শান্তি প্রস্তাব মানার পরদিনই হামলা, সিরিয়ায় নিহত ৭

সিরিয়ায় সাত মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধে আরব লীগের শান্তি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার একদিন পরই নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ৭ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, হোমস শহরে সেনাবাহিনীর ট্যাংক থেকে মেশিনগানের গুলি শোনা গেছে। খবর বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স।ব্রিটেনভিত্তিক অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হোমসের বাব আমর জেলায় ব্যাপক মেশিনগানের গুলির শব্দ শোনা গেছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, গুলিতে কমপক্ষে ৭ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।


এদিকে লন্ডন ও ওয়াশিংটন বলেছে, তারা মনে করে আরব লীগের প্রস্তাব মেনে নেওয়া সত্ত্বেও বিরোধীদের দাবি মেনে প্রেসিডেন্ট আসাদের পদত্যাগ করা উচিত। আরব লীগের প্রস্তাবে শিগগির শহরগুলোতে মোতায়েন করা সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে। ওই প্রস্তাবে সম্মত হওয়ায় এখন তা বাস্তবায়নে দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলো। সিরিয়ার চলমান সহিংসতা অবসানে বুধবার কায়রোতে আরব লীগের প্রস্তাবনায় সম্মতি জানিয়ে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে সিরীয় সরকার। ওই চুক্তিতে সিরিয়ার বিভিন্ন শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি ও বিরোধী পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনার শর্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে আরব লীগ কমিটির প্রধান কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জাসিম আল থানি বলেন, এই চুক্তি করতে পেরে আমরা খুশি, তবে আমরা তখনই বেশি খুশি হব যখন চুক্তিটি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।
সিরিয়ায় সাত মাস ধরে চলমান এ আন্দোলন দমনে সরকারি বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.