বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড রুগ্ণ রাজনীতির বহিঃপ্রকাশঃ ড. কামাল

বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডকে রুগ্ণ রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে উল্লেখ করে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘সোনার ছেলেদের লেলিয়ে দিয়ে
পুলিশকে কেবল দর্শকের ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেয়ার মতো জঘন্য কাজ আর হতে পারে না। এ ঘটনায় কেবল বিশ্বজিৎই শেষ হননি, রাজনীতির বলি হয়েছে হত্যাকারীরাও। এসব ছেলে দেশ ও পরিবারের জন্য অনেক কিছু দিতে পারত। কিন্তু তাদের আজ পৈশাচিক ঘাতক বানানো হলো। এ নোংরা রাজনীতি আর কত কাল চলবে?’

রাজধানীর খিলক্ষেতে পুলিশ কর্মকর্তা সমবায় সমিতির আবাসনের জন্য জমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। খিলক্ষেত নাগরিক সমাজ আয়োজিত এ সভায় আরো বক্তৃতা করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

দেশে গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ফসল তোলার ব্যাপারে গণমাধ্যম শতভাগ সহায়তা করে যাচ্ছে। বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে এ বাহিনী। তাদের নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

বাস্তুহারা জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যেখানে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছেন, সেখানে কেউ বস্তিবাসী থাকবে তা হবে না। তাদের জন্য স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা যেভাবে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না, তেমনি গণতান্ত্রিক সরকার ও দলকেও লুটেরা হিসেবে দেখতে রাজি নই। রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা অধিষ্ঠিত হবেন তাদের সৎ,  যোগ্য ও দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে।

বিশ্বজিৎ হত্যায় মিডিয়া অসাধ্য সাধন করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় জনগণ আস্থা পোষণ করে না। তারা কেবল ক্যামেরার ধারণকৃত দৃশ্যেই আস্থাবান।’
       

No comments

Powered by Blogger.