সরকারের সফলতাকে ম্লান করতেই বিএনপির হরতাল- আওয়ামী লীগের সমাবেশে অভিযোগ

হরতালবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের চার বছরপূর্তির দিনে বিএনপির হরতাল ডাকার একটাই কারণ সরকারের সফলতাকে ম্লান করা।
বিএনপি দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় না বলেই একের পর এক হরতাল কর্মসূচীর নামে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে।
রবিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও আসলামুল হক আসলাম এমপি। এ সময় হাজী মোহাম্মদ সেলিম, শাহে আলম মুরাদসহ ঢাকা মহানগরের সাবেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আহমদ হোসেন বলেন, হরতালের নামে যতই ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করা হোক না কেন, বাংলার মাটিতে আর কোন দিন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আসবে না। ১৯৭৫ আর ২০১৩ সাল এক নয়। খন্দকার মোসতাকের পরিণতিই ভোগ করতে হবে বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারকে বার বার হুমকি দিচ্ছে। আর এ জন্য বিএনপির পরিণতি হবে ভয়াবহ। বিএনপির সকল আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যে হলো যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো। তাদের আন্দোলনে জনগণের কোন স্বার্থ নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে বিএনপির নতুন নাটক হলো হরতাল। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য জামায়াত এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা এখন সব ধরনের পথ অবলম্বন করতে প্রস্তুত রয়েছে। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের চার বছরপূর্তি এবং পাঁচ বছরে পদার্পণের দিনে বিএনপির হরতাল ডাকার একটিই কারণ সরকারের সফলতাকে ম্লান করা। তারা হরতালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালাচ্ছে। হরতাল যদি জনগণের স্বার্থের জন্যই হবে, তবে কেন তারা হরতালের আগে গাড়ি ভেঙ্গে এবং গাড়িতে আগুন দিয়ে জনগণের শান্তি নষ্ট করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি যদি মনে করে যে তারা লাগাতার হরতালের হুমকি দিলে আওয়ামী লীগ ভয় পাবে, তবে এটা তাদের ভুল ধারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ এমন সন্ত্রাসমূলক আচরণ শুধু আওয়ামী লীগ নয় বাংলার কোন জনগণই মেনে নেবে না। তিনি বলেন, বিএনপির ডাকা হরতাল কখনই আওয়ামী লীগের পথচলাকে ঠেকাতে পারবে না। বরং এর ফলে আওয়ামী লীগ আরও সচেতন ও সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাবে।
বিরোধী দলের ডাকা হরতালে সকাল থেকেই ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে রাজপথে সক্রিয় ছিল। বেলা ১২টার মধ্যে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরও হরতালবিরোধী মিছিলে অংশ নিতে দেখা যায়।
সকাল ১১টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে দিয়ে বাংলাদেশ বামফ্রন্ট একটি হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে যায়। বেলা ১২টার পর মগবাজার যুবলীগও একটি হরতালবিরোধী মিছিল বের করে।

No comments

Powered by Blogger.