সুইমিংপুলে শিশুদের রক্ষায় প্রযুক্তি

সাঁতার জানে না এমন কারও জন্য পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সময় সাহায্যের আবেদন জানানো কঠিন। ডুবে মৃত্যুর মতো ঘটনাগুলো সাধারণত এ রকম নিভৃতেই ঘটে।
এ রকম পরিস্থিতিতে ডুবন্ত মানুষকে শনাক্ত করতে পরিধানযোগ্য সংবেদনযন্ত্র (সেন্সর) ব্যবহার করা যায় কি না, সেই চেষ্টা করছেন গবেষকেরা। এ জন্য পেশাদার উদ্ধারকর্মীর মাথার কাছে একটি প্রেশার সেন্সর সংযুক্ত করে তাঁকে ডুবন্ত ব্যক্তির মতো অভিনয় করতে বলা হয়। এ অবস্থায় সুইমিংপুলে স্থাপিত নিউরাল নেটওয়ার্কে ২০ সেকেন্ড ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এতে সাঁতারুর স্বাভাবিক অবস্থা এবং প্রায় ডুবন্ত অবস্থার পার্থক্য শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কেন সাকামুরা ও তাঁর সহকর্মীদের তৈরি এই পদ্ধতি শিশুদের জীবন রক্ষায় বিশেষ কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাঁতার শিখতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ ডুবে থাকলে সুইমিংপুলের আলট্রাসনিক ব্যবস্থার উদ্যোগে জরুরি সংকেত পাঠানো হবে। ফলে উদ্ধারকর্মীরা (লাইফগার্ড) আশপাশে না থাকলেও দ্রুত সুইমিংপুলে ছুটে গিয়ে মরণাপন্ন শিশুকে রক্ষা করতে পারবেন। তবে নদীর তীর বা সৈকতে নয়, গুটিকয়েক সুইমিংপুলেই এ ব্যবস্থা থাকবে। নিউ সায়েন্টিস্ট।

No comments

Powered by Blogger.