অর্জনের সময় এসেছে, ঐক্য জরুরী -এরশাদ

দেশ বিশৃঙ্খলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শুরু হয়েছে হানাহানি। রাজপথে প্রকাশ্যে খুন হচ্ছে। দেশ অস্থিতিশীল অবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়ার কারণে ব্যথা হয়। এ অবস্থার উন্নতি জরুরী। অনেক আশা নিয়ে মহাজোটকে সমর্থন করেছিলাম। আস্তে আস্তে আশাহত হচ্ছি। এখনও সময় আছে প্রতিশ্রম্নতি রক্ষার; দেশকে এগিয়ে নেয়ার। কূটনৈতিক তৎপরতা ব্যর্থ হওয়ার কারণে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আমাদের দেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ হয়ে গেছে। বলেছেন, মহাজোটের অন্যতম শরিক ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। রবিবার রাজধানীর নভো কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় পার্টি আয়োজিত আনত্মর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এরশাদ বলেন, বাংলা ভাষার ভবিষ্যত কি জানি না। তিনি বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বাংলা ভাষা রৰার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা বাংলা ভাষাকে বাঁচান। তিনি বলেন, কূটনৈতিক তৎপরতা ব্যর্থ হওয়ার কারণে জনশক্তি রফতানি কমে আসছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের রেমিট্যান্স আয় কমবে। আমরা দ্বিধাবিভক্ত জাতি। অর্জনের জন্য ঐক্য জরম্নরী। এখন অর্জনের সময় এসেছে। দ্বিধাবিভক্ত থাকলে চলবে না। ছাত্র সংঘাত, রাজপথে গোলাগুলি এ অবস্থায় বিদেশীরা কেন আসবে বিনিয়োগ করতে? দেশে শানত্মিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে বিনিয়োগ আসবে না। বিদেশীরা বিনিয়োগে অনীহা প্রকাশ করবে।
তিনি বলেন, দেশের সম্পদ লুট বা বিদেশে পাঠাতে নয়, গরিব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে হবে। ঐক্য থাকলে কোন শক্তি জাতীয় পার্টিকে রম্নখতে পারবে না। আমার কিছু চাওয়ার নেই। নয় বছর রাষ্ট্রপতি থেকে সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছি। আমার শেষ ইচ্ছা ছিল, শেষ জীবনে ইজ্জত-সম্মান নিয়ে কাটাব। সেই সঙ্গে দলকে প্রতিষ্ঠিত করে যাওয়া। কিন্তু দল এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন, ২১কে কেন্দ্র করে এখন বাংলা ভাষা চলছে। ২১ ফেব্রম্নয়ারি গেলেই সবাই বাংলা ভাষার কথা কেউ মনে রাখে না। ভুলে যায়। আমরা এখন ড্যাডি আর মাম্মিতে চলে গেছি। বাংলা ভাষাকে জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমি ৰমতায় থাকার সময় আইন করে বাংলা ভাষার সর্বত্র প্রচলনের ব্যবস্থা করা হয়। এখন এর ধারাবাহিকতা নেই। ২১-এর শহীদরা স্বাধীনতার পথিকৃৎ। ফেব্রম্নয়ারির ২১ তারিখের পরদিনই ইংরেজী স্কুলে যাই আমাদের সনত্মানদের নিয়ে। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার ভবিষ্যত কি জানি না। বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলা ভাষাকে বাঁচান। ভাষাকে অবহেলা করা কোনভাবেই উচিত নয়। তাই বাংলা ভাষা রৰার উদ্যোগ নিন। মাতৃভাষাকে যে কোন মূল্যে আমাদের রৰা করতে হবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সর্বত্র বাংলা চালু করতে হলে হাইকোর্টে কেন বাংলা ভাষায় রায় হবে না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, হাইকোর্টে বাংলা ভাষায় রায়ের প্রচলন করতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করি প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।

No comments

Powered by Blogger.