চিড়িয়াখানায় অনিয়ম দুর্নীতি- পশুসম্পদের ডিজি সাসপেন্ড

 চিড়িয়াখানায় জিরাফ কেনায় ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং একের পর এক পশু মৃত্যুর ঘটনায় পশুসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. হাবিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, একই মন্ত্রণালয়ের সচিব তার এই বরখাস্ত আদেশ অনুমোদন করেছেন। বর্তমানে মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উপ-পরিচালক ডা. সুনীল কান্তি গায়েনকে।
সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে উপ-পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান অধিদফতরের মহাপরিচালক হিসেবে চলতি দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরম্নদ্ধে ২০০৮ সালের ২৭ জুন চিড়িয়াখানার পাঁচটি জিরাফ কেনায় ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে মন্ত্রণালয়। এর পরও চিড়িয়াখানায় আর যাতে কোন অনিয়ম না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. হাবিবুর রহমানকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মন্ত্রীর কোন নির্দেশ মানেননি। নিজের ইচ্ছামতো পশুসম্পদ অধিদফতর চালিয়েছেন।
একটি কার্গো উড়োজাহাজে করে দৰিণ আফ্রিকা থেকে পাঁচটি জিরাফ আনা হয়েছিল। প্রতিটি জিরাফের দাম পড়েছিল ৮৫ লাখ টাকা। এই হিসেবে পাঁচটি জিরাফের দাম ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে এখান থেকে তিনটি জিরাফ মৃতু্যর কোলে ঢলে পড়েছে। বাকি দু'টি জিরাফের অবস্থাও ভাল যাচ্ছে না। এ দু'টিও অসুস্থ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
চিড়িয়াখানায় যে শুধু জিরাফই মারা যাচ্ছে তা নয়। এখানে গত বছর একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, একটি সিংহ ও একটি চিতাবাঘ মারা গেছে। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় গ-ার, সিংহ, শিম্পাঞ্জিসহ আরও কয়েকটি দুর্লভ প্রাণী মারাত্মক অসুস্থতায় ভুগছে। অসুস্থের তালিকায় ৪২টি প্রাণী রয়েছে।
চিড়িয়াখানার এ সব ঘটনাসহ আরও কয়েকটি কারণে মন্ত্রণালয় থেকে তার বিরম্নদ্ধে একটি তদনত্ম কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। কমিটি দীর্ঘ তদনত্ম করার পর অভিযোগের প্রমাণ পায়। পরে রিপোর্টটি মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হলে মন্ত্রী তাকে সোমবার সাময়িক বরখাসত্ম করেন।

No comments

Powered by Blogger.