সরকার নির্মাণ কাজ শীঘ্র শুরু করতে চায় ॥ যোগাযোগমন্ত্রী- মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

 মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নামে জাইকা যদি কালপেণ করে তাহলে সরকার জাপানের আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াই কাজ শুরু করবে।
সরকার এ প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরু করতে চায়। জাপানের সহযোগিতা নেয়ার জন্য প্রকল্পের কাজ শুরম্ন করার ৰেত্রে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। ঢাকার পরিবহন সংক্রানত্ম এক কর্মশালা শেষে সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এ কথা জানিয়েছেন।
ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ডের (ডিটিসিবি), যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও জাইকার যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। ডিটিসিবি'র নির্বাহী পরিচালক মোঃ মশিহুর রহমান, জাইকার বাংলাদেশ প্রধান প্রতিনিধি টেকাও টোডা, রোডস ও হাইওয়ে বিভাগের সচিব মোঃ মোজাম্মেল হক খান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী কর্মশালায় বক্তৃতা করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে যোগাযোগমন্ত্রী জানান, সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়া জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বাংলাদেশকে কোন আর্থিক সহযোগিতা দেবে না। এ জন্য সংস্থাটির নিজস্ব লোকবল দিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ না হওয়া পর্যনত্ম এ প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বান করছে না সরকার। বর্তমান সরকার এ প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরম্ন করতে চায়। তবে জাপানের সহযোগিতা নেয়ার জন্য আমাদের কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। সেই বিলম্বের কারণে যদি বর্তমান সরকারের আমলে কাজটি শুরম্ন করা না যায় বা সিগনিফিক্যান্ট কিছু করতে না পারা যায় তাহলে তাদের সহযোগিতার জন্য অপো করব না। কারণ, এটা সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে অনুমোদিত প্রকল্প। কাজের টেন্ডার আহ্বান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে তৈরি এসটিপি'র ভিত্তিতে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও অর্থনীতিবিষয়ক কমিটির সদস্যরা তা অনুমোদন করেছেন। এর পরই যে কোন সময় ওই কাজের জন্য টেন্ডার আহবান করা যেতে পারে। কিন্তু জাপান ও জাইকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেল নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই করার অনুরোধ জানানোর কারণে টেন্ডার আহ্বান করা হচ্ছে না। তাদের যাচাই রিপোর্ট পাওয়ার পর জাপান ও বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পের আর্থিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমরা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)-এর ভিত্তিতে এ কাজ বাসত্মবায়ন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জাপান ও জাইকার সহযোগিতার আশ্বাস পেয়ে আমরা তাদের সহযোগিতার জন্য অপো করছি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ কাজে যদি কোন প্রতিষ্ঠান বিড না করে তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন বিগত চারদলীয় জোট, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে বর্তমান মহাজোট সরকারের কাজ ও চিনত্মাচেতনার মধ্যে কি পরিমাণ ব্যবধান রয়েছে। পিপিপি ভিত্তিতে প্রকল্পের কাজ করলে হংকং মেট্রো, জাপান ও কোরিয়ার পৃথক দুটি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে বলে জানান মন্ত্রী।
কর্মশালায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, এ পরিকল্পনা তৈরিতে অনেক সময় ও টাকা ব্যয় হলেও কাজের কাজ হয়নি। বাসত্মবেও এর কোন অগ্রগতি নেই।

No comments

Powered by Blogger.