মুক্তি পেলেন মোহাম্মদ আমির

জেল থেকে মুক্তি পেলেন ক্রিকেট থেকে বহিষ্কৃত পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড হয়েছিল আমিরের। তবে জেলে নিয়মানুবর্তিতা ও ভালো আচরণের পুরস্কার হিসেবে তিন মাসের মাথাতেই মুক্তি পাচ্ছেন তিনি।


গতকাল বুধবার ইংল্যান্ডের ওয়েমাউথের কিশোর সংশোধনাগার থেকে ১৯ বছর বয়সী আমিরকে মুক্তি দেওয়া হয়।
জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আমিরের পরবর্তী লক্ষ্য ক্রিকেট থেকে তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করানো। স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনি এ মুহূর্তে যেকোনো ধরনের ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত।
আমিরের কৌঁসুলি আসিফ বাজওয়া বলেছেন, ‘জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার সময় আমির বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন। তিন মাসের জেলজীবন তাঁর মনোবলে এতটুকু চিড় ধরায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমির এ মুহূর্তে ক্রিকেটে ফিরতে চান। শুরু করতে চান সবকিছু নতুন করে।’
জেল থেকে মুক্তি পেয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছেন মোহাম্মদ আমির। সেই বিবৃতিতে অবশ্য পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বন্দনাই বেশি প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমি পাকিস্তান দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি। আমি মনে-প্রাণে পাকিস্তান দলের সঙ্গেই থাকি। দলের এই দারুণ পারফরম্যান্সে আমি সবাইকে অভিনন্দন জানাই।’
২০১০ সালের আগস্ট মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে অনুষ্ঠিত একটি টেস্ট ম্যাচে তত্কালীন অধিনায়ক সালমান বাট, বোলার মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফের বিপক্ষে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। সে সময় ব্রিটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা বাজিকর মাজহার মজিদের একটি গোপন সাক্ষাত্কার প্রকাশ করে দেয়। সেই সাক্ষাত্কারে মাজহার মজিদ স্পট ফিক্সিং-সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো প্রকাশ করে দেন। সেই সাক্ষাত্কারের সূত্র ধরে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হন—বাট, আমির ও আসিফ। বাজিকর মাজহার মজিদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অধিনায়ক সালমান বাটের প্ররোচনায় লর্ডস টেস্টে আমির ও আসিফ ইচ্ছা করে নো বল করেন বলে অভিযোগ ওঠে। আইসিসিও ব্যাপারটি নিয়ে তদন্তে নামে। তদন্তে নামে লন্ডন পুলিশ। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আইসিসি এই তিন ক্রিকেটারকে ক্রিকেট থেকে বিভিন্ন মেয়াদে নির্বাসনে পাঠায়। পরে ফৌজদারি মামলায় ইংল্যান্ডের আদালত সালমান বাট, আসিফ, আমির ও মাজহার মজিদকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করে। আমির কাল মুক্তি পেলেও সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফ এখনো কারা ভোগ করছেন। ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.