এবার আগে ফিল্ডিং করে হাসলেন ভারতীয়রা

বিশেষ প্রতিনিধি প্রথম পর্বের মতো শ্রীলঙ্কার কাছে ফিরতি পর্বে হারলে ফাইনাল খেলতে বাংলাদেশের বিরম্নদ্ধে শেষ ম্যাচ পর্যনত্ম অপেক্ষায় থাকতেই হতো ভারতীয়দের।
কিন্তু এখন আর তার দরকার নেই। রবিবার কুমারা সাঙ্গাকারার দলকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট কনফার্ম করেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ভারতের ফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচটি তিন ম্যাচ জেতা শ্রীলঙ্কার প্রথম হারও। লঙ্কানদের এ হারে আইডিয়া কাপ থেকে বিদায় ঘটেছে স্বাগতিকদের। তিন জাতি টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। সোমবার মহেন্দ্র সিং ধোনি বাহিনীর সঙ্গে শাকিবদের রবিন লীগের ফিরতি তথা শেষ ম্যাচ রীতিমতো গুরম্নত্বহীন হয়ে পড়েছে। এটা এখন কেবলই নিয়মরক্ষার খেলা। এ ছাড়া পরে ব্যাট করা দলের জয়রথ সচল থাকার রেকর্ডও সমুন্নত থাকল। বাংলাদেশের বিরম্নদ্ধে দু'বার আর ভারতের সঙ্গে প্রথমবার মিলে তিনবার রান তাড়া করে জিতেছিলেন লঙ্কানরা। রবিবার টস জিতে ইচ্ছে করেই আগে ব্যাট বেছে নিয়েছিলেন কুমারা সাঙ্গাকারা। সে সিদ্ধানত্ম মোটেই কার্যকর হয়নি। বিফলে গেছে। শিশিরভেজা সন্ধ্যা ও রাতে বল করতে গিয়ে খাবি খেয়েছেন লঙ্কান বোলাররা। অবশ্য ওদের তেমন কিছু করারও ছিল না। পুঁজি মোটেই বড় ছিল না, সাকল্যে ২১৩ রান। আগেই প্রমাণ হয়েছে, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট আগের যে কোন সময়ের চেয়ে ব্যাটিংসহায়ক। শিশির পরের সেশনে বোলারদের বিশেষ করে স্পিনারদের ভোগায়। আগের চার ম্যাচে ২৬০, ২৯৬ ২৪৯ এবং ২৭৯ রান করা দলেরও শেষ রক্ষা হয়নি। প্রতিবারই রান তাড়া করা দল অনায়াসে জিতেছে। যে শিশিরভেজা পিচে ২৫০ থেকে ৩০০ রানও নিরাপদ পুঁজি থাকেনি, সেখানে ২১৩ রান তো অনেক কম। লঙ্কানরা তা নিয়ে লড়াই করতেও পারেননি। থিলান থুসারা, লাকমাল, ওয়েলেগেদারা, পেরেরা ও রান্দিভদের হতাশায় ডুবিয়ে গৌতম গাম্ভীর, ভিরাত কোহলি আর দিনেশ কার্তিকরা হেসেখেলে জয়ের বন্দরে পেঁৗছে গেছেন। ভারতীয়দের সাবলীল আর আক্রমণাত্মক উইলোবাজিতে দিনের ৯৮ বল আগেই খেলা শেষ হয়েছে। বিশ্রামে থাকা শেভাগের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া দিনেশ কার্তিক ৪০ বলে ৪৮ রানে ফিরে গেলেও আরেক ওপেনার গৌতম গাম্ভীর ও ভিরাত কোহলি ঠিকই ৭০-এর ঘরে পেঁৗছে যান। বাঁহাতি গাম্ভীর ৮৬ বলে ৭১ রানে ফিরে গেলেও কোহলি বিজয়ীর বেশে সাজঘরে ফিরে আসেন। নাটকীয়ভাবে তাঁরও ব্যাট অপরাজিত ছিল ৭১ (৬৮ বলে) রানে।
প্রথম দিন বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে যে ঘন কুয়াশা আর প্রচ- শিশির পড়েছিল, সময়ের প্রবহতায় তা কমেছে। তার পরও আগে ফিল্ডিং করা দলের সাফল্যের ধারা ঠিকই বহাল আছে। প্রথম দুই ম্যাচ শিশিরভেজা বলে কিছু করতে না পারলেও ভারতীয় পেসাররা কাল দিনের আলোয় ঠিকই জ্বলে উঠেছিলেন। বাঁহাতি জহির খান আর ডানহাতি অমিত মিশ্রাই পার্থক্য গড়ে দেন। তবে মজার তথ্য হচ্ছে, লঙ্কানরা প্রথম ধাক্কা খান আরেক পেসার সুদীপ ত্যাগীর হাতে। এই তরম্নণের প্রথম ওভারে ফিরে যান লঙ্কান ওপেনার উপুল থারাঙ্গা (০)। এর পর জহির ও অমিত দু'দিক থেকে টুঁটি চেপে ধরলে চরম বিপদে পড়েন লঙ্কানরা। অধিনায়ক কুমারা সাঙ্গাকারা (৬৮) আর সুরাজ রান্দিভের চেষ্টায় (৫৬) ২১৩ রানে গিয়ে ঠেকে। জহির ও অমিত তিনটি করে উইকেট দখল করেন। ৩৮ রানে ৩ উইকেট দখল করে আসরে প্রথম বোলার হিসেবে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন জহির খান।

No comments

Powered by Blogger.