যুবকের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে :অর্থমন্ত্রী

র্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বন্ধ ঘোষিত প্রতিষ্ঠান যুব কর্মসংস্থান সোসাইটির (যুবক) বিনিয়োগকারীদের পাওনা ফেরত দেওয়া হবে। এ বিষয়ে গঠিত স্থায়ী কমিটি কাজ করছে। তারা সালিশি নিষ্পত্তির মাধ্যমে প্রতারিত গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। বিষয়টিপর্যালোচনা করে দেখা হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে স্থায়ী কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম দেখা করেন। এ সময় তিনি কমিশনের পক্ষ থেকে বন্ধ ঘোষিত যুবকের প্রতারিত গ্রাহকদের টাকা সালিশি নিষ্পত্তির মাধ্যমে ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দেন।


সাক্ষাৎ শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, যুবক গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে যে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে তা দিয়ে প্রচুর সম্পত্তি করেছে। এসব সম্পত্তি বিক্রি করে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব। যুবকের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা থাকায় কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থায়ী কমিশনের প্রস্তাবটি যাচাই করে দেখা হবে। সব সময় মামলা-মোকদ্দমা করে দাবি আদায় করা যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সালিশি নিষ্পত্তির মাধ্যমে পাওনা পরিশোধ করা হলে পাওনাদাররা কিছু অর্থ হয়তো কম পাবেন। কিন্তু মামলা করলে তা দীর্ঘ মেয়াদে ঝুলে যায়। প্রতারিত মানুষকে সহায়তা করাই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য। কমিশন চেয়ারম্যান তাকে জানিয়েছেন, পাওনাদাররা টাকা দ্রুত ফেরত পেতে প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করছেন।


কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে কমিশনের সুপারিশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশনের মেয়াদ দু'বছর হলেও ইতিমধ্যে অফিস নেওয়া, লোকবল নিয়োগ নিয়ে ৬ মাস কেটে গেছে। তারা জানিয়েছেন, দু'বছরে কাজ সম্পন্ন করা যাবে না। বিষয়টি ভেবে দেখা হবে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বন্ধ থাকা যুবকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মুহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমকে সদস্য সচিব করে কমিশন গঠন করা হয়। এ কমিশনের সুপারিশ ছিল, দ্রুত স্থায়ী কমিশন গঠন করতে হবে ও কমিশন যুবকের সম্পত্তি বিক্রি করে দুই লাখ ৬৭ হাজার ৩৩০ গ্রাহকের দুই হাজার ১৪৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা পাওনা পরিশোধ করবে। এর আগে যুবকের সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহণ করবে।
এরপর চলতি বছরের ৪ মে যুবকের গ্রাহকদের জমাকৃত অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ এবং তা পরিশোধের পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য সরকার সাবেক যুগ্মসচিব রফিকুল ইসলামকে চেয়ারম্যান করে দুই সদস্যের একটি কমিশন গঠন করে। এ কমিটির একমাত্র সদস্য হচ্ছেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সদস্য মজনুন হাসান। তাদের দু'বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।

No comments

Powered by Blogger.