ইউসুফ-আব্বাসকে আসামি করে বাগেরহাটে ৩০ জনের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাগেরহাট জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির পাকিসত্মান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা একেএম ইউসুফ এবং সাবেক সাংসদ বিএনপির মোরেলগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ড. মিয়া আব্বাস উদ্দিনসহ ৩০ জনকে আসামি করে যুদ্ধাপরাধের একটি মামলা করা হয়েছে।
৩৮ বছর পর শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল ফকিরের স্ত্রী আছিয়া খাতুন বাদী হয়ে সোমবার বাগেরহাটের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য শরণখোলা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলার আর্জিতে বলা হয়, বাদীর স্বামী জয়নাল ফকির একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭১ সালের ৯ জুন শরণখোলার তাফালবাড়ী বাজারে খাদ্যসামগ্রী ক্রয়ের জন্য যান। এ সময় এই মামলার আসামি মাওলানা একেএম ইউসুফ এবং সাবেক সাংসদ বিএনপি নেতা ড. মিয়া আব্বাস উদ্দিনের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তাঁকে ঘিরে পৈশাচিক উন্মত্ততায় মেতে ওঠে। পরে তাঁকে খালের পাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর লাশ খালে ভাসিয়ে দেয় বলে অভিযোগে উলেস্নখ করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলো- আঃ কাদের চৌকিদার, আব্দুস ছত্তার খান, সেকেন্দার হাওলাদার, আঃ রব হাওলাদার, নজির মৃধা, আতাহার হাওলাদার, মোসলেম আকন, আলতাফ খান, মতিয়ার রহমান, আবুল হারেজ খান, সুলতান মৃধা, নুর উদ্দীন মৃধা, দেলোয়ার হোসেন, লতিফ পঞ্চায়েত, আবদুল হক আকন, তোফাজ্জেল হোসেন, লুৎফর রহমান, কাঞ্চন আলী খান, হামেজ পাহোলান, মজিদ তালুকদার, হাবিব আকন, আবদুর রব গাজী, হাফেজ আমীর হোসেন, মোতালেব কবিরাজ, আবদুল হামিদ খান, ইদ্রিস মোলস্না, হাবিব মোলস্না, মিয়া আব্বাস উদ্দিন, আবুল বাশার তালুকদার। এ মামলার আসামিদের বাড়ি মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। এছাড়া এই মামলায় আরও অজ্ঞাত ১০/১২ রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী আসামি রয়েছে বলে উলেস্নখ করা হয়। বাদীর পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট আবু হাসান।

No comments

Powered by Blogger.