রাজনৈতিক যুদ্ধের ত্রে, যুদ্ধাস্ত্র এবং সেনাপতি by মে. জে. (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক

গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১২ একটি অনন্য সাধারণ রাজনৈতিক দিন ছিল। ১৮ দলীয় জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা মহানগরে জনসংযোগে যান।
বিগত পনেরো-ষোল মাসে ঢাকা মহানগরে কয়েকটি বিশাল বা অনেক বড় বড় মিটিং বা জনসমাবেশ বা সমাবেশ হয়েছে, বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে। স্থান ছিল নয়া পল্টন বিএনপি অফিসের সামনে রাজপথ। ২৬ ডিসেম্বর বুধবারের কর্মসূচি ছিল ুদ্র ুদ্র সমাবেশের। প্রধান ব্যক্তিত্ব অবশ্যই ১৮ দলীয় জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ১৮ দলীয় জোটের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধানেরা বা তাদের প্রতিনিধিরা ওই সমাবেশগুলোতে অংশ নেন। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির বয়স মাত্র পাঁচ বছর। পাঁচ বছরের মানবশিশুর মতোই অনাবিল স্বতঃস্ফূর্ততায় এবং স্বচ্ছতায় যাবতীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে। অতএব, জনসংযোগ কর্মসূচিতেও অংশ নিয়েছে। আমি নিজে মিরপুর গাবতলীতে এবং সবুজবাগ বালুর মাঠে উপস্থিত থেকেছি এবং স্বাগতিক বা মেজবান ব্যক্তিত্বদের সৌজন্যে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের অন্য নেতৃবৃন্দ অন্যান্য জায়গায় ছিলেন এবং কর্মীরা ছয়টি জায়গাতেই ছিলেন। তবে বিএনপির তুলনায় আমাদের কর্মী সংখ্যা অবশ্যই নগণ্য, যথা এক কলস পানি এবং এক কাপ পানির তুলনা। তথাপি আমি বা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি বিশ্বাস করি ‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ’। অথবা ‘একের বোঝা দশের লাঠি’।
ঢাকা মহানগরের একটি জায়গায় সমাবেশ হলে সমস্ত মহানগরের মানুষকে এক জায়গায় আসতে হয়। অপর পে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যদি মহানগরের বিভিন্ন অংশে গিয়ে উপস্থিত হন, তাহলে মানুষের পে তার সামনে আসা সহজতর হয়। ২৬ ডিসেম্বর এই সহজতর কাজটি করা হয়েছে। সব শরিক দলের বিভিন্ন বক্তার বক্তব্য মুদ্রণ মিডিয়ায় বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় উপস্থাপিত হওয়ার সুযোগ কম। মুদ্রণ মিডিয়ার জন্য স্পেইস অনেক মূল্যবান এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য সময় অনেক মূল্যবান। তবে যত বক্তা যত কিছুই বলি বা বলেন, সময়ের অভাবে কথাগুলো সংপ্তি হয়। সংপ্তি হওয়াটাই স্বাভাবিক এবং শোভনীয়। অতএব বেশির ভাগ দলীয় প্রধানেরা বা জ্যেষ্ঠ নেতারা একটি বা দু’টি আঙ্গিক নিয়ে কথা বলে ান্ত হন। আমি নিজে একজন রণাঙ্গনের প্রত্য মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় আমি প্রায় সময় আমার বক্তব্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে সমন্বিতভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করি। ২৬ ডিসেম্বর গাবতলীতে ও সবুজবাগে আমার বক্তব্যের মূল থিম বা ফোকাস ছিল তরুণদের দেশপ্রেম ও ঈমান নিয়ে। সেটি ছিল এই রকমÑ বিপীয় রাজনৈতিক কর্মীদের হামলায় বা পুলিশের হামলায় শরীর জখম হতে পারে, মামলার কারণে মন বিষাদগ্রস্ত হতে পারে কিন্তু ওই সব হামলা বা মামলা একজন দেশপ্রেমিক নাগরিকের দেশপ্রেম এবং ঈমানকে না জখম করতে পারে না হরণ করতে পারে। আমি যখন বাইশ বছরের যুবক ছিলাম, তখন লাখো যুবকের সাথে মিলে দেশকে স্বাধীন করার জন্য অস্ত্র হাতে রণাঙ্গনে গিয়েছি। আজকের যুবকগণকে সেই স্বাধীনতা রার জন্য, মাটি ও মানুষকে রার জন্য রাজনৈতিক যুদ্ধ করতে হবে। সেই রাজনৈতিক যুদ্ধের ত্রে হচ্ছে, রাজপথ। সেই রাজনৈতিক যুদ্ধের অস্ত্র হচ্ছে দেশপ্রেম ও ঈমান। সেই রাজনৈতিক যুদ্ধের সেনাপতি হচ্ছেন জোটের নেতারা এবং প্রধান সেনাপতি হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
আবার বক্তাদের প্রসঙ্গে ফিরে আসি। এরূপ বক্তারা যা বলেন, তা অবশ্যই দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি বা পরিবেশের মধ্য থেকে উত্থিত আঙ্গিক। অতএব, নেতারা যা বলেন সেটা আসলেই দেশনেত্রীর বক্তব্যের একটি অংশ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার নাতিদীর্ঘ বক্তব্যে ওই সব কথা আবার নিজের মতো করে বলেন। বেগম জিয়ার বক্তব্য হৃদয়গ্রাহী হয়। ল জনতা ওই বক্তব্য শোনার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপো করেন। ২৬ ডিসেম্বর বুধবার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে বক্তব্য রেখেছেন তার চুম্বক অংশ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় গভীর রাত পর্যন্ত এবং দু’একটি েেত্র ২৭ তারিখ পর্যন্ত তার বক্তব্য উদ্ধৃত হয়েছে। সেখান থেকে মাত্র একটি বিষয়ের ওপর আমি আলোচনা করব। বিষয়টি হলো, আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা বা আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করা প্রসঙ্গে।
১৯৭১-এর পূর্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে স্বায়ত্তশাসনমুখী বা স্বাধীনতামুখী করার জন্য তৎকালীন রাজনৈতিক দলগুলোই কৃতিত্বের দাবিদার। সর্বাধিক কৃতিত্বের অধিকারী হচ্ছে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ এবং তাদের সম্মিলিত জ্যেষ্ঠ নেতৃত্ব। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে, ওই সরকারের নেতৃত্বও দিয়েছেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ। যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন আমার বয়স বাইশ বছর চলছে। ঘটনার বিয়াল্লিশ বছর পর, এখন একটি প্রশ্ন মনে জাগে যে, যদি পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক সরকার জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিত তাহলে কী হতো? ওই ফলাফল মানতে অনিচ্ছা ছিল বলেই ১ মার্চ ১৯৭১ তৎকালীন সামরিক সরকার জাতীয় সংসদের অধিবেশন বাতিল করেছিল। যদি অধিবেশন বাতিল না হতো তাহলে অধিবেশন বসার কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনের মধ্যেই দেশের জন্য গণতান্ত্রিক নেতা নির্বাচিত হতেন তথা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতেন। ওই সময় সংখ্যাগরিষ্ঠতার সৌজন্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রথম হকদার ছিলেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অধিবেশন বাতিল করে সামরিক সরকার জনগণের রায়কে অসম্মান করেছিল। অধিবেশন বাতিল করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করেছিল। যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকত এবং যদি গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতেন, তাহলে ২৫ মার্চ ১৯৭১ দিবাগত রাত ১২টার পর তথা ২৬ মার্চ ১৯৭১-এর প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হতো না এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতো না। গণতন্ত্রকে অস্বীকার করে আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করতে সুযোগ করে দিয়েছে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। এই প্রোপটেই আমি বলতে চাই, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের চর্চা। ডিসেম্বর ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলো। ১৯৭২ সালে সংবিধান রচিত এবং গৃহীত হলো। মার্চ ১৯৭৩-এ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো; অতঃপর সংসদ কার্যকর হলো। ওই সংসদে দশ ভাগের সাড়ে নয় ভাগ সদস্যই ছিলেন আওয়ামী লীগের। মাত্র এক বছর নয় মাস পর জানুয়ারি ১৯৭৫-এ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক বিপ্লব সাধন করলেন। এরা বহুদলীয় গণতন্ত্র বাতিল করলেন। এরা একটি মাত্র রাজনৈতিক দল করে কার্যত ওই সময়ের পৃথিবীর কমিউনিস্ট বা সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর মতো শাসনপদ্ধতি কায়েম করলেন। এরা মিডিয়াকে প্রায়-হত্যা করলেন। সব পেশার রাজনীতিকায়ন করলেন। আটত্রিশ বছর আগে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের প্রতি যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, সেইরূপ যে আবার করবেন না, তার নিশ্চয়তা কোথায়?
১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ অতি প্রত্যুষে, ঢাকা মহানগরীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৩২ নম্বর সড়কে নিজ বাসভবনে সশস্ত্র আততায়ীর গুলিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হয়েছিলেন। আততায়ীরা দলবদ্ধ ছিলেন। তৎকালীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু অফিসার এবং সেই অফিসারদের নেতৃত্বে সৈনিক, সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করে, কার্যত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, ঢাকা সেনানিবাস ত্যাগ করে, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় গমন করে বঙ্গবন্ধুর বাসস্থান আক্রমণ করেন। আক্রমণ বলতে বুঝাচ্ছি যে, নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নেন। অতঃপর বঙ্গবন্ধু নিহত হন। আসলে কি বিদ্রোহ বা সরকার পরিবর্তনটি ওইটুকু কর্মকাণ্ডের মধ্যে সীমিত ছিল? উত্তর হচ্ছে, ছিল না। ১৫ আগস্ট দিনের বেলাতেই খোন্দকার মোশতাক আহমদ দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। ওই সময়ের বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর তিনজন প্রধানই তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। ওই সময়ের বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চার ভাগের তিন ভাগ সদস্যই তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। তাদের মধ্য থেকেই নতুন করে সদস্য নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। খোন্দকার মোশতাক ছিলেন ১৯৭১ সালের প্রবাসী মুক্তিযুদ্ধ সরকারের অতি ুদ্র অবয়বের যে মন্ত্রিসভা, তারই একজন সদস্য। যেখানে মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যায় ছয়জনের কম, সেই মন্ত্রিসভায় একজন সদস্য হওয়া প্রমাণ করে যে, খোন্দকার মোশতাক আওয়ামী লীগের অত্যন্ত আস্থাভাজন নেতা ছিলেন। ১৫ আগস্ট ১৯৭১ যেদিন বঙ্গবন্ধু নিহত হন, সেই সময়েও তিনি ক্যাবিনেটের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর, খোন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বেই তৎকালীন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ সরকার গঠন করে এবং সরকার পরিচালনা শুরু করে। খোন্দকার মোশতাক ভালো মানুষ ছিলেন কি ছিলেন না আমি সে মন্তব্য এখানে করব না। আমার মন্তব্য হচ্ছে তিনি কেমন মানুষ ছিলেন সেটা ১৫ আগস্টের পূর্বেকার আওয়ামী লীগ কি জানত, না জানত না? আর ১৫ আগস্টের পরের আওয়ামী লীগ তো জেনেশুনেই নেতা মেনে নিয়েছিলেন। ২০১২ এবং ২০১৩ সালের সন্ধিণে প্রশ্ন জাগে, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে সব জ্যেষ্ঠ নেতাকে কি বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে, জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে, নেতাগণের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বাস করা যায়?
১৯৮৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার সামরিক সরকারকে রাজনৈতিক বৈধতা দেয়ার জন্য একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন। ১৯৮৬ মানে, আজ থেকে মাত্র সাতাশ বছর আগের কথা। এই কলামের প্রায় অর্ধেকের বেশি পাঠকের মানসপটে ১৯৮৬-এর স্মৃতি এখনো থাকার কথা। সেই সময় বাংলাদেশের পুরো রাজনৈতিক অঙ্গন জেনারেল এরশাদের বিরোধিতা করছিল। বিরোধিতাকারীরা একাধিক শিবিরে ছিলেন কিন্তু প্রধান দু’টি শিবির ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন। তৎকালীন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে সে সময় একটি রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েছিল এই মর্মে যে, জেনারেল এরশাদ কর্তৃক পরিকল্পিত ও বাস্তবায়নাধীন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কেউই অংশ নেবে না। যারাই নির্বাচনে অংশ নেবে তারা জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হবে। এই সমঝোতাটি প্রকাশ্যে ঘোষিত বা প্রচারিত হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো এই যে, প্রকাশ্যে ঘোষিত বা প্রচারিত হওয়ার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে, তৎকালীন আওয়ামী লীগ তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দেয়। অতঃপর এরা নির্বাচনে বাস্তবেই অংশ নিয়ে এবং সংসদ পরিচালনায় সহায়তা করে। সামরিক শাসন জারি এবং সংশ্লিষ্ট সব কর্মকাণ্ডকে সংসদীয় বৈধতা দেয়। সরকারকে স্থিতিশীল হওয়ার সুযোগ দেয়। অতএব এটা বললে বেশি হবে না যে, খোন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ যেমন বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী পরিবেশকে বৈধতা দিয়েছিল, তেমনি ১৯৮৬ সালের আওয়ামী লীগ সামরিক শাসন জারি পরবর্তী পরিবেশকে বৈধতা দিয়েছিল।
ওয়ান ইলেভেনের সরকার থাকা অবস্থায় বা সরকার চলে যাওয়ার অব্যবহিত পরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ওয়ান ইলেভেনের সরকারকে বৈধতা প্রদান প্রসঙ্গে কী বলেছেন, স্থানাভাবে সেটি আজকের কলামে আলোচনা করছি না।
লেখক : চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি
www.kallyan-ibrahim.com



No comments

Powered by Blogger.