সরকারের চার বছর পূর্তি আজ-ইশতেহার কাঁদে-* বেশির ভাগ অঙ্গীকার প্রতিশ্রুতিবন্দি-* দিনবদলের স্বপ্ন ক্রমেই ফিকে by পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য

মহাজোট সরকারের চার বছরে প্রতিশ্রুতিবন্দি রয়ে গেল বেশির ভাগ নির্বাচনী অঙ্গীকার। 'ভোট ও ভাতের অধিকার দারিদ্র্য বিমোচনের হাতিয়ার' শীর্ষক দিনবদলের সনদ মানুষকে স্বপ্ন দেখালেও তা ক্রমেই ধূসর।
যদিও প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা এ পর্যন্ত তাঁদের অর্জিত সাফল্য এবং ইশতেহার বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে বেশ সন্তুষ্ট। নির্বাচনী ইশতেহারে মূলত পাঁচটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। দ্রব্যমূল্য মানুষের নাগালে রাখা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি ও সাশ্রয়ী জ্বালানি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা- এই পাঁচ প্রতিশ্রুতির আওতায় নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগে সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লাই ভারি। দিন যত গড়াচ্ছে, প্রতিশ্রুতি আর এর বাস্তবায়নের ফারাকটা ততই বাড়ছে। যে ইশতেহারের জোরে দেশবাসীর মন জয় আর রাষ্ট্রের উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেছিল- প্রতিশ্রুতি পূরণের ব্যর্থতা, অদক্ষতা, দুর্নীতি আর সিদ্ধান্তহীনতায় সেটাই আজ জর্জরিত। দিনবদলের ইশতেহার এখন যেন নিজেই কাঁদছে। এই পরিস্থিতিতে আজ মেয়াদের শেষ বছরে পা রাখছে সরকার। ফলে ২০১৩ তাদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হলেও চার বছরে তা ক্রমেই নিম্নগামী। এ সরকারের মেয়াদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোর ফলাফলই এর প্রমাণ। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
ব্যর্থতা থাকলেও চার বছরে বড় মাপের বেশ কিছু সাফল্য আছে সরকারের ঘরে। ক্ষমতায় আসার ৫১ দিনের মাথায় দেশবাসীকে স্তম্ভিত করে ঘটে যায় বিডিআর বিদ্রোহ। তবে দারুণ বিচক্ষণতায় সেই পরিস্থিতি সামাল দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকর, যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করা, জঙ্গি দমন, চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে কার্যকর লড়াই, শিক্ষানীতি, নারীনীতি বাস্তবায়ন, সমুদ্র জয় ও কৃষি ক্ষেত্রে সরকার সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে চার বছরে। বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের সবার হাতে হাতে বই পৌঁছানো, পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষা চালু করা, পাসের হার বাড়ানো ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরকার সাফল্যের দাবিদার। অন্যদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো, ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেট সুবিধা চালু, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমানোও বড় সাফল্য। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিদেশি সাহায্য ও সহযোগিতার কথা মনে রেখে তাঁদের সম্মাননা দিয়ে জাতির ঋণের বোঝা কমিয়েছে সরকার। তবে দুর্নীতি, অদক্ষতা, সময়মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনীহা ইত্যাদি নানা কারণে অনেক ব্যর্থতার ভিড়ে এসব সাফল্য ম্লান হয়ে গেছে।
সরকারি দপ্তরে নিয়োগ কেলেঙ্কারি, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের টেন্ডারবাজি, মন্ত্রী-এমপিদের দ্বন্দ্ব, অপকর্ম, বিভিন্ন মন্ত্রীর দুর্নীতির তথ্য ফাঁস, নানা সময়ে মন্ত্রীদের বেফাঁস মন্তব্য, যোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, জেলা পরিষদে দলীয় নেতাদের নিয়োগ, রাজনৈতিক মামলা হিসেবে খুন-ধর্ষণসহ সাত হাজারের বেশি মামলা প্রত্যাহার করে বিপুলসংখ্যক আসামিকে মুক্তি দেওয়া এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের অবৈধ কর্মকাণ্ড সরকারের ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন করে। চার বছরের শাসনামলে মহাজোট সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে ক্ষমতাসীন দলটি রাজপথে ঠেলে দিয়েছে বিরোধী দলকে। অনেক সময় সরকার নিজেদের অপকর্মের মাধ্যমে বিরোধী দলের হাতে আন্দোলনের ইস্যু তুলে দিয়েছে।
নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্য, দফায় দফায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস পদে পদে বিব্রত করেছে সরকারকে। গত ১৪ অক্টোবর প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে জানায়, নবম জাতীয় সংসদের ৯৭ শতাংশ সদস্য মূল কাজ আইন প্রণয়নের দিকে নজর না দিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়িত। পাশাপাশি সদস্যদের মধ্যে শতকরা সাড়ে ৫৩ জন বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজে যুক্ত এবং এসবের মধ্যে হত্যা, দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও প্রতারণার মতো গুরুতর অপরাধও রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
সম্প্রতি টিআইবির জাতীয় থানা জরিপ প্রতিবেদনে ঘুষ দ্বিগুণেরও বেশি হওয়া বা নিয়মবহির্ভূতভাবে দেওয়া অর্থের পরিমাণ বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এসব প্রতিবেদন সরকারকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে।
সদ্যসমাপ্ত বছরে দুর্নীতির অভিযোগে সরকারের এক মন্ত্রীর পদত্যাগ এবং আরেকজনের দপ্তরবিহীন হওয়া সরকারকে বছরজুড়ে চাপে রাখে। এ ছাড়া পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ সরকারকে ঘরে-বাইরে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে গত বছরে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা' অংশে রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরের ঘুষ-দুর্নীতি উচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
ইশতেহারের শিক্ষা ও বিজ্ঞান অধ্যায়ে শিক্ষাঙ্গনকে দলীয়করণমুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হলেও দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষমতাসীন দলের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের দখলে। এ ছাড়া শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের পেশিশক্তির মহড়া সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে নিয়মিত। ছাত্রলীগের নৃসংশতার সর্বশেষ শিকার নিরীহ পথচারী বিশ্বজিৎ দাস।
নির্বাচনী ইশতেহারে 'সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়' এই নীতির আলোকে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি থাকলেও চার বছরে সরকার ছিল দিল্লিমুখী। ভারত ছাড়া অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক তেমন জোরালো হয়নি। বরং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে নানা ইস্যুতে সম্পর্ক শীতল হয়েছে। ইশতেহারে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় দক্ষিণ এশীয় টাস্কফোর্স গঠনের কথা বলা হলেও সেটা প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ।
নির্বাচনী ইশতেহারে জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখে কয়লানীতি প্রণয়ন করার কথা থাকলেও চার বছরে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
ইশতেহারের সুশাসন প্রতিষ্ঠা অধ্যায়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার কথা বলা হলেও ক্রসফায়ার থামেনি। মানবাধিকার লঙ্ঘন কঠোরভাবে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও চার বছরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে পদে পদে। লন্ডন সফরে গিয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠনগুলোর মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।
এই অধ্যায়ে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য এবং তাঁদের পরিবারের সম্পদের হিসাবে এবং আয়ের উৎস জনসমক্ষে প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও মন্ত্রীরা সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। দেশবাসীর সামনে আসেনি একজনেরও হিসাব।
রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিষিদ্ধ করার কথা ছিল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য থাকলেও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে শিষ্টাচার ও সহিষ্ণুতা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি সরকার। বরং সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন, বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে দূরত্ব বেড়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নিষিদ্ধ করার কথা থাকলেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি তাও।
দলীয়করণমুক্ত অরাজনৈতিক গণমুখী প্রশাসন প্রতিষ্ঠা এবং যোগ্যতা, জ্যেষ্ঠতা ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ও পদোন্নতি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও চার বছর ধরে এর একমাত্র মাপকাঠি ছিল দলীয় আনুগত্য।
ক্ষমতার বিকেন্দ্রায়ন করে ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলাকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। চার বছরে কুমিল্লা ও রংপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা ছাড়া আর তেমন কিছুই হয়নি। স্থানীয় সরকারের চারটি স্তরের মধ্যে উপজেলা ও জেলা পরিষদকে ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দুটি সিটি করপোরেশন চলছে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে। একমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ চলছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা।
শিল্প বাণিজ্য অধ্যায়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং প্রবাসীদের উৎসাহিত করার কথা থাকলেও চার বছরে বিদেশি বিনিয়োগ তেমন আসেনি। অর্থমন্ত্রী নিজেই বিনিয়োগ খরার কথা স্বীকার করেছেন।
ইশতেহারের যোগাযোগ ও ভৌত অবকাঠামো অধ্যায়ে ঢাকা-চট্টগ্রামের চার লেন বিশিষ্ট এঙ্প্রেস সড়ক নির্মাণের কথা থাকলেও গত চার বছরে মাত্র ৩২ শতাংশ কাজ হয়েছে। গভীর সমুদ্রবন্দর স্বপ্নই রয়ে গেছে।
ইশতেহারে বাংলাদেশ বিমানকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার অঙ্গীকার থাকলেও বিমান অব্যাহতভাবে লোকসান গুণে যাচ্ছে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘু, অনুন্নত সম্প্রদায় ও অনগ্রসর অঞ্চল অধ্যায়ে পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি থাকলেও এ ব্যাপারে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে দাবি করে জনসংহতি সমিতি।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্যপ্রবাহ অধ্যায়ে সব সাংবাদিক হত্যার দ্রুত বিচার করে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ইশতেহারে। তবে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে দেশের সাংবাদিক সমাজ এক বছর ধরে রাজপথে। তবুও এর কোনো কিনারা করতে পারেনি সরকার।
আইন বিশেষজ্ঞ শাহদিন মালিক বলেন, সার্বিক বিবেচনায় বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার পাল্লা একটু বেশি ভারী। শিক্ষা, ভালো-মন্দ মিলিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু, দেশে কোনো ধরনের বিপর্যয় হতে না দেওয়া, তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার- এগুলোতে সফল হয়েছে সরকার।
অন্যদিকে সরকারি দলে গণতন্ত্রের চর্চা, সংসদসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ না নেওয়া, আলোড়ন সৃষ্টিকারী অর্থ লোপাটের ঘটনা সরকারের ব্যর্থতার বড় উদাহরণ। এ ছাড়া বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের মতো নৃশংস হত্যাকাণ্ড, সার্বিকভাবে আগামী নির্বাচন প্রশ্নে দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়াও সরকারের ব্যর্থতাকে ফুটিয়ে তুলেছে।
প্রবীণ আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, চার বছরে সরকার যথেষ্ট করেছে। অনেক কিছু করতে না পারলেও সরকারের অর্জন অনেক। দেশের জনসংখ্যা, আয়তন- এগুলো বিবেচনায় রাখলে সব কিছু বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তবে আমি বলব, সরকার ভালো যেমন করেছে, অনেক কিছু করতেও পারেনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুল জলিল বলেন, সরকারের চার বছরকে যদি মূল্যায়ন করি, তাহলে বলব, সরকার ইশতেহারের অনেক কিছুই বাস্তবায়ন করেছে। শিক্ষা, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তাবলয় বৃদ্ধি, বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল- এগুলো সরকারের সাফল্য। কিছু ক্ষেত্রে সরকার সফল হতে পারেনি সত্য, তবে অতীতের যেকোনো সরকারের চেয়ে বর্তমান সরকারের অর্জন বেশি। আমার বিবেচনায় সরকারের ব্যর্থতার চেয়ে সাফল্য অনেক ভারী। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়ছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদেই এই বিচারকাজ শেষ হবে। এটি সরকারের অনেক বড় সাফল্য।

No comments

Powered by Blogger.