খবর শুধু খবর নয় by নিয়ামত হোসেন

মাত্র পাঁচ সেন্টের একটি মার্কিন কয়েন (মুদ্রা) সম্প্রতি নিলামে বিক্রি হয়েছে ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলারে। মুদ্রাটি ১৯১৩ সালে তৈরি হয়েছিল ফিলাডেলফিয়ার টাকশালে।
ফোরিডার এক প্রধান শহর ওরল্যান্ডোর এক মুদ্রা সংগ্রহকারী এই মুদ্রাটি কিনে নিয়েছেন বলে প্রকাশিত এক খবরে জানা গেল। তবে ক্রেতার নাম অবশ্য গোপন রাখা হয়েছে। জানা গেছে, মুদ্রাটি ছিল মিসরের বাদশাহ ফারম্নকের। তাঁর কাছ থেকেই এটি পাওয়া যায়। বাদশাহ ফারম্নক ১৯৫২ সালে ৰমতাচু্যত হন।
যাই হোক, মুদ্রাটি সকল দিক থেকেই ঐতিহাসিক এবং গুরম্নত্বপূর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি এবং মিসরের সাবেক বাদশা ফারম্নকের কাছে থাকার কারণে মাত্র পাঁচ সেন্ট অর্থাৎ পাঁচ পয়সার মুদ্রাটির এত কদর এবং সে কারণে এত দাম। যিনি এটি কিনে নিলেন তিনি হয়ত অনেক দিন পরে এটিকে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি করে বিপুল ধন অর্জন করবেন!

নেদারল্যান্ডস জেলখানা ভাড়া দিয়েছে
বেলজিয়ামের কারাগারগুলোতে বন্দীদের জায়গা হচ্ছে না। তাই বেলজীয় সরকার বিদেশের জেলখানা ভাড়া নেয়ার ব্যাপারে বেশ কিছুদিন ধরে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এখন নেদারল্যান্ডস তাদের জেলখানা বেলজিয়ামকে ভাড়া দিতে রাজি হয়েছে। জানা গেছে, এ নিয়ে দুই পৰের মধ্যে চুক্তি স্বাৰরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী নেদারল্যান্ডসের টিবসবার্গ শহরের জেলখানার খালি কৰগুলোতে বেলজিয়াম তাদের বন্দীদের রাখবে। বেলজিয়ামের ৫০০ বন্দী তথা কয়েদি সেখানে থাকবে। চুক্তি হয়েছে তিন বছরের জন্য। নেদারল্যান্ডস এজন্য পাবে বছরে তিন কোটি ইউরো।
এ ধরনের ঘটনা সম্ভবত এটাই প্রথম। নেদারল্যান্ডসও অন্য দেশের কাছে এই প্রথম কোন কারাগার ভাড়া দিল।
ইউরোপের দেশগুলোয় বন্দীদের জেলখানায় রাখা হলেও তাদের গাদাগাদি করে যে থাকতে হয় না সেটা শোনা যায়। ধারণা করা যেতে পারে গাদাগাদি করে রাখলে এই পাঁচ শ' জনকেও ঠেলে ঠুলে স্বদেশের বিভিন্ন কারাগারে রেখে দিতে পারত। পারছে না বলেই সরকারকে হয়ত টাকা খরচ করে বিদেশে জেলখানা ভাড়া করতে হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.