সম্পাদক সমীপে মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়- পিটিআই শিৰা কার্যক্রম

১৯৫১ সালে প্রাইমারী স্কুলের শিৰকদের প্রশিৰণের জন্য এই ভূখ-ে ৫৩টি প্রাইমারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) প্রতিষ্ঠিত হয়। শিৰা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব প্রদান করা হয় ন্যাশনাল একাডেমী ফর প্রাইমারী এডুকেশন (নেপ)-এর ওপর।
নেপ পিটিআইতে এক বছর মেয়াদী সি-ইন-এড কোর্স চালু করে। স্বাধীন বাংলাদেশে গত ৩৮ বছরে ৯টি শিৰানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। প্রতিটি কমিশনের রিপোর্টে এক বছর মেয়াদী সি-ইন-এড কোর্স চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত এবং যুগোপযোগী নয় বলে মনত্মব্য করে। ১৯৫১-২০১০ পর্যনত্ম এই ভূখ-ের জনসংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। দুঃখের বিষয়, সুদীর্ঘ ৫৯ বছরে নেপ পিটিআই সংখ্যা এবং মান-মেয়াদ যুগের চাহিদা অনুযায়ী বৃদ্ধি পায়নি।
বর্তমানে ডিজিটাল সরকার প্রাইমারী স্কুলকে ৫ম শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণীতে উন্নীত করার যুগানত্মকারী সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করেছে। প্রাইমারী শিৰা বোর্ড গঠন করে ৮ম শ্রেণীতে একটি পাবলিক পরীৰার মাধ্যমে তৃণমূলে শিৰার গোঁজামিল ও অপচয় রোধে চেষ্টা করছে। এক বছর মেয়াদী সি-ইন-এড প্রশিৰণপ্রাপ্তরা ডিজিটাল সরকারের শিৰানীতির ভার বহনের যোগ্য কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে প্রাইমারী স্কুলে শিৰক নিয়োগ করা হয় চার বছর মেয়াদী ডিপেস্নামা ইন এডুকেশন প্রযুক্তিতে ডিগ্রীপ্রাপ্তদের ২য় শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার, মানমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে (বাংলাদেশে চার বছর মেয়াদী ডিপেস্নামাপ্রাপ্তদের অনুরূপ)।
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ গ্রহণের উপযোগী জনশক্তি গড়তে হলে প্রতিটি প্রাইমারী স্কুলে ডিপেস্নামা ইন এডুকেশন প্রযুক্তিবিদ শিৰক হিসাবে নিয়োগদান আবশ্যক। বিপুল সংখ্যক ডিপেস্নামা ইন এডুকেশন প্রযুক্তিবিদের প্রশিৰণ প্রদানে পিটিআইগুলোর নাম পরিবর্তন করে প্রাইমারী টিচার্স টেকনোলজি ইনস্টিটিউট করে তা প্রতিটি জেলা-উপজেলায় সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা এবং নবপ্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউটগুলোতে মর্নিং, ডে, ইভ্নিং, নাইট_ চার শিফ্টে শিৰা ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। ডিজিটাল প্রযুক্তির কর্মকা-গুলো সহজতর করতে ব্যর্থ নেপ থেকে প্রাইমারী শিৰক প্রশিৰণ ব্যবস্থা পৃথক করে স্বতন্ত্র ডিপেস্নামা শিৰা বোর্ড নির্মাণে এগিয়ে আসবেন মাননীয় শিৰামন্ত্রী_ এই প্রত্যাশা করছি।
খন রঞ্জন রায়
সভাপতি
চট্টগ্রাম সাগরিকা রোটারি কাব

No comments

Powered by Blogger.