অকুপাই আন্দোলন-ওকল্যান্ড বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ৪০

ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ড বন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে করপোরেটবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার দিনভর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শেষে মধ্যরাতের পর আন্দোলনকারীদের একটি অংশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিপণি বিতানে ভাঙচুর শুরু করে এবং একটি ভবনের দখল নেয়। তাদের হটাতে দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পেঁৗছলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় কমপক্ষে ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।


এর আগে বুধবার বিকেলে 'ওয়াল স্ট্রিট দখল করো' আন্দোলনের অনুসারীদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে কর্তৃপক্ষ ওকল্যান্ড বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। নিরাপত্তার ঘাটতির কারণে দেখিয়ে তারা এ উদ্যোগ নেয়। অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের নির্মম আচরণের প্রতিবাদে এদিন বিকেলে 'ওকল্যান্ড দখল করো' স্লোগান দিয়ে কয়েক হাজার প্রতিবাদকারী মিছিল নিয়ে বন্দরটি অবরোধ করে। তারা বন্দর থেকে বের হওয়া পণ্যবাহী যানের গতিরোধ করে রাস্তার মাঝখানে আটক করে রাখে। অন্য বিক্ষোভকারীরা রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী বগির ওপর উঠে উচ্চৈঃস্বরে গান বাজাতে থাকে। আন্দোলনকারীদের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের কারণে ওকল্যান্ডে বেশির ভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এদিন তাঁদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন।
সন্ধ্যায় বন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ বৃহত্তম এ বন্দর দিয়ে বছরে তিন হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। লিখিত বিবৃতিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দর এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বন্দরের মুখপাত্র আইজ্যাক কস রিড বলেছেন, বন্দরের কিছু কার্যক্রম সচল থাকবে।
রাতে ওকল্যান্ড সিটি হল এলাকায় শতাধিক বিক্ষোভকারী ব্যংকসহ বিভিন্ন বিপণি বিতানে ভাঙচুর চালায়। তারা একটি ফাঁকা ভবনেরও দখল নেয়। তবে বেশির ভাগ আন্দোলনকারীর এ ব্যাপারে সায় ছিল না। দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পেঁৗছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে ভাঙচুরকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। জবাবে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। পরে ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থায় করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও উচ্চবিত্তরাই শুধু লাভবান হচ্ছে_এ অভিযোগ ওয়াল স্ট্রিটবিরোধী আন্দোলনকারীদের। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করতে আন্দোলনের লক্ষ্য হিসেবে তারা ব্যাংকসহ করপোরেট সংস্কৃতির প্রতীক অন্য প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছে। সূত্র : রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.