প্রাণভিৰা আর্জি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ২ আসামির রিভিউর আবেদন- বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় দ-িত কারাগারে আটক পাঁচ আসামির মধ্যে দুই আসামি রবিবার সুপ্রীমকোর্টের রায় রিভিউর জন্য আবেদন করেছে।
দ-িত আসামি মেজর (অব) বজলুল হুদা ও লে. কর্নেল (অব) একেএম মহিউদ্দিনের (ল্যান্সার) আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুলস্নাহ আল মামুন সুপ্রীমকোর্টের সেকশনে এই রিভিউ আবেদন করেন। এ সময় তিনি আসামিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। দ-িত অপর তিন আসামিও আজকালের মধ্যে রিভিউ করবে বলে জানা গেছ।
এদিকে দ-িত ৩ আসামি প্রাণভিক্ষার আবেদন ও ২ জন রিভিউ করবে এমন কথা জানানোর পর সে সমসত্ম কাগজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেছেন, আসামিদের কাগজপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। জেল সুপারিনটেনডেন্টের মাধ্যমে ৫ আসামির কাগজপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। শনিবার কারা কতর্ৃপক্ষ জানিয়েছিল, মেজর (অব) বজলুল হুদা, লে কর্নেল (অব) একএম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার), লে. কর্নেল (অব) মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি) রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছে। অন্যদিকে লে. কর্নেল (বরখাসত্ম) সৈয়দ ফারম্নক রহমান ও লে. কর্নেল (অব) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান রিভিউ করবে।
রবিবার দুই আসামির রিভিউ পিটিশন দাখিল শেষ ব্যারিস্টার মামুন সাংবাদিকদের বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করার সময় আসামির আইনজীবী ও আত্মীয়ের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। কিন্তু আমরা কিছুই জানলাম না। শনিবার বলা হলো, তারা প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছে। এটা বেআইনী। এ সময় মামুনের পাশে ছিল আরেক দ-িত মৃত আসামি আজিজ পাশার স্ত্রী ও মেজর (অব) বজলুল হুদার বোন মাহফুজা পাশা, লে. কর্নেল (অব) একে এম মহিউদ্দিনের (ল্যান্সার) স্ত্রী হোসনে আরা মহিউদ্দিন।
কারা কতর্ৃপক্ষ শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, কারাবন্দী অপর দুই আসামি লে. কর্নেল (বরখাসত্ম) সৈয়দ ফারম্নক রহমান, লে. কর্নেল (অব) শাহরিয়ার রশিদ খান প্রাণভিক্ষার আবেদন করেনি। তারা রিভিউ আবেদন করবে। এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কেঁৗসুলি আনিসুল হক বলেছেন, সবের্াচ্চ আদালত এই রায় দিয়েছে। তাদের ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিভিউ করেছে। আমার প্রার্থনা ৩/৫ দিনের মধ্যে শুনানি করা।
১৯ নবেম্বর আপীল বিভাগ ঐতিহাসিক রায় প্রদান করে। আপীল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি আসামিদের আপীল খারিজ করে দেন। ফলে হাইকোর্টের দেয়া ১২ আসামির মৃতু্যদ- বহাল রয়েছে।
দ-প্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে লে. কর্নেল (বরখাসত্ম) সৈয়দ ফারম্নক রহমান, লে. কর্নেল (অব) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, লে. কর্নেল (অব) মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি), মেজর (অব) বজলুল হুদা এবং লে. কর্ণেল (অব.) একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার) কারাগারে আটক রয়েছে। অন্যদিকে লে. কর্ণেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশিদ, লে. কর্নেল (অব) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (অব) এ এম রাশেদ চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব) এন এইচএমবি নূর চৌধুরী, ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ, রিসালদার মোসলেহ্্উদ্দিন বিদেশে পলাতক রয়েছে। লে. কর্নেল (অব) আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় ২০০১ সালে জিম্বাবুইয়েতে মারা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.