আখাউড়া-আগরতলা নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে

 আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ভারত ২২৪ কোটি টাকা দেবে। আগামী মাসে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই চুক্তি সম্পাদিত হবে।
চুক্তি সম্পন্ন করে আগামী জুন থেকে এই নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। সূত্র জানায়, ইমামামবাড়ি, গঙ্গাসাগর হয়ে আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত এই রেলপথের দূরত্ব হবে প্রায় ২৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রায় ২০ কিলোমিটার হবে মিটারগেজ লাইন এবং প্রায় ৭ কিলোমিটার হবে ব্রডগেজ। এ কাজে মোট খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ মিলিয়র ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ২২৪ কোটি টাকা। আগামী মাসে (ফেব্রুয়ারি) ভারতের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে। চুক্তি সম্পাদনের পর আগামী জুন থেকে নতুন এই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে এই নির্মাণ কাজ করবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরের অংশ করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ভারতের অংশ নির্মাণ করবে সে দেশের রেলওয়ে।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গেলে ঐ দেশে যে সকল উন্নয়ন কাজের দ্বিপাক্ষিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিল এটি তারই একটি। এ ছাড়া আরও কিছু আশ্বাস বাস্তবায়ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি খরচ অনেকটা কমে আসবে। এতে উভয় দেশের মধ্যে বৈধ বাণিজ্য বাড়বে। কমবে চোরাচালানিদের দৌরাত্ম্য। এমনকি আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে ট্রাকে মাল পরিবহনের হয়রানিও কমবে অনেকাংশে।
এদিকে বড় রকমের ঋণ সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা এডিবি এবং ফরাসী সংস্থা এএফডির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পথে। পদ্মা সেতু নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার পর এই প্রথম সরকারের সঙ্গে কোন দাতা সংস্থার ঋণ চুক্তি হতে যাচ্ছে। ‘গ্রেটার ঢাকা সাসটেনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট’ প্রকল্প বাস্তবায়নরে লক্ষ্যে এডিবি এবং তার সহযোগী দাতা সংস্থা প্রায় ২ হাজার ১শ’ কোটি টাকা ঋণ দিতে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, ‘গ্রেটার ঢাকা সাসটেনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট’ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ঢাকা শহরের এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)’ অবকাঠামো নির্মাণ এবং সমগ্র বিআরটি সিস্টেমের জন্য একটি সাধারণ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নয়ন করা।
এ প্রকল্পটির ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় মোট ২ হাজার ১১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে এএফডি ঋণ সহায়তা দেবে ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, স্থানীয় মুদ্রায় ৩৭৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং এডিবি দেবে ১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, স্থানীয় মুদ্রায় ১ হাজার ৩২৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাকি অর্থের যোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার।

No comments

Powered by Blogger.