মজার মজার চরিত্রে শিশুদের আগ্রহ, দেখছে বড়রাও- এ্যানিমেশন চলচ্চিত্র উৎসব ঢাকা আর্ট সেন্টারে by মোরসালিন মিজান

এ কথা সত্য যে, সাধারণ চলচ্চিত্রের বিপুল দর্শক। অনেক বড় বাজার। তাই বলেএ্যানিমেশন ছবি মাঠে মারা যাচ্ছে এমন নয়। বরং সারাবিশ্বে এর অন্যরকম চাহিদা।
বিশেষ করে শিশুদের নাওয়া-খাওয়া ভুলিয়ে ছেড়েছে এ্যানিমেটেড মুভি। শুরু হয়েছিল ১৯৩০ সালেরও আগে। উদ্ভাবক ওয়াল্ট ডিজনি। তাঁর তৈরি ‘মিকি মাউস’, ‘পিনোকি’, ‘ডোনাল্ড ডাক’ দিয়ে এ্যানিমেটেড কার্টুন ছবির শুরু। বর্তমানে অস্কার প্রতিযোগিতায় অন্যান্য ক্যাটাগরির পাশাপাশি এ্যানিমেটেড শর্ট এবং ফিচার ক্যাটাগরিতেও পুরস্কার প্রদান করা হয়। সব মিলিয়ে চমৎকার একটি অবস্থানে এ্যানিমেটেড ছবি।
অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এ ধরনের ছবি দারুণ জনপ্রিয়। বাচ্চারা টেলিভিশনে সারাদিন এগুলোই দেখে। বড়রাও বাদ যান না। তবে এ্যানিমেটেড ছবি নিয়ে আলাদা উৎসব আয়োজন হয় কাল-ভদ্রে। যেমনটি এখন হচ্ছে। শুক্রবার থেকে রাজধানীর ঢাকা আর্ট সেন্টারে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী এ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র উৎসব। সেন্টারের তৃতীয়বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উৎসবে মোট ছবির সংখ্যা ৬০। বিভিন্ন দেশের ছবি। নানা চরিত্র। গল্পগুলোও চমৎকার। প্রতিদিন দুটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথমটি বিকেল ৪টায়। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হচ্ছে দ্বিতীয়টি। একেবারেই শিশুতোষ ছবিগুলো দেখানো হচ্ছে বিকেলে। আর বড়দের জন্য থাকছে সান্ধ্যকালীন আয়োজন। উদ্বোধনী দিন বিকেলে দেখানো হয় স্টুডিও ঘিবলীর ছবি ‘মাই নেইবর টটোরও’। সন্ধ্যায় ছিল কানাডার জাতীয় চলচ্চিত্র বোর্ডের শর্টস। পরের দিন শনিবার দেখানো হয় স্টুডিও ঘিবলীর ‘ক্যাস্টেল ইন দ্য স্কাই’। একই দিন দেখানো হয় জাপানের এ্যানিমেডেট শর্টস।
দর্শক বেশি হওয়ায় প্রথম দু’দিন প্রদর্শনী কক্ষ ছাড়াও বাইরের খোলা জায়গায় ছবি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে রবিবারের আয়োজনে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটায় হরতাল। এদিন বিকেলের প্রদর্শনীটি বাতিল করতে হয় আয়োজকদের। ফলে লাইকা স্টুডিওর ‘প্যারানরম্যান’ ছবিটি দেখতে পারেনি ছোটবন্ধুরা। অবশ্য বড়রা মজা করেই দেখেছেন ‘গ্রেভ অব দ্য ফায়ারফ্লাইস’ ছবিটি।
আয়োজক সূত্র জানায়, বাকি ছবিগুলো পূর্বের সূচী অনুযায়ী দেখানোর চেষ্টা করা হবে। প্রথম দুই দিনের মতো উৎসবের সমাপনী দিনেও প্রদর্শনী কক্ষ এবং সেন্টারের বাইরের আয়োজন করা হবে প্রদর্শনীর। উৎসবে বাংলাদেশে তৈরি এ্যানিমেটেড ছবি দেখানোর ব্যাপারেও উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান তিনি। তো, সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটি কেমন হচ্ছে? কোন্ উদ্দেশ্য থেকে এমন আয়োজন? জানতে চাইলে মৃদুল মামুন বলেন, এ্যানিমেটেড ছবি আরও জনপ্রিয় করতে এ উৎসব। এতে একসঙ্গে অনেক মজার মজার ছবি দেখার সুযোগ পাচ্ছেন দর্শক। উৎসব ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে জানিয়ে সুযোগটি কাজে লাগানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজকরা।

No comments

Powered by Blogger.