সংবিধান থেকে ধর্মের কালো ছায়াও একদিন মুছে ফেলব : সাজেদা

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মুছে ফেলা হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, সংবিধান থেকে ধর্মের কালো ছায়াও একদিন মুছে ফেলব। এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। জামায়াতকে এ দেশ থেকে চিরতরে বিদায় করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আমরাই গঠন করব।
জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে গতকাল শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি সংসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।


আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান নুর, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে জামায়াত বেগম খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানিদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে, কিন্তু উনাদের সেই চেষ্টা সফল হবে না।
দলের তরুণ নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পার্টি বড় নয়, দলের সিনিয়র নেতাও বড় নয়, আমরাই বড়—আমাদের নেতাদের আজ এমন ভাব। কিন্তু জাতীয় চারনেতা সেরকম ছিলেন না। তাদের জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
রাশেদ খান মেনন সরকারের নানা ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে বলেন, ’৭১-এর সংবিধানের কথা বলা হলেও সংশোধিত সংবিধানে ধর্মীয় রাজনীতি প্রশস্ত করা হয়েছে। আমরা পিছু হটলাম। এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থতা এবং দুর্নীতি ও লুটপাটকে প্রশ্রয় দেয়া আমাদের বিভক্ত ও হতাশ করেছে। আর নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাচারিতা জনগণ গ্রহণ করেনি।
হাসানুল হক ইনু সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সরকারের ‘একলা চলো’ নীতি পরিহার করতে হবে। এবার হারলে চলবে না, আমাদের জিততেই হবে।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, ’৭২-এর সংবিধান অনুযায়ী জামায়াত একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তাদের রাজনীতির সুযোগ করে দেয়া হলো। আসলে এরা কোনো দল নয়, ঘাতক বাহিনী। সেজন্য তাদের অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
জেলা হত্যাকাণ্ডকে দেশীয় ও বিদেশি চক্রের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানান।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপির সাম্প্রতিক রোডমার্চের পর জনসভাগুলোতে জামায়াতের কর্মীদেরই উপস্থিতি ছিল বেশি।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানান।

No comments

Powered by Blogger.