নতুন সম্ভাবনা- হাসিনা-মনমোহন বৈঠক আজ 0 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিলস্নী পেঁৗছেছেন

মামুন-অর-রশিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সরকারী সফরে দিলস্নী পেঁৗছেছেন। স্থানীয় সময় সাড়ে ন'টায় দিলস্নীর পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিশেষ বিমান অবতরণ করে।
দিলস্নীর পালাম বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে নামার পর তাঁকে সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখান থেকে তিনি যান রাজধানীর পাঁচতারা হোটেল মৌর্য শেরাটনে। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন। ভারত সরকারের রীতি অনুযায়ী আজ ১১ জানুয়ারি সোমবার সকালে তাঁকে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংবর্ধনা জানানো হবে।
অতঃপর অবসান হলো দিলস্নীর প্রতীৰার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সন্ধ্যায় দিলস্নীর উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। অনেক প্রত্যাশা-প্রাপ্তি আর দেনদরবার মাথায় নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বহুল আলোচিত দিলস্নী সফরে গেলেন। তাঁর আগমনে দিলস্নী বর্ণাঢ্য সাজে রঙ্গিন হয়ে উঠেছে। রাসত্মার দু'পাশে শোভা পাচ্ছে দু'দেশের জাতীয় পতাকা। আইল্যান্ডে আলোকসজ্জার জাঁকজমক কারম্নকার্য। দিলস্নী গেট থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন, সংসদ ভবন, নর্থ বস্নক, সাউথ বস্নকসহ সর্বত্র আলো ঝলমল সাজসজ্জা। আজ সোমবার অপরাহ্নে দিলস্নীর ঐতিহাসিক হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত হবে হাসিনা-মনমোহন বৈঠক। কাল মঙ্গলবার তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ইন্ধিরা গান্ধী শানত্মি পদক গ্রহণ করবেন। পরশু বুধবার তিনি আজমীর শরিফে খাজা মইনুদ্দীন চিশতি (র) মাজার জিয়ারত শেষে দেশে ফিরে আসবেন। ৪১ সদস্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিসহ ১শ' ২৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার এই সরকারী সফর দু'দেশের অনেক সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সফরে গেলেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমানে সন্ধ্যা ছ'টা ২০ মিনিটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দিলস্নীর কর্মসূচী চূড়ানত্ম করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, মশিউর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মিজারম্নল কায়েস, স্বরাষ্ট্র সচিব সোবহান শিকদার, বিদু্যত সচিব আবুল কালাম আজাদ, যোগাযোগ সচিব মোকাম্মেল হক খান, বিশেষ দূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন প্রমুখ। ২০০৯ সালের শেষ দিকে এই সফর হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে ১০ জানুয়ারি করা হয়।

শেখ হাসিনার সফর হবে তাৎপর্যপূর্ণ ও অর্থবহ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের সফরে দু'দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সুনির্দিষ্ট এজেন্ডার ওপর ভিত্তি করে আলোচনা হবে। ইতোমধ্যে বিষয়বস্তু চূড়ানত্ম করা হয়েছে। সন্ত্রাস বিষয়ে তিনটি চুক্তি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিনিময়, বাণিজ্য বৈষম্য হ্রাস এবং বিদু্যত সহায়তা বিষয়ে মোট ছ'টি চুক্তির প্রসত্মাব রয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নৌ, সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগের প্রসার ঘটাতে অনুমোদিত হতে পারে 'মাল্টি মডেল ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম'। ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের জনৈক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার দিলস্নী সফর নিয়ে সর্বত্রই ইতিবাচক আবহ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ দিনের অমীমাংসিত অনেক সঙ্কটের সমাধান হবে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে। ভারত অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের ব্যাপারে যথেষ্ট ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। বিশেষ করে, ধ্বংসসত্মূপের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আসায় ভারত সরকার ও সে দেশের জনগণ এখন বাংলাদেশের ব্যাপারে যথেষ্ট ইতিবাচক চিনত্মাই করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের দু'ঘণ্টার বৈঠকে বিভিন্ন চুক্তি স্বাৰরিত হবে। চুক্তির ফাইল ওয়ার্ক আগেই চূড়ানত্ম করে রাখা হয়েছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সফর উপলৰে ভারত গিয়ে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তির ব্যাপারে যে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন সেই আলোকেই বিভিন্ন চুক্তি হচ্ছে বলে ভারতের একাধিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার পৰে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ভারতের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, 'এসব তারা আমলেই নিচ্ছেন না। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে অশুভ শক্তির কোন ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না।'

গান্ধী ও শেখ পরিবারের পারিবারিক সম্পর্ক
৭১'র মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের এক কোটি শরণাথর্ী ভারতে আশ্রয় পেয়েছে। অভুক্ত এই শরণাথর্ীদের মুখে ভারত সরকার তখন অন্ন তুলে দিয়েছে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্ধিরা গান্ধী বাংলাদেশকে সমর্থনের জন্য গোটা বিশ্ব ঘুরে বেড়িয়েছেন। ভারতের ২২ হাজার ৮শ' সৈনিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ৭২-এর ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময় দিলস্নীতে যাত্রাবিরতি করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত হয় 'মুজিব-ইন্ধিরা' চুক্তি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ৰমতায় এলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে 'গঙ্গার পানি বণ্টন' চুক্তি করেন। ভারতের গান্ধী পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশের শেখ পরিবারের সম্পর্ক একটি বিশ্বাস ও দর্শনের। দু'টি পরিবারই অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক চেতনার অগ্রযাত্রার কা-ারী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা ট্রাজেডির পর শেখ হাসিনাকে অনেক দিন ভারতে থাকতে হয়েছে। সেই দুঃসহ সময়ে যাঁরা তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের অনেকের সঙ্গে এই সফরে সৌজন্য সাৰাত হবে।
আনত্মর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও বিশেস্নষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর মৈত্রী ও সৌহাদ্যর্ের বন্ধন দৃঢ় করবে। বাংলাদেশের জঙ্গী তৎপরতা, সীমানত্ম সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অবস্থান এতদিন ভারতের শঙ্কার কারণ ছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদৰেপে জঙ্গীবাদ, সীমানত্ম সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লাগাম টেনে ধরতে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। এই শঙ্কা মুক্তি মাত্র এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের ইতিবাচক মানস কাঠামো গড়ে দিয়েছে। মৌলবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দু'দেশের সৌহাদর্্যপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কের পথে কাঁটা বিঁধাতে চায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দু'দেশের সরকারই কূটনৈতিক সম্পর্কের ভীত গভীর করতেই আগ্রহী। তাই দু'দেশের সম্পর্ক বাণিজ্যিক এবং ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের সীমানা পেরিয়ে অনেক গভীর থেকে প্রোথিত হবে। কূটনৈতিক স্বার্থাচারের বাইরে এবার দু'দেশের সম্পর্কের বন্ধন গ্রন্থিত হবে সভ্যতার অগ্রযাত্রায় মানবিক মূল্যবোধ বিকাশের ৰেত্র প্রশসত্ম হওয়ার দর্শন থেকে, যা ঘটেছিল ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়।

সোমবারের কর্মসূচী
১১ জানুয়ারি সোমবার সকালে তাঁকে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংবর্ধনা জানানো হবে। পরে তিনি রাজঘাটে গান্ধী সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে যাবেন। বেলা ১২টায় তিনি রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের সঙ্গে সাৰাত করবেন। সেখান থেকে হোটেলে ফিরে এলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাৰাত করবেন ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখাজর্ী ও লোকসভার বিরোধী দলের সুষমা স্বরাজ। বিকাল ৪টায় তিনি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাৰাতে মিলিত হবেন। বিকাল সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর হায়দ্রারাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত হবে দু'দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা। এতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের নেতৃত্ব দিবেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। এই পর্বেই বাংলাদেশ ভারত একাধিক চুক্তি সাৰরিত হতে পারে। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের দেয়া প্রীতিভোজে অংশ নেবেন।

মঙ্গল-বুধবারের কর্মসূচী
সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল থেকে জওহর লাল নেহরম্ন, ইন্ধিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবেন। দিনের অবশিষ্ট সময়ে তিনি ভারতের রাষ্টপতি প্রতিভা পাটিলের কাছ থেকে ইন্ধিরা গান্ধী শানত্মি পুরস্কার গ্রহণ করবেন। এরপর ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দর কুমার গুজরালের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে যাবেন। সেখান থেকে ফিরে আসবেন হোটেলে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন ভারতের রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই দিন তিনি ব্যবসায়ীদের মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেবেন। শেষ দিন বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিলস্নী থেকে আকাশ পথে জয়পুর হয়ে আজমীর শরীফ যাবেন। সেখানে খাজা মইনুদ্দীন চিশতীর (র) মাজার জেয়ারত শেষে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে জয়পুর ফিরে আসবেন। জয়পুর বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমানে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন।

হাসিনা-মনমোহন বৈঠকে আলোচনার বিশেষ এজেন্ডা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর উপলৰে দু'দেশেরই পররাষ্ট্র দফতর তাদের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। ইতোমধ্যে দু'দেশের পৰ থেকেই আলোচনার এজেন্ডা চূড়ানত্ম হয়েছে। চুক্তির বিষয়ে সকল প্রস্তুতি চূড়ানত্ম পর্যায়ে। দু'দেশের নিরাপত্তা (সিকিউরিটি), সীমানত্ম সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ, বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা ও বৈষম্য (ট্রেড বেরিয়ার) নিরসন, জ্বালানি (পাওয়ার) উৎপাদন, স্থল বন্দর (পোর্ট), রেল ও সড়ক যোগাযোগের প্রসার, যৌথ নদীর পানি বণ্টনে সমানুপাত নিশ্চিত করার বিষয়সমূহ আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। কূটনৈতিক পর্যবেৰক ও বিশেস্নষকদের মতে, অতীতের সব হিসাব নিকাশ পাল্টে এবার ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থই হবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে নতুন দিগনত্ম উন্মোচনের নিয়ামক। ইতোমধ্যে দু'দেশের সরকার পরস্পরের জন্য পলিসি গাইডলাইন পাঠিয়েছে। এবার দীর্ঘ দিন ধরে অমীমাংসিত দ্বিপাৰিক অনেক সঙ্কটের সমাধান হবে, যা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৰেত্রে ভবিষ্যতের জন্য 'মাইলস্টোন' হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনার জন্য সুনির্দিষ্ট এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে_ বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস, বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, বাংলাদেশকে বিদু্যত সরবরাহ , চট্টগ্রাম ও মংলার সমুদ্রবন্দর ব্যবহার, যৌথ নদ-নদীর পানি বণ্টনে সমানুপাত নিশ্চিত করা, ব্রহ্মপুত্রের উৎসস্থলে চীনের সাংপো ড্যাম নির্মাণের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি, সীমানত্ম সমস্যা, সীমানত্ম সন্ত্রাস, ভারতের উত্তর- পূর্বাঞ্চলে বিনিয়োগ, বিমান-নৌ-রেল-সড়ক এবং পর্যটনের ৰেত্রে সম্পৃক্তি বাড়ানোর বিষয় আলোচনায় রয়েছে। এবারের এই সফর দ্বিপাৰিক স্বার্থ সমুন্বত রেখে দু'দেশের জন্য সম্ভাবনার অনেক রম্নদ্ধ দ্বার খুলে দিতে পারে।

1 comment:

  1. webwinkel beginnen ideeen eigen webwinkel beginnen

    My weblog ... Webwinkel beginnen blog

    ReplyDelete

Powered by Blogger.