ন্যাটো চলে গেলে ক্ষমতায় আসবে তালেবান

মানবজমিন ডেস্ক: মার্কিন সেনাবাহিনীর এক গোপন প্রতিবেদনে ন্যাটো সৈন্য প্রত্যাহার করা হলে তালেবানরা আফগানিস্তান আবারও দখল করে নেবে বলে দাবি করা হয়েছে। একই প্রতিবেদনে পাকিস্তানের প্রভাবশালী নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স আইএসআই বিদেশী সৈন্যদের ওপর হামলা চালাতে তালেবানদের সহায়তা করে বলেও উল্লেখ রয়েছে। এ প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে ২০১৪ সালে সর্বশেষ ন্যাটো সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি পাক-মার্কিন সম্পর্কও নতুন করে জটিলতায় পড়েছে। এছাড়া, রক্ষণশীল ও কট্টরপন্থি তালেবানদের যে অংশ মার্কিন ও কারজাই সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের অবস্থান আরও জোরদার হয়েছে। লন্ডনের দ্য টাইমসের দেয়া ওই প্রতিবেদনে ২০১১ সালে তালেবানরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হলেও তাদের শক্তি-সামর্থ্য অক্ষুণ্নই রয়ে গেছে বলে বর্ণনা করা হয়েছে। অনেক আফগান নাগরিকও তালেবানদের আসন্ন প্রত্যাবর্তনকে মেনে নিতে প্রস্তুত হয়ে আছেন। তালেবান-আইএসআই সখ্যের বিষয়টি আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে আটক ৪ হাজারের বেশি তালেবান ও আল কায়েদা সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ওইসব বন্দি পাকিস্তানের সরকার তালেবানদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত বলে জানায়। আইএসআই তালেবানের সার্বিক কর্মকাণ্ড ও দলটির নেতাদের অবস্থান সম্পর্কে অবগত রয়েছে। এমনকি তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আইএসআই’র কর্মকর্তারা নিয়মিত বৈঠকও করেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর এমন প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কড়া জবাব দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল বাসিত একে অসার বর্ণনা করে তার সরকার আফগানিস্তানের ব্যাপারে নাক না গলাতে বদ্ধপরিকর বলে উল্লেখ করেছেন। পাকিস্তানের বারবার এমন দাবি সত্ত্বেও পেন্টাগন দীর্ঘদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। আর এমন ত্রিমুখী সঙ্কটের কথা মাথায় রেখেই যুক্তরাষ্ট্র তালেবানদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজছে। এ লক্ষ্যে তারা সৌদি আরব, কাতার, পাকিস্তান ও কারজাই সরকারকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। ফলে তালেবানদের বিভিন্ন উপদল দোহা, রিয়াদ ও কাবুলে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজিও হয়েছে।



No comments

Powered by Blogger.