নাটোরে জামায়াত শিবিরের গোপন বৈঠক গ্রেফতার ১০

নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকার সাহারা প্লাজা থেকে সোমবার বিকেলে জামায়াত-শিবিরের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হলো বদিউজ্জামান, মাওলানা জাকির হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আবদুলস্নাহ আল মামুন, আবুল হাশেম, আবদুল হালিম, শাহজালাল, কামরম্নল ইসলাম, সৈয়দ আলী, সাদরুল উল্লাহ ও আনসার আলী।
এদের মধ্যে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালাতে গিয়ে সিঁড়ি থেকে পড়ে আহত হয় আবুল হাশেম ও আবদুল হালিম। আহতদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা ফারম্নক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকারের নেয়া পদৰেপের বিরম্নদ্ধে সোমবার দুপুরে নাটোরে ফারইস্ট ইন্সু্যরেন্স কোম্পানির অফিসে গোপন বৈঠকে মিলিত হয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। সরকারের বিরম্নদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেই তারা সাহারা পস্নাজায় মিলিত হয় বলে নাটোর সদর থানার ওসি আবদুলস্নাহ আল মামুন জানান। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে জামায়াত-শিবিরের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, আটক বদিউজ্জামান নলডাঙ্গা থানার বাঁশভাগ গ্রামের আবু তালেব প্রধানের ছেলে। মাওলানা জাকির হোসেনের বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলার পূর্ণকলস গ্রামে। একই উপজেলার বালিয়া গ্রামের রিয়াজউদ্দিনের ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আবদুলস্নাহ আল মামুন। সিংড়া বাজারের আটক সাদরম্নল উলস্নাহ শোলাকুড়া আলিয়া মাদ্রাসার শিৰক। নাটোর শহরের চৌধুরী বড়গাছা এলাকার আবু তালেবের ছেলে শাহজালাল নাটোর সদর উপজেলার বিল হালতি কলেজের শিৰক। বাগাতিপাড়া উপজেলার কাজীর চক গ্রামের আলতাফ মোলস্নার ছেলে কামরম্নল ইসলাম বাগাতিপাড়া প্রেসকাবের সভাপতি। অন্যদের মধ্যে সৈয়দ আলীর বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার বাগরোম গ্রামে, সিংড়া উপজেলার বড় সাঐল গ্রামের মোতালেব আলীর ছেলে আনসার আলী, নাটোর সদর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশেম ও একই উপজেলার রায় হালসা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে আবদুল হালিম।

No comments

Powered by Blogger.