চলছে রেলের গাড়ি অনেকটা পথ পাড়ি by ইকবাল আজিজ

রেলগাড়ির কথা মনে হলেই মনে পড়ে অনেক পুরনো কথা; মনে পড়ে কিছু গান, কিছু কবিতা ও কিছু উজ্জ্বল স্বপ্নের কথা। রেলগাড়ি যেন আজও ছুটে চলে আমাদের মনের জোছনাভেজা প্রানত্মরে। বাসত্মবিকই আমাদের শৈশবে রেলগাড়ি ছিল যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম।
বাংলাদেশ কিংবা অবিভক্ত ভারতবর্ষের মানুষ গত প্রায় দেড় শতাব্দী ধরে রেলগাড়ির সাথে পরিচিত। ১৮৬২ সালে কলকাতার শিয়ালদহ থেকে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যনত্ম রেলপথ নির্মাণ বাংলাদেশের আধুনিক যোগাযোগের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা। পরবতর্ীকালে ঐ রেলপথ ১৮৬৪ সালের ১৬ ফেব্রম্নয়ারি কুষ্টিয়া স্টেশন পর্যনত্ম সম্প্রসারিত হয়। যদিও ঘটনাটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সঙ্গে বিজড়িত; কিন্তু তা আমার ব্যক্তিজীবনের সুখ-স্বপ্ন ও গৌরবের সঙ্গেও কিছুটা জড়িত। কারণ কুষ্টিয়ায় আমার পৈত্রিক নিবাস, পূর্বপুরম্নষের আবাসভূমি।
উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে রেলগাড়ি ও রেলপথ পূর্ববঙ্গের সামাজিক জীবনে রীতিমতো বিপস্নবের সৃষ্টি করেছিল। তারপর একটি সুদীর্ঘকাল ধরে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে, নর্দার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে ও আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে এ অঞ্চলে গৌরবের সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। শত বছর আগে সেই ব্রিটিশ আমলেই রেলপথের পাশে গুরম্নত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে লাল রঙের স্টেশন নির্মিত হয়েছিল এবং তা আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে।
রেলগাড়ির কথা উঠলে তাই আমরা অনেকেই কিছুটা স্মৃতিতাড়িত হয়ে পড়ি। মনে পড়ে রেলগাড়ি নিয়ে গায়ক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া সেই বিখ্যাত গান_ 'চলছে রেলের গাড়ি অনেকটা পথ পাড়ি/দিলস্নী বোম্বাই মাদ্রাজ ঘুরে যাবে মতিহারি।' উত্তমকুমার-অপর্ণা সেন অভিনীত 'জয়জয়নত্মী' ছবির এই গানটি আমরা এক সময় সবাই গাইতাম দল বেঁধে আড্ডায় কিংবা পথে চলার সময়। বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে রেলগাড়ি ও রেলপথ যেভাবে অবহেলিত ও সমস্যায় জর্জরিত তা আমাদের অনেককেই দুঃখ ভারাক্রানত্ম করে; অথচ ঐতিহ্যবাহী, পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ রেলগাড়ি এখনও বাংলাদেশে আমাদের সবার ভ্রমণ ও পরিবহনের সেরা মাধ্যম। শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্রেই রেলপথ এখনও সবচেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক পরিবহন ব্যবস্থা। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের সবার অবহেলায় রেল ব্যবস্থা তিলে তিলে ধ্বংস হতে চলেছে। আর হালে এদেশের যাতায়াত ব্যবস্থার সেই স্বপ্নময় অভিযাত্রা যেন চিরতরে নিঃশেষ হয়ে গেছে। অথচ সড়ক পথের পাশাপাশি রেলপথ এদেশের বিপুলসংখ্যক মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মানুষের জন্য এখনও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী পরিবহন ব্যবস্থা। এখনও গরিব মানুষ সপরিবারে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে থাকেন রেলপথে। সড়কপথে বাসমালিকরা সিন্ডিকেট করে মানুষের ভ্রমণকে অতিমাত্রায় ব্যয় সাধ্য করে তুলেছে; অথচ সরকারী ছত্রছায়ায় রেল ভ্রমণকে এখনও জনগণের সাধ্যের মধ্যে রাখা হয়েছে। সে কারণে আরও অনেকের মতো রেলভ্রমণ আমারও সবচেয়ে প্রিয়। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে আজ অজস্র সম্ভাবনা ও সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রেল যোগাযোগের সব বিকাশই যেন থেমে গেছে। এর কারণ কি? রেলগাড়ির সেই সোনালি দিন কি আর ফিরে আসতে পারে না বাংলাদেশে? প্রতিবেশী ভারতে যদি স্বাধীনতার পর রেলওয়ের ব্যাপক বিকাশ ও উন্নয়ন সম্ভব হয়, তবে আমাদের এখানে তা কেন সম্ভব হবে না? আমাদের এখানে রেলওয়ের এই ব্যাপক হতাশাগ্রসত্ম অবস্থার কারণ কি? এসব প্রশ্ন আমাকে বেশ কিছুকাল ধরে ভাবিত করেছে। সেই সঙ্গে লৰ্য করেছি আমাদের বাংলাদেশে একটি বিশেষ ধনিক শ্রেণী ও তাদের স্বার্থের সংরৰক কিছু সুবিধাবাদী রাজনীতিক কখনোই রেলওয়েকে সুনজরে দেখেননি। রেল চিরকালই মধ্যবিত্ত ও সাধারণ গরিব মানুষের জন্য সাশ্রয়ী পরিবহন ব্যবস্থা এবং এ কারণেই সুবিধাবাদী রাজনীতিকরা রেলকে কখনোই অগ্রাধিকার দেননি।
বিএনপি-জামায়াত জোটের অর্থমন্ত্রী মরহুম সাইফুর রহমান চিরকালই বিত্তবানদের স্বার্থ সংরৰণের কথা ভেবেছেন। ঢাকায় যদি তারা অবাধে গাড়ি চালাতে পারেন, এ শহরে যাতে কোন লেভেল ক্রসিং না থাকে, সেই লৰ্যে তিনি প্রায়শই দাবি জানাতেন কমলাপুর স্টেশনকে যেন জয়দেবপুরে সরিয়ে নেয়া হয়। সাইফুর রহমান ও বিএনপি সরকার আজ পর্যনত্ম যত গণবিরোধী দাবি উত্থাপন করেছেন, এই প্রসত্মাবটি ছিল তার মধ্যে অন্যতম। পৃথিবীর সব উন্নত দেশে মহানগরের কেন্দ্রস্থলে রেলস্টেশন অবস্থিত। অনেক বড় শহর গড়েই উঠেছে রেলস্টেশনকে কেন্দ্র করে। রেল স্টেশনের পাশে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে বাজার, স্কুল, কলেজ ও আবাসিক এলাকা। স্টেশনে এসে যে কোন মানুষ অনুভব করে, তার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রেলপথের মধ্য দিয়ে সে সারাদেশের সঙ্গে যুক্ত। রেলস্টেশন এবং রেলপথ আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ভিত্তি এবং উন্নয়নশীল দেশে তা অবশ্যই গণমানুষের পরিবহনের মাধ্যম। তাই কোন সভ্য দেশের সরকার কখনোই ভাবতে পারে না, নগরীর ঐতিহ্যবাহী পুরনো ও প্রধান স্টেশনকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে। গত দেড় শ' বছরে ভারতের কোন মন্ত্রীই কলকাতা শহরের বিকাশের জন্য শিয়ালদহ স্টেশন কিংবা হাওড়া স্টেশনকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কথা বলতে সাহস পাননি। কারণ শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া স্টেশনকে কেন্দ্র করেই কলকাতা মহানগরীর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাসত্মবায়িত হয়েছে ও নগরীর বিকাশ হয়েছে। লন্ডনের প্রাচীন রেলস্টেশনও বহু যুগ ধরে একই জায়গায় আছে। সামান্য কিছু বিত্তবান ও অভিজাত মানুষের স্বার্থে নগরীর রেলস্টেশন সরিয়ে নেয়ার মতো গণবিরোধী প্রসত্মাব কেবল বাংলাদেশেই উত্থাপিত হতে পারে। বিএনপি-জামায়াত সরকারের দুঃশাসনের দিনগুলোতে মরহুম সাইফুর রহমান ও আরও কিছু মন্ত্রী মূলত নগরীর সুবিধাভোগী শ্রেণীর গাড়ি চালানোর সুবিধার্থে কমলাপুর স্টেশন জয়দেবপুরে সরিয়ে নেয়ার উদ্ভট প্রসত্মাব দিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের উদারতার সুযোগ নিয়ে এখনও দু'একজন গণবিরোধী রাজনীতিক এ ধরনের যুক্তিহীন প্রসত্মাব রাখছেন। সুতরাং বাংলাদেশের গণমানুষের প্রিয় পরিবহন বাংলাদেশ রেলওয়েকে ধ্বংস করার জন্য যে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে তা সহজেই অনুমান করা যায়।
অবশ্য রেলওয়েকে ধ্বংসের জন্য ষড়যন্ত্রের সূচনা অনেক আগে থেকে। মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ রেলওয়ে মারাত্মকভাবে ৰতিগ্রসত্ম হয়। যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি যুদ্ধবিধ্বসত্ম দেশের নতুন অভিযাত্রা শুরম্ন হয়। কিন্তু সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীরা এদেশে ৰমতা গ্রহণ করে এবং জাতির সব উন্নয়ন পরিকল্পনাই ব্যাহত হয়। তখন থেকে জনস্বার্থবিরোধী সামরিক সরকার রেলওয়েকে অবহেলা করতে শুরম্ন করে। তারা রেলওয়ের বিকল্প হিসেবে দেশে সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছিল। আমরা সড়ক উন্নয়নের বিরোধী নই। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী রেলওয়েকে ধ্বংস করে শুধু দেশের বাস ও ট্রাক মালিকদের স্বার্থ সংরৰণের নাম উন্নয়ন নয়। আর এই বাস ও ট্রাক মালিকরা সর্বদাই নিজ স্বার্থে ৰমতাসীন রাজনীতিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখেন। অতীতে অনেক সময় সড়ক পরিবহন ব্যবসার সুবিধা এদেশের মন্ত্রী, আমলা ও রাজনৈতিক নেতারাও পেয়েছেন। বৈদেশিক ঋণে বাসত্মবায়িত প্রকল্পগুলোও তাদের কারও কারও কাছে ছিল লাভজনক। নগদ প্রাপ্তির লোভে তারা দেশের স্বার্থ রৰায় সড়কপথের উন্নয়নকেই বেশি গুরম্নত্ব দিয়েছেন। গত ৩৯ বছরে বাস-ট্রাক মালিক এবং এসব যানবাহন আমদানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পাশাপাশি অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশের রেল খাতের উন্নয়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এখন পর্যনত্ম যেসব রম্নটে রেল চলাচল বন্ধ করা হয়েছে, তার অধিকাংশ রম্নটে চালু করা হয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস সার্ভিস। অনেকেরই ধারণা, এই প্রক্রিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ কর্তৃপৰের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি না থাকলে বন্ধ রেলপথে প্রাইভেট বাসের পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাস সার্ভিস (বিআরটিসি) চালু করা হতো।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সড়কপথের তুলনায় রেলপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন একদিকে যেমন সাশ্রয়ী, অন্যদিকে তেমনি বেশি সুবিধাজনক ও নিরাপদ। একটি ট্রেন গড়ে ৪ হাজার যাত্রী পরিবহনে সৰম। আর একটি বাসের পৰে ১০০ যাত্রী পরিবহনও সম্ভব নয়। একটি মিটারগেজ মালবাহী ট্রেন যে পরিমাণ পণ্য পরিবহনে সৰম, সমপরিমাণ পণ্য পরিবহন করতে ৫ টন ধারণ ৰমতাসম্পন্ন ২১০টি ট্রাকের প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া সহজ যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবেও সারাবিশ্বে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে সমাদৃত। বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমান করম্নণ দশার কারণে সাধারণ মানুষই বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। গত প্রায় চার দশকে দেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ বাড়লেও সেই অনুপাতে বাড়েনি রেলপথের দৈর্ঘ্য, ট্রেনের সংখ্যা এবং সুযোগ-সুবিধা। যতটুকু আছে তাও ঝুঁকিপূর্ণ। সংস্কারবিহীন রেলপথে পর্যাপ্ত সিস্নপার ও পাথর কুচির অভাব, দুর্বল সিগন্যালিং ও রৰণাবেৰণ ব্যবস্থা। আধুনিকায়নের অভাবে গরিবের বন্ধু বলে কথিত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন বিপন্ন প্রায়। ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথে ট্রেন চলাচলের জন্য মাঝে মাঝে দুর্ঘটনাও ঘটছে। দেশের ২ হাজার ৮৯১ কিলোমিটার রেলপথের একটি উলেস্নখযোগ্য অংশ এখন অরৰিত ও ঝুঁকিপূর্ণ। রেললাইনের পাশাপাশি রেলওয়ের শত শত ছোট বড় ব্রিজ ও কালভার্টের অবস্থাও জীর্ণশীর্ণ।
তবে বাংলাদেশ রেলওয়েতে এখনও যেসব পুরনো দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী আছেন, তাঁরাই আমাদের প্রধান ভরসা। তাঁরা অনেকেই এখনও আশা করেন, বর্তমান গণতান্ত্রিক মহাজোট সরকার বাংলাদেশ রেলওয়ের আধুনিকায়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করবে। সরকার উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশ রেলওয়ে আবার জেগে উঠবে। সবার আগে খুলে দিতে হবে ষড়যন্ত্রের কারণে বন্ধ পুরনো রেলপথগুলো। মনে পড়ে কৃষ্টিয়া-গোয়ালন্দ লাইনের কালুখালী স্টেশনের কথা। সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এবং বাস মালিকদের স্বার্থ বিবেচনা করে কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেলপথটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই রেলপথের সঙ্গে কত মানুষের কত স্মৃতি জড়িত। মনে পড়ে সত্তর দশকের শেষদিকে এক শীতের রাতে কুষ্টিয়ার কবি সুকদেব সাহার বিয়েতে বরযাত্রী হয়ে গিয়েছিলাম এই রেলপথ ধরে বহরপুর স্টেশন। লোকাল ট্রেন অনেক রাতে গিয়ে থেমেছিল সেই স্টেশনে। সেদিনের সেই রাতের ট্রেনভ্রমণ আজ এক আনন্দময় স্মৃতি। বন্ধ হয়ে গেছে ফরিদপুর-রাজবাড়ী ঐতিহ্যবাহী রেলপথ। ব্রিটিশ আমলে একদিন এই রেলপথ ধরে ফরিদপুর থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কলকাতা যেত। এভাবে দেশের বহু পুরনো রেলপথ পরিত্যক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার অনুরোধ, গণমানুষের পরিবহন বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে মহাপরিকল্পনা নেয়া হোক। শতবর্ষের পুরনো বাংলাদেশ রেলওয়ে আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গুরম্নত্বপূর্ণ অংশীদার। ব্রিটিশ আমলের লাল রঙের প্রতিটি রেল স্টেশনের স্থাপত্যকে সংরৰণ করা হোক। এগুলো আমাদের অনেকের কাছে জাদুঘরের মতা মূল্যবান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, রেলের গুরম্নত্বের কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে দেশে পৃথক রেল মন্ত্রণালয় স্থাপন করা হোক। এবং একজন যোগ্য মন্ত্রীকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হোক। আমি বিশ্বাস করি, ভারতের মতো বাংলাদেশেও পৃথক রেল মন্ত্রণালয় একটি গুরম্নত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
আশা করি, বাংলাদেশ সরকার রেলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবে। সারাদেশে আরও রেলপথ নির্মিত হবে। ঢাকা-বরিশাল রেলপথ এবং চট্টগ্রাম-টেকনাফ রেলপথ নির্মাণের কাজ অবিলম্বে শুরম্ন করা দরকার। বাংলাদেশ রেলওয়েকে অবশ্যই বাঁচাতে হবে। রেলই আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রাণ।

No comments

Powered by Blogger.