জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড আইনের খসড়া অনুমোদন- মন্ত্রিসভার বৈঠক

 সোমবার মন্ত্রিসভা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য গঠিত জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
বৈঠকে আরও অনুমোদন দেয়া হয়েছে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরা) আইন এবং পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে শহীদ মিনারের পবিত্রতা নষ্টকারীদের বিরম্নদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে জঙ্গীর আস্থানা রয়েছে বলেও মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়। বৈঠকে মৎস্য ও পশু সম্পদমন্ত্রী মোঃ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস জানান, সম্প্রতি তিনি চট্টগ্রাম ঘুরে এসেছেন। চট্টগ্রামে জঙ্গী তৎপরতা রয়েছে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে জঙ্গীদের আস্থানা রয়েছে। সাম্প্রতিক চট্টগ্রামে পাহাড়ী-বাঙালীদের মধ্যে সংঘর্ষে তারা উস্কানি যোগাতে পারে। মন্ত্রিসভা জঙ্গীদের বিরম্নদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধানত্ম নিয়েছে বলে সংশিস্নষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ সভাকৰে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে জনগণের জানমাল রা করতে হবে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড আইন প্রবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।চ্ এ তহবিলের জন্য চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
পারিবারিক সহিংসতা আইনের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, ুপারিবারিক নির্যাতন বন্ধ করার ল্যেই এ আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিশ্বের ৮৯টি দেশে এ ধরনের আইন আছে।চ্ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে আজাদ বলেন, ুএটি সময়োপযোগী আইন। পারিবারিকভাবে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ না হলে জাতীয় পর্যায়ে এর প্রভাব পড়বে।চ্
মাংস রফতানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের জটিলতায় যেন না পড়তে হয়, সে জন্য পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইনও নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ুআমাদের দেশে যেভাবে পশু জবাই হয় তাতে মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ হয় না। মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ করা গেলে অনেক দেশে তা রফতানি করা সম্ভব হবে।চ্
এছাড়া তথ্য অধিকার (সংশোধন) আইন অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঠানো হলে এটি ফেরত পাঠানো হয়েছে। এতে কিছু সংশোধন এনে উত্থাপন করতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি বলেন, খসড়া প্রসত্মাবটিতে ভাষাগত কিছু ত্রুটি আছে। তাই এটি আরও সংশোধন করতে হবে। সংশোধন শেষে পুনরায় এটি বৈঠকে উত্থাপন করা হবে।
পারিবারিক সহিংসতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে তাঁর প্রেসসচিব বলেন, আইনটি বাংলাদেশের জন্য সময়োপযোগী ও অত্যনত্ম জরম্নরী। প্রসত্মাবিত আইনটিতে পাঁচটি পরিচ্ছদ ও ৪৪টি ধারা রয়েছে। এর মাধ্যমে পারিবারিক সহিংসতা হ্রাস পাবে বলে তিনি মনে করেন। পশু জবাই আইন প্রসঙ্গে আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশে বর্তমানে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পশু জবাই করা হয় না। কিন্তু বিভিন্ন দেশে হালাল মাংসের চাহিদা রয়েছে। সেসব দেশে রফতানি করতে হলে পশু জবাইয়ের একটি আইন প্রয়োজন, এ চিনত্মা থেকে আইনটি করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রিসভার সদস্যবর্গ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংশিস্নষ্ট প্রতিমন্ত্রীগণ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংশিস্নষ্ট সচিবগণ ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব।

No comments

Powered by Blogger.