নারী হিসেবে প্রথম এভারেস্ট জয়ের গল্প শোনালেন তাবেই

বিশ্বের প্রথম এভারেস্টজয়ী নারী তাবেই জুনকো বলেছেন, যত বিপদই আসুক, থেমে যাওয়া যাবে না। এগিয়ে গেলে জীবনের যেকোনো পর্যায়ে সাফল্য আসবেই।
গতকাল শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে তাবেই জুনকো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। ভ্রমণ ও পর্যটনবিষয়ক পাক্ষিক দ্য বাংলাদেশ মনিটর প্রথম এভারেস্টজয়ী নারীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশে এসে তাবেই জুনকো সুন্দরবনের টাইগার পয়েন্টের পূর্ব থেকে পশ্চিমে হেঁটেছেন। ১২ দিন ধরে বাংলাদেশে অবস্থানকালে তিনি দেশের সর্বোচ্চ পবর্তচূড়া কেওক্রাডংসহ অন্যান্য পর্বতচূড়ায় উঠেছেন।
অনুষ্ঠানে তাবেই নিজের শৈশবের গল্প শোনান। তিনি জানান, প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে বহুদিন ধরে তাঁর বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা ছিল।
অনুষ্ঠানে জুনকো ১৯৭৫ সালে প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট জয়ের সামাজিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। ১৯৭০ সালে চীন থেকে অনুমতি চেয়ে ব্যর্থ হন। এর দেড় বছর পরে নেপাল সরকার তাঁকে এভারেস্ট আরোহণে অনুমতি দেয়। তখন তাঁর মেয়ের বয়স মাত্র তিন বছর। স্বামীর সহযোগিতার কারণে তাঁর পর্বতারোহণ সফল হয়েছে।
৩৮ বছর আগে ১৯৭৫ সালে বিশ্বের প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্টে পা রাখেন তাবেই জুনকো। জাপানের ফুকুশিমায় জন্ম নেওয়া এই নারী মাত্র ১০ বছর বয়সে টোচিগির নাসু পর্বতের চূড়ায় ওঠেন। তখন থেকেই পর্বতারোহী হিসেবে নিজেকে অতিক্রমের স্বপ্ন দেখেন এই নারী। ১৯৯২ সালে প্রথম নারী হিসেবে তিনি সাত মহাদেশের সাত সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে আরোহণের গৌরব অর্জন করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাবেইকে প্রথম বাংলাদেশি এভারেস্টজয়ী মুসা ইব্রাহীম ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মান জানান। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই তাবেই জুনকো নামের প্রেরণা নিয়ে বড় হয়েছি। আজ তিনি আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে এভারেস্ট একাডেমির প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের হাতে তাবেই জুনকো ও মুসা ইব্রাহীম সনদ তুলে দেন।

No comments

Powered by Blogger.