কারাদণ্ড হতে যাচ্ছে বাট-আসিফের

ভিযোগ ওঠার পর থেকেই অস্বীকার করে আসছিলেন তাঁরা দুজনই। লন্ডনের আদালতেও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না সালমান বাট আর মোহাম্মদ আসিফের। লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত এ দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটার। চূড়ান্ত রায় এখনো ঘোষণা করা হয়নি, তবে ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ম্যাচ ফিঙ্ংিয়ের অভিযোগে কারাদণ্ডের শাস্তি পেতে যাচ্ছেন তাঁরা দুজন, এটা প্রায় নিশ্চিত।


আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এক দফা শাস্তি এর আগেই পেয়েছেন তাঁরা, গত বছরের ওভাল টেস্টে ইচ্ছে করে নো বল করার অপরাধে আসিফকে সাত বছর আর তাঁর সতীর্থ মোহাম্মদ আমিরকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে, আর ওই ম্যাচে তাঁদের অধিনায়ক বাট নিষিদ্ধ হয়েছেন ১০ বছরের জন্য। লন্ডনের আদালতে বিচারে বাট আর আসিফকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল প্রতারণা ও ষড়যন্ত্র করা আর সে জন্য অবৈধ অর্থ নেওয়ার অভিযোগে। বাটের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে, ১২ জন জুরি একমত হয়েই রায় দিয়েছেন বাট এবং আসিফ দুজনই প্রতারণার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। তবে এ জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ বাটের বিরুদ্ধেই শুধু প্রমাণিত হয়েছে, যদিও ১২ জন জুরির মধ্যে দুজন এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেছেন। প্রায় ১৬ ঘণ্টা আলোচনা করেও জুরিরা আসিফের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ সম্পর্কে একমত হতে পারেননি। বিচারক জেরেমি কুক তাঁদের আবার আলোচনায় বসতে বলেছেন। জুরিদের অন্তত ১০ জন নিশ্চিত হলেই কেবল অভিযোগ প্রমাণিত হবে।
দুটি অভিযোগই প্রমাণিত হওয়ায় বাটের সাত বছরের জেল হতে পারে। একই শাস্তি পেতে পারেন আসিফও, তবে তাঁর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিযোগটি প্রমাণিত না হলে শাস্তিটা হবে সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল।
এর আগে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের তিন সাবেক অধিনায়ক হানসি ক্রনিয়ে, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ও সেলিম মালিকসহ অনেক ক্রিকেটারই শাস্তি পেয়েছেন, তবে সে শাস্তি ছিল কেবলই ক্রিকেট থেকে নির্বাসন। ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে কারাদণ্ডের শিকার হওয়া প্রথম দুই ক্রিকেটার হতে যাচ্ছেন বাট আর আসিফ। ওয়েবসাইট

No comments

Powered by Blogger.