অনলাইনে রফতানি তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

নলাইনে রফতানি তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার থেকে বাধ্যতামূলকভাবে এ পদ্ধতিতে তথ্য জমা শুরু হয়েছে। ব্যাংকগুলো 'ই-এক্সপি' সফটওয়্যার ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা অপারেশন বিভাগে দৈনিক ভিত্তিতে তথ্য পাঠাবে। সব ব্যাংকের নিজ নিজ শাখা থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তথ্য পাঠানো যাবে। রফতানি প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা বাড়াতে এ পদ্ধতির সূচনা হলো। পর্যায়ক্রমে আমদানি তথ্যও অনলাইনে জমা নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ই-এক্সপি নামে যে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা হয়েছে, সব ব্যাংকই এরই মধ্যে তাতে যুক্ত হয়েছে। তথ্য পাঠানোর পদ্ধতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এরপর বেশ কিছু দিন পরীক্ষামূলক তথ্য সংগ্রহ করে গতকাল থেকে অনলাইন কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমদিন সব ব্যাংকই তাদের তথ্য পাঠিয়েছে। বর্তমানে সব ব্যাংক মিলিয়ে প্রায় ৮৫০টি এডি শাখা রয়েছে। এসব শাখা থেকে রফতানি তথ্য পাঠাতে হবে, যে তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ডাটা সেন্টারে যুক্ত হবে। এ জন্য সব ব্যাংককে আলাদা ই-মেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে তথ্য পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। এ পদ্ধতির পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে কাগুজে পদ্ধতিতেও তথ্য জমা নেওয়া হবে। এভাবে তিন থেকে চার দিন চলার পর একটি পর্যায়ে আর কাগুজে প্রতিবেদন দিতে হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, এ পদ্ধতি সবাই ভালোভাবে বোঝার পর বৈদেশিক লেনদেনকারী সব প্রতিবেদন অনলাইনে জমা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কাস্টমসকেও এ ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। এটি করা গেলে উভয় প্রতিষ্ঠানের তথ্যে কোনো তফাত থাকবে না বলে তিনি মনে করেন। উল্লেখ্য, ২০১০-১১ অর্থবছর বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) রফতানি তথ্যে ২১৯ কোটি ডলারের পার্থক্য দেখা যায়। প্রতি ডলারের বিপরীতে ৭৫ দশমিক ৫০ পয়সা হিসাবে, যার পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।

No comments

Powered by Blogger.