আফগানদের অসভ্য ভাবতেন 'কাপালিক' সেনাদলের হোতা

ফগানিস্তানে মার্কিন 'কাপালিক' সেনা দলের প্রধান কেলভিন গিবস স্থানীয় লোকজনকে 'অসভ্য' মনে করতেন। ওয়াশিংটনের লুইস-ম্যাককর্ড যৌথ ঘাঁটিতে গিবসের বিচারের প্রথম শুনানিতে গত সোমবার তাঁর দলের এক রাজসাক্ষী এ মন্তব্য করেন। গিবসের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সেনাদের ওই দলটি 'নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল' বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।মার্কিন স্টাফ সার্জেন্ট কেলভিন গিবসের (২৬) নেতৃত্বাধীন প্লাটুনের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিরপরাধ মানুষ হত্যা, তাঁদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে নেওয়া এবং মৃতদেহ ও তাঁদের খণ্ডিত অঙ্গ নিয়ে ছবি তোলার অভিযোগ রয়েছে।


২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে এসব ঘটনা ঘটে। ২০০৯ সালের নভেম্বরে গিবস ওই প্লাটুনের নেতৃত্বভার নেন। গত শুক্রবার থেকে গিবসের বিচার শুরু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ রয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। গিবস সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কান্দাহারের ওই কাপালিক দলের তিন সেনা সামরিক আদালতে গিবসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়েছেন। তিন সেনার মধ্যে জেরেমি মরলক নামের এক সেনার ২৪ বছরের ও অ্যাডাম ইউনফিল্ডের তিন বছরের কারাদণ্ড হয়।
গত সোমবার লুইস-ম্যাককর্ড ঘাঁটির আদালতে মরলক জানান, 'সব আফগানের প্রতিই গিবস একধরনের ঘৃণাবোধ করতেন। তাদের অসভ্য বলে ডাকতেন তিনি। আমরা তাদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করতাম।' ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি তাঁরা প্রথম হত্যাকাণ্ড চালান বলেও জানান মরলক। তাঁকে গিবসের 'ডান হাত' বিবেচনা করা হতো। হত্যাকাণ্ডের পর গিবস খুবই স্বাভাবিক আচরণ করতেন বলেও জানান মরলক।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ক্যাপ্টেন ড্যান ম্যাজোন বলেন, 'প্লাটুনটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। গিবস সব সময় সুযোগের সন্ধানে থাকতেন। সীমা অতিক্রম করতে চায়_এমন সেনার খোঁজে থাকতেন তিনি।'
দায়িত্ব হস্তান্তর
এদিকে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে বিদেশি বাহিনীর হাত থেকে আফগান বাহিনীর দায়িত্ব গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আফগান সেনা ও পুলিশ বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম শহর হিসেবে নাদ-এ-আলির নিয়ন্ত্রণ ব্রিটিশ বাহিনীর হাত থেকে বুঝে নিতে যাচ্ছে। ব্রিটেনের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকা এ খবর জানায়। আজ বুধবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই আফগান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসবে_এমন ১৭টি জেলার নাম ঘোষণা করবেন বলেও জানায় পত্রিকাটি। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.