানা এলাকা থেকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তার বাসা থেকে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ২১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবিদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সিএমপির থানা পুলিশ ও ডিবির একাধিক পরিদর্শকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সাধারণ বিষয় নিয়েই মানুষ খুনের শিকার হচ্ছে। খুনের পরিণতি এবং এর প্রভাব সম্পর্কে কেউ ভাবছে না।

No comments

Powered by Blogger.