শিা মন্ত্রণালয়ে এসিআর এবং পদোন্নতি

বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন বা এ্যানুয়াল কনফিডেন্সিয়াল রিপোর্ট যাকে সংেেপ এসিআর বলা হয়ে থাকে তার যথাযথ মূল্যায়ন সরকারী বিভিন্ন ক্যাডারে নেই বললেই চলে। এসিআর প্রতিবেদন সরকারী চাকরিজীবীদের েেত্র এর প্রয়োগবিধি বিশেষ গুরম্নত্ববহন করে থাকে।
অতীত থেকে বহুকাল পর্যনত্ম এর যথাযথ মূল্যায়ন চাকরিজীবীদের বিশেষভাবে প্রভাবান্বিত করেছে। এর ফলও পাওয়া গেছে আশানুরূপ। কিন্তু ইদানীং এসিআর তেমন কোন গুরম্নত্ব বহন করে না। এসিআরে প্রদত্ত নির্ধারিত ছকে এর মূল্যায়ন করা না হলে কিংবা যথাযথ নম্বর না পেলে কিংবা লেখচিত্রে বিরূপ মনত্মব্য থাকলে সংশিস্নষ্ট কর্মচারী-কর্মকর্তার পদোন্নতির েেত্র নানাভাবে হয়রা িন পোহাতে হতো, পদোন্নতি স্থগিত থাকত অথবা তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদান করা হতো। হালে এর কিছু কিছু প্রয়োগ হলেও বেশিরভাগ েেত্র গোঁজামিল দিয়ে যেনতেনভাবে চলে আসছে সংশিস্নষ্ট দফতর, অধিদফতর এমনকি মন্ত্রণালয় পর্যনত্ম। জানা যায়, শিা মন্ত্রণালয়ের অধীন বহু শিক-কর্মচারী যাঁরা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় কর্মরত আছেন তাঁদের এসিআর ছাড়াই পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। সানত্মাহার সরকারী কলেজের দর্শন বিভাগের জনৈক প্রভাষক এবং চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের জনৈক প্রভাষকের অনেক বছরের এসিআর মাউশি অধিদফতরে জমা দেয়া হয়নি। এতদসত্ত্বেও তাঁদের দু'জনকেই সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এসিআর সংক্রান্তু এই উদাহরণ নিঃসন্দেহে কলঙ্কের। এ কারণে এসিআর-এর আর কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। আরও জানা যায় মোটা অঙ্কের নজরানার বিনিময়ে সংশিস্নষ্ট দফতর বা অধিদফতরের এসিআর শাখা থেকে লেখচিত্রের ভাষা এবং নম্বর সবকিছুই বদলানো বা পাল্টানো যায়। সুতরাং মিছেমিছি আর এসিআর পাঠানোর দরকার-ই বা কী! শিা মন্ত্রণালয়ের মতো প্রতিটি মন্ত্রণালয় এসিআরবিহীন পদোন্নতির বিষয়টি নিরপে তদন্ত করে তাদের বিরম্নদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে এগিয়ে আসবে কি?
রউফ আব্দুল মজিদ
খিলতে, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.