আসামি ধরে ফেরার পথে পুলিশের ওপর হামলা

ঢাকার ধামরাই থানার এক উপপরিদর্শকসহ (এসআই) আটজন জনতার হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন। ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের বারিল্লা গ্রাম থেকে আসামি ধরে থানায় ফেরার পথে গত মঙ্গলবার রাতে এলাকাবাসী তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ফাঁকা গুলি করে পুলিশ সেখান থেকে নিরাপদে সরে আসে।
সাভার থানা সূত্র জানায়, জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারামারির ঘটনায় গত শুক্রবার বারিল্লা গ্রামের আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুম খান পুলিশের এক নায়েক ও কয়েকজন কনস্টেবল নিয়ে ওই রাতে আসামি ধরতে বারিল্লা গ্রামে যান। তাঁরা রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামি বিনোদ সরকারের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। বিনোদকে নিয়ে বের হওয়ার পরপরই বাড়ির লোকজন ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। এ সময় শতাধিক লোক লাঠি-বল্লম ও ইটপাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। প্রথমে পুলিশ তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। কিন্তু গ্রামের লোকজন মারমুখী হয়ে উঠলে পুলিশ ফাঁকা গুলি করে। গুলি করার পর জনতা দূর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় পুলিশ গুলি করতে করতে নিরাপদ দূরত্বে চলে যায়।
পুলিশ জানায়, ইটপাটকেলের আঘাতে এসআই মাসুম খান, নায়েক নুরুল ইসলাম ও কনস্টেবল শামসুল ইসলাম আহত হন। তাঁদের ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অপরদিকে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুলিশের ছোড়া গুলিতে পাঁচজন গ্রামবাসী আহত হয়েছে।
এসআই মাসুম খান বলেন, ‘আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। নিজেদের রক্ষা করতেই আমরা ২২টি ফাঁকা গুলি করতে বাধ্য হই।’ তিনি পুলিশের ছোড়া শটগানের ছররা গুলিতে কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে এসআই মাসুম খান বাদী হয়ে ১৩ গ্রামবাসীকে আসামি করে মামলা করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.