ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত

প্রয়োজনীয় শিক্ষা-দীক্ষা ছাড়াই মানুষের শরীরে অস্ত্রোপচার করে আসছিলেন মোশারফ হোসেন (৫২)। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল বুধবার পুরান ঢাকার নবাবকাটারায় একটি ক্লিনিক থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সোয়া দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশার নেতৃত্বে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০/১ নবাবকাটারায় পাইলস কেয়ার নামের ওই ক্লিনিকে অভিযান চালান। সঙ্গে ছিলেন র‌্যাব-৩-এর একটি দল ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের মো. আরমান হোসেন। ওই ক্লিনিকে মোশারফ পাইলস ও ফিস্টুলা রোগীর শরীরে অস্ত্রোপচার করছিলেন। আরও কিছু রোগী অপেক্ষমাণ ছিলেন। তাঁকে তখন হাতেনাতে ধরা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা প্রথম আলোকে বলেন, ভুয়া চিকিৎসক মোশারফকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা দিতে না পারায় তাঁকে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আনোয়ার পাশা বলেন, ভুয়া চিকিৎসক মোশারফের ক্লিনিকের সব যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত ও সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। ২০ বছর ধরে তিনি ওই ক্লিনিকে অপচিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। ২০০৮ সালেও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ভুয়া চিকিৎসক মোশারফের বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিবন্ধন নেই। তাঁর ব্যক্তিগত ছাপানো ভিজিটিং কার্ডে ‘পাইলস ও অ্যানালফিসার ফিস্টুলা বিশেষজ্ঞ’ উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজধানীর অনেক নামকরা রোগ নির্ণয় কেন্দ্র ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক নন এমন অনেক ব্যক্তি চিকিৎসা দিয়ে আসছেন বলে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ অদালত পর্যায়ক্রমে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবেন।

No comments

Powered by Blogger.