ডাকঘরটি অবহেলিত

সেই ছোট থেকে দেখে আসছি আমাদের গ্রামের ডাকঘরটি। সব একই রকম। এর কোন উন্নতি নেই। আজও বসে আছে সেই একই জায়গায়। গ্রামের ডাকঘর দেখেছি বর্ষার দিনে এদিক ওদিক দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ছে। কিছুই যেন বদলায়নি।
শুধু বদল হয়েছে টিনের চালের জায়গায় রডের ছাদ। আমরা বলছি প্রায় সপ্তাহে ২/৩ বার যেতে হয় শহরের ডাকঘরে। ভেতরের অবস্থা দেখে মনে হয় এখনও আমি সেই ছোটটি আছি সেই শৈশবে। ভাঙ্গা ঘর পোস্ট অফিসের ভেতরে বৃষ্টির পানি। ফোরের মাঝে ঢেলে রাখা হয়েছে চিঠিগুলো। অথচ এই চিঠির খামগুলোর মাঝে আছে অনেক স্বপ্ন, অনেক আশা, একটি ঘর, একটি জীবন, একটি মৃতু্য, একটি নবজাতক এবং আরও অনেক কিছু। প্রতিটি অফিসে রয়েছে অনেকগুলো ডেস্ক। জানি না এগুলো কোন কাজে ব্যবহারের জন্য। দেখার বিষয় এগুলো কি ঠিক ভাবে ব্যবহার হচ্ছে তো। এই পোস্ট অফিসগুলো সরকারী তাই সরকারী কাগজপত্র আসে এর মাধ্যমে। পোস্ট অফিসগুলোর অনিয়ম আর অবহেলার জন্য সবাই ছুটছে কুরিয়ারের দিকে। অল্প সময়ের মাঝে কাজ হয় বলে আমরা সরকারী পোস্ট অফিস ব্যবহার করতে চাই না। এতে করে সরকার অনেক রাজস্ব কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের বর্তমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এই দিকগুলো বিবেচনা করবেন কি?
আসমা আক্তার নীলাঞ্জনা
তেজগাঁও-ঢাকা ।

No comments

Powered by Blogger.