আ. লীগ নেতা সামসুর রিমান্ড ও জামিন নাকচ, জেলহাজতে প্রেরণ

মিনবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সামসুল হক ওরফে সামসু মেম্বারের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। গত সোমবার সকালে সাভার থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আবুল হোসেন আমিনবাজারে ছয় ছাত্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বড়দেশী এলাকায় নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সামসুল হককে গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিকভাবে তাঁকে গত ২৮ এপ্রিল সংঘটিত প্রবাসী নজরুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তদন্ত কর্মকর্তা সামসুরের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে তাঁর আইনজীবী রিমান্ড মওকুফ চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।


এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৈয়বুল হাসান গতকাল শুনানি শেষে সামসুরের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাভারের আমিন বাজারে ছয় কলেজ ছাত্রকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা মামলায় সামসুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কি না_জিজ্ঞাসা করলে তদন্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান কালের কণ্ঠকে জানান, গত সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। মামলাটি সিআইডির হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে। সিআইডি সামসুল হককে রিমান্ডের আবেদন জানাবে। সাভার থানা পুলিশ তাঁকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। তিনি আরো জানান, আমিনবাজারে ছয় ছাত্র হত্যা মামলায় এর আগে গ্রেপ্তারকৃত আরেক আসামি সানোয়ার হোসেনের জামিনের আবেদন করা হলে একই বিচারক তা নাকচ করে দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই গভীর রাতে আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামসংলগ্ন কেবলার চরে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের তিন শিক্ষার্থী ও দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ ছয় ছাত্রকে। এ ঘটনায় নিহতদের সঙ্গী আল-আমিন বেঁচে যায়। কথিত ডাকাতির অভিযোগ এনে ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক। অন্যদিকে নিহত ছয় ছাত্র হত্যাকাণ্ডে নিহতদের ডাকাত উল্লেখ করে পুলিশের পক্ষ থেকে ৬০০ গ্রামবাসীকে আসামি করে অন্য একটি মামলা করা হয় সাভার মডেল থানায়।

No comments

Powered by Blogger.