গ্রামীণফোনের স্পেকট্রাম ফি-বিটিআরসির আবেদন শুনানি গ্রহণে চেম্বার বিচারপতি বিব্রত

গ্রামীণফোনের (জিপি) কাছে ২৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা দাবির কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিটিআরসির করা আবেদন শুনানি গ্রহণে বিব্রতবোধ করেছেন আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি।আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি মো. ইমান আলী বিটিআরসির আবেদন শুনানি গ্রহণে গতকাল মঙ্গলবার বিব্রত বোধ করেন। ফলে বিটিআরসির আবেদনের শুনানি হয়নি। এ কারণে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে।


গত ১৭ অক্টোবর টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) গ্রামীণফোনকে লাইসেন্স নবায়ন ও স্পেকট্রাম ফি পরিশোধের বিষয়ে চিঠি দেয়। এতে 'লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম ফি'র জন্য প্রদেয় টাকা থেকে কোনো ভ্যাট ও ট্যাঙ্ না কাটতে বলা হয়। চিঠিতে দাবি করা তিন হাজার ৬২৪ কোটি তিন লাখ টাকার মধ্যে, ২০০৮ সালে কেনা তরঙ্গের বিপরীতে অতিরিক্ত ২৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। যদিও ১৭ অক্টোবর গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিটিআরসি ৩৮৪ কোটি টাকা দাবি করেছে। এ অবস্থায় চিঠির শুধু এই অংশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গ্রামীণফোন রিট আবেদন করে। হাইকোর্ট ২৬ অক্টোবর এক আদেশে চিঠির ওই অংশটির কার্যকারিতা স্থগিত করেন। একই সঙ্গে রুল জারি করেন।
এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য বিটিআরসি আবেদন করে। এ আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি মো. ইমান আলীর শুনানি গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। তবে বিচারপতি অসুস্থ থাকায় গতকাল তাঁর বাসভবনেই আদালত বসেন। এ জন্য বিটিআরসির পক্ষে আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব, রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং গ্রামীণফোনের পক্ষে আনিসুল হক, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী উপস্থিত হন।

No comments

Powered by Blogger.