নাসিক নির্বাচনোত্তর সহিংসতা : কাউন্সিলরপুত্রকে যুবলীগ অফিসে আটক : সংঘর্ষে আহত ১৫

নারায়ণগঞ্জ শহরের তল্লা এলাকায় সোমবার রাতে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে অপু ও আল-আমীনকে নারায়ণগঞ্জ দুইশ’ শয্যা হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে।জানা গেছে, ১১নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু কমিশনারের ছেলে বাবু নির্বাচনের কয়েকদিন আগে একই ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী চঞ্চলের মাইক আটক করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করে। তখন ম্যাজিস্ট্রেট চঞ্চলকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।


তখন থেকে চঞ্চল ঝন্টু কমিশনারের লোকজনদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। সোমবার রাতে ঝন্টু কমিশনারের ছেলে বাবু বরফকল মাঠে গরুরহাট দেখতে গেলে চঞ্চল তার লোকজন নিয়ে বাবুকে আটক করে মাঠের পাশের যুবলীগের ক্লাবে নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে ঝন্টুর ভাই মনির কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে যুবলীগ ক্লাবে যায়। সেখানে চঞ্চলের সঙ্গে মনিরের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। একপর্যায়ে চঞ্চলের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে আশপাশের দোকানপাট ভাংচুর করে এবং রাস্তায় যাকে-তাকে এলোপাতাড়িভাবে পেটায়। এতে ঝন্টুর ভাই মঞ্জুর হোসেন, মনির সর্দার, মুদি দোকানদার সেলিম, পথচারী জাহাঙ্গির, আলমগীরসহ ১৫ জন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিবদমান দু’পক্ষই মুখোমুখি অবস্থান করছে। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মজিবর রহমান জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

No comments

Powered by Blogger.