গ্যাবন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন

স্পোর্টস ডেস্ক: আফ্রিকান নেশনস কাপে সি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো সহ-আয়োজক গ্যাবন। ৩১শে জানুয়ারি গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে তিউনিসিয়াকে ১-০ গোলে হারায় তারা। পিয়েরে-ইমারিক আয়ুবামিয়াং ৬২ মিনিটে দলের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন। আগেই কোয়ার্টার নিশ্চিত করা গ্যাবন তিন খেলায় সবক’টিতে জয় নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে উঠে গেল। অন্য ম্যাচে মরক্কো ১-০ গোলে নাইজারকে হারিয়ে অন্তত একটা জয়ের সান্ত্বনা নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল। খেলা শেষ হওয়ার ১১ মিনিট আগে ইউনিস বেলহান্দা দলের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন। দু’দল আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করায় এটা ছিল গ্রুপ শীর্ষস্থান অর্জনের লড়াই। সেই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল স্বাগতিক গ্যাবন। আগের ম্যাচগুলোর মতো আবারও আয়ুবামিয়াং পথ দেখাল দলকে। প্রথম একাদশের আটজনকে বাইরে রেখে দল গড়ে তিউনিসিয়া। গ্যাবন ম্যাচে বেশক’টি সুযোগ পায়। ৬২ মিনিটে এমনই একটি সুযোগের সদ্ব্যবহার করে দলকে এগিয়ে দেন আয়ুবামিয়াং। খেলার বাকি সময়ে দু’দলের কেউই গোল করতে না পারায় ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক গ্যাবন। তিন খেলায় নয় পয়েন্ট নিয়ে গ্যাবন শীর্ষে এবং সমানসংখ্যক খেলায় ছয় পয়েন্ট নিয়ে তিউনিসিয়া দ্বিতীয় স্থান নিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে গেল। কোয়ার্টার ফাইনালে গ্যাবন ডি গ্রুপ রানারআপ এবং তিউনিসিয়া ডি গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের মুখোমুখি হবে। সি গ্রুপে নাইজার-মরক্কো ম্যাচ ছিল স্রেফ নিয়মরক্ষার। দুটি করে ম্যাচে হেরে উভয় দলই আগেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। গুরুত্বহীন এ ম্যাচে প্রথমার্ধ ও দ্বিতীয়ার্ধে অধিকাংশ সময় পার হলেও কোনোপক্ষই গোল করতে পারেনি। অবশেষে খেলা শেষ হওয়ার ১১ মিনিট আগে ইউনিস বেলহান্দা গোল করে খেলায় কিছুটা প্রাণসঞ্চার করেন। ম্যাচে মরক্কো প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করলেও গোলের জন্য খেলার শেষ অবধি অপেক্ষা করতে হয়। প্রথমার্ধের শেষের দিকে নাইজার গোলের সুযোগ পেলেও পোস্টে লেগে তা প্রতিহত হয়। বিরতির পর আবদুল করিম লাঞ্চিনার শট মরক্কোর গোলরক্ষক মোহাম্মদ আমসিফ অপূর্ব দক্ষতায় প্রতিহত করেন। অবশেষে ৮৯ মিনিটে দেয়া গোলটিই হার-জিত নির্ধারক হয়ে দাঁড়ায়।

No comments

Powered by Blogger.