আধিপত্য নিতে জড়ো হওয়া সশস্ত্র শিবির ক্যাডারদের ঘেরাও ছাত্রলীগের, পুলিশ গিয়ে উদ্ধার! আযিযুুল হক কলেজ

স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া অফিস সোমবার বগুড়া সরকারী আযিযুল হক কলেজ সংলগ্ন একটি ছাত্রাবাস থেকে ২৪ শিবির ক্যাডারকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মী ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিৰেপের ঘটনা ঘটেছে ।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা ও সাংবাদিকসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে। ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নিতে হামলার জন্য শিবির ক্যাডাররা ওই ছাত্রাবাসে (মেস) সংগঠিত হচ্ছিল বলে ছাত্রলীগ অভিযোগ করে আসছিল। এ কারণে ছাত্রলীগ কর্মীরাও আশপাশের লোকজন ছাত্রাবাসটি ঘেরাও করে। প্রায় ৩ ঘণ্টা ঘেরাও হয়ে ছাত্রাবাসে আটকে থাকার পর পুলিশ শিবির ক্যাডারদের উদ্ধার করে । ছাত্রলীগ অভিযোগ করেছে ওই শিবির ক্যাডারদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিয়ে উদ্ধার করে ছেড়ে দেয়।
গত ২০ ডিসেম্বর কলেজ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিসত্মার করতে শিবির ক্যাডাররা ছাত্রলীগের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। শিবিরের ওই তা-বে পুলিশসহ অর্ধশত আহত হয়। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্লাস সাসপেন্ড ও আবাসিক হল বন্ধ করে দেয়। সূত্র জানায়, ছাত্রলীগ কর্মীদের কাছে খবর আসে শিবির কলেজ সংলগ্ন বন্ধন ছাত্রাবাসে (মেসে) সশস্ত্রভাবে সংগঠিত হচ্ছে এবং তারা ক্যাম্পাসে হামলার পরিকল্পনা করছে। ছাত্রবাসটি শিবির নিয়ন্ত্রিত। এ সময় ছাত্রলীগসহ আশপাশের লোকজন ছাত্রাবাসটি ঘেরাও করে। ছাত্রলীগের আযিযুল হক কলেজ শাখার আহ্বায়ক মাহামুদুন্নবী রাসেল ও যুগ্ম আহ্বায়ক কামরম্নল হুদা উজ্জ্বল অভিযোগ করেন শিবির ক্যাডাররা রবিবার রাতে সেখানে মুখ ঢেকে প্রবেশ করে অবস্থান নেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রাবাসটি ঘেরাও করার পর পুলিশ সেখানে যায়। ছাত্রলীগের অভিযোগ পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়ার পরেই সেখান থেকে বোমাসহ অস্ত্র নিয়ে কয়েক ক্যাডার বের হয়ে যায়। অপর ক্যাডাররা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য ছাত্রলীগসহ আশপাশের লোকজন ছাত্রাবাসের আশপাশের এলাকা ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে পুরনো বগুড়া এলাকার ওই ছাত্রাবাসের আশপাশের এলাকায় কয়েক হাজার লোক ভিড় করে এবং সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। লোকজন জানায়, ঘেরাও থাকা অবস্থায় শিবির ক্যাডাররা তাদের কাছে বোমা রয়েছে এমন হুমকি দিয়ে পুলিশসহ লোকজনকে চ্যালেঞ্জ করে। পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ওসিসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ ছাত্রাবাসে আটকে পড়া ক্যাডারদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ছাত্রলীগ নেতাদের সহযোগিতা করার অনুরোধ জানায়। ছাত্রলীগের দাবি ছিল ২৪ ক্যাডার ছাত্র না বহিরাগত তা যাচাই বাছাই করতে হবে । এ শর্তে ছাত্রলীগ কর্মীরা শিবির ক্যাডারদের উদ্ধার করে নেয়ার সময় শানত্ম থাকে। এর আগে পুলিশ ছাত্রাবাসে তলস্নাশি চালিয়ে কিছু পায়নি। প্রায় ৩ ঘণ্টা ছাত্রাবাসে আটকা থাকার পর পুলিশ তাদের উদ্ধার করে আনে। এর কিছু পর পুলিশ কলেজ সংলগ্ন শিবিরের ঘাঁটি বলে পরিচিত জামিলনগর এলাকায় ২৪ শিবির ক্যাডারকে ছেড়ে দেয়। এ সময় শিবির ক্যাডাররা ভি চিহ্ন দেখায়। এতে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং ছাত্রলীগ কর্মীসহ আশপাশের লোকজন পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে। এ সময় দৈনিক কালের কণ্ঠের ফটো সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ ঠা-া ও ছাত্রলীগ নেতা শুভাশীষ পোদ্দার লিটনসহ বেশ কয়েক জন আহত হন। ২৪ ক্যাডারকে ছাত্রবাস থেকে নিয়ে এসে ছেড়ে দেয়ার ব্যপারে বগুড়া সদর থনার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু বলতে রাজী হননি।

No comments

Powered by Blogger.