লস্কর ও জঈশের অর্ধ শত সদস্য বাংলাদেশে আত্মগোপনে- সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্যও রয়েছে by শংকর কুমার দে

ভারত ও পাকিস্তান থেকে তাড়া খেয়ে জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই- মোহাম্মদের অর্ধশতাধিক সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে আত্মগোপন করে আছে। এসব জঙ্গীদের মধ্যে রয়েছে সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য। এসব জঙ্গীর মধ্যে বেশিরভাগই পাকিস্তানের নাগরিক। আফগানিস্তান ও কাশ্মীর ফ্রন্টের মুজাহিদীন যোদ্ধা তারা।


উন্নত প্রযুক্তির অত্যাধুনিক অস্ত্র পরিচালনা, গ্রেনেড-বোমা তৈরি ও হামলায় বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও পারদর্শী। গোয়েন্দা সংস্থা এসব জঙ্গীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করছে। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
ভারতের মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে জঙ্গী হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী লস্কর-ই-তৈয়বার শীর্ষ জঙ্গী আবু জান্দাল ভারতে গ্রেফতার হওয়ার পর সে দেশের তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ সেলের কাছে বলেছে, ভারতীয় লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান জঙ্গী ইয়াছিল বক্তাল আত্মগোপন করে আছে বাংলদেশে। আবু জান্দাল নিজেও গ্রেফতার হওয়ার আগে বাংলাদেশে এসে গেছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ সেলের কাছে জানিয়েছে। আবু জান্দাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলেছে, বাংলাদেশের ঢাকায় ও চট্টগ্রামে আত্মগোপন করে আছে ভারতীয় জঙ্গী প্রধান ইয়াছিন বক্তাল। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এ ব্যাপারে তাকে সব ধরনের সহায়তা করছে। বাংলাদেশের ইয়াছিন বক্তালের আত্মগোপন করে থাকা ছাড়াও অপর দুই শীর্ষ জঙ্গী ইকবাল বক্তাল ও রিয়াজ বর্তমানে অবস্থান করছে পাকিস্তানের করাচীতে। ইয়াছিন বক্তাল বাংলাদেশে অবস্থান করে নিয়মিত ই-মেইল আদান-প্রদান ও ওয়েব সাইটে চ্যাট করছে। আবু জান্দাল সৌদি আরবে থাকার সময়ে তার সঙ্গে নিয়মিত ই-মেইল আদান-প্রদান ও ওয়েব চ্যাট করত বাংলাদেশে পলাতক ইয়াছিন বক্তাল। ইয়াছিন বক্তাল গত কয়েক বছরের ভারতের সকল বোমা বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছে। ডেকান ক্রোনিক্যাল ভারতের অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে সেখানকার গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ সেলের জিজ্ঞাসাবাদের দেয়া তথ্যের বরাত দিয়ে এ খবর জানানো হয়েছে। ঢাকার গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে ডিবি পুলিশ লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য মাওলানা ওবায়দ্ল্লুাহ্কে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেয়া জবানবন্দী অনুযায়ী পাকিস্তানের নাগরিক জইশ-ই-মোহাম্মদের সদস্য রেজোয়ানের বাংলাদেশে অবস্থানের কথা জানতে পেরে তাকে গ্রেফতার করেছিল।
বাংলাদেশ ও ভারতে বড় ধরনের নাশকতা ও হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে। ডিবি পুলিশ এ পর্যন্ত লস্কর-ই-তৈয়বার ৭ সদস্যকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, ঢাকাস্থ আমেরিকা ও ভারতের দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করছিল। এর আগে পাকিস্তানের নাগরিক লস্কর-ই-তৈয়বার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো আবদুল মোতালিবকে গ্রেফতার করার পর জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সেও জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের অর্ধশতাধিক সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। কাশ্মীরী নাগরিক মজিদ বাট মুজাহিদীনকে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রাজধানীর টঙ্গি ও উত্তরা থেকে লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য পাকিস্তানের ৩ নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল ডিবি পুলিশ। লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য মাওলানা মনছুর, মাওলানা ওবায়দুল্লাহকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত জঙ্গীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের অর্ধ শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে অবস্থান করার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্যও আছে। পাকিস্তানের নাগরিক জইশ-ই-মোহাম্মদের সদস্য রেজোয়ান ও নেপালের বিমান ছিনতাইকারী দলের সদস্য বাংলাদেশের নান্নু ওরফে বিল্লালসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএস্আইএর মদতে এতদিন তারা ভারত থেকে কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যুদ্ধ করে আসছিল। মুজাহিদীন হিসাবে আফগানিস্তান ও কাশ্মীরে যুদ্ধে অংশগ্রহণের পর পর পাকিস্তান ও ভারতে তারা জঙ্গী হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান ও ভারতে জঙ্গী হামলায় জঙ্গীদের মদদ জুগিয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। ভারতের পার্লামেন্টে, মুম্বাইয়ে ও অন্যান্য স্থানে এসব জঙ্গীরা হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানী জঙ্গীরা প্রায় প্রতিদিনই হামলা চালাচ্ছে। এসব জঙ্গীদের একাংশ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দীতে পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের জঙ্গীরা তাদের আশ্রয় দিচ্ছে।
আফগানিস্তানের যুদ্ধে বাংলাদেশের যেসব জঙ্গী অংশগ্রহণ করে ফেরত এসেছে তারাও আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে বিদেশী জঙ্গীদের আশ্রয় দিচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থা, র‌্যাব ও ডিবির হাতে গ্রেফতার হওয়া লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মোহাম্মদের সদস্য খুররম, মাওলানা মনসুর আলী, মোতালেব, ভারতীয় জঙ্গী নেতা মাওলানা ওবায়দুল্লাহ, আসিফ রেজা কমান্ডো ফোর্সের আমিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আন্তার্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়ার পর তারা জবানবন্দীতে বলেছে, বাংলাদেশের জঙ্গীদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের সদস্য বিদেশী জঙ্গীরা এখানে এসে ঘাঁটি গেড়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল-কায়েদা, লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মোহাম্মদের সদস্যদের গ্রেফতার করে তাদের দেয়া জবানবন্দী অনুযায়ী জানা গেছে, লস্কর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই-মোহাম্মদের অর্ধশতাধিক জঙ্গী সদস্য ও পাকিস্তানের নাগরিক বাংলাদেশে আত্মগোপন করে তৎপরতা চালাচ্ছে। দেশের ভেতরে ব্যাপক জঙ্গী বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকার ফলে তারা খুব সহজে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারছে না। আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের জঙ্গীদের তৎপরতায় দেশের ভেতরে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঢাকার গোয়েন্দা সংস্থার এক উর্ধতন কর্মকর্তা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছেন,
গ্রেফতার হওয়ার আগে আবু হামজা ভারত থেকে পাকিস্তানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আসে বাংলাদেশে। পাকিস্তানের কন্ট্রোলরুমে বসে মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে জঙ্গী হামলার নিয়ন্ত্রণ করেছে সে। আবু হামজা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে স্বীকার করেছে, বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তান যাওয়ার আগে সে কিছুদিন কলকাতায় অবস্থান করেছে। বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তান যাওয়ার আগে সে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য প্রশিক্ষণ নিতে কাঠমুন্ডু পাঠানো হয়েছিল। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তাকে তাজ হোটেলে জঙ্গী হামলার পর রিসাত আলী নামে পাকিস্তানী পাসপোর্টে পাঠিয়ে দেয়া সৌদি আরবে। গত জুন মাসে তাকে সৌদি আরব থেকে দিল্লীতে পাঠানোর পর গ্রেফতার করা হয় দিল্লীর বিমানবন্দরে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা তাকে মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলসহ ভারতের বিভিন্নস্থানে বোমা হামলা, সন্ত্রাসী কর্মকা-, জঙ্গী তৎপরতা ও হামলার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে সন্ত্রাসী হামলায় আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার ১০ জঙ্গী সদস্য। জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার হয় একমাত্র জঙ্গী আজমল কাসভ। ভারতের আদালত তাকে মৃত্যুদ- দেয়ার পর কনডেমসেল থাকা অবস্থায় গ্রেফতার হল জঙ্গী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী আবু হামজা। আবু হামজার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে লস্কর-ই-তৈয়বার কোন সদস্য আত্মগোপন করে আছে কিনা সেই ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বছর খানেক আগে রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে অভিযান চালিয়ে জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা ও হিযবুল মুজাহিদীনের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে। ভারত ও পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের জঙ্গীরা প্রবেশ করছে এমন খবরের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় আব্দুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ওরফে জিম (৪৫) ও মোহাম্মদ সাফি ওরফে সামিউল্লাহ ওরফে মোস্তাক। মোহাম্মদ সাফি ওরফে মোস্তাক পাকিস্তানী নাগরিক। লস্কর-ই-তৈয়বার একজন সক্রিয় সদস্য বাংলাদেশ হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে গমন করবে। লস্কর-ই-তৈয়বা এর সক্রিয় সদস্য বাংলাদেশী নাগরিক গোলাম মোহাম্মদ ও মোস্তাককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়া গোলাম মোহাম্মদ মাত্র ১৪ বছর বয়সে কাজ করার উদ্দেশ্যে ভারতের কলকাতায় গমন করে এবং সেখানে দিনমজুরের কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে সে জিহাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিগত ২০০০ সালে লস্কর-ই-তৈয়বার পক্ষে কাজ করার উদ্দেশ্যে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর হয়ে পাকিস্তান গমন করে। পাকিস্তানে যাওয়ার পর সে জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং সেখানে ৩ মাসব্যাপী জঙ্গী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। প্রশিক্ষণ শেষে ২০০৩ সালে সংগঠনের নির্দেশে সে ঢাকায় আসে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার গ্রেনেড সরবরাহকারী হিসেবে চিহ্নিত ও লস্কর-ই-তৈয়বার সক্রিয় সদস্য আব্দুল মাজেদ ওরফে মাজেদ ভাটের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ঢাকায় কিছুদিন অবস্থান করার পর মাজেদ ভাটের নির্দেশে সে কলকাতায় যায় এবং সেখানে অবস্থান করে লস্কর-ই-তৈয়বার কর্মকা-ের সমন¦য়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। পরবর্তীতে গত বছর মাজেদ ভাট গ্রেফতার হলে সংগঠনের নির্দেশে সে পুনরায় বাংলাদেশে ফেরত আসে। বাংলাদেশে আসার পর সে বিভিন্ন সময়ে সাতক্ষীরা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনায় অবস্থান করে লস্কর-ই-তৈয়বার সমন¦য়ক এর দায়িত্ব পালন করে আসছিল। লস্কর-ই-তৈয়বার শীর্ষ নেতা শাকিল@ শাহেদ পাকিস্তান থেকে মাজেদ ভাটের স্ত্রীর ভরণপোষণের টাকা তার মাধ্যমে পাঠানো হতো। গোলাম মোহাম¥দ একে-৪৭, স¥াইপার গান ও মর্টার চালনায় বিশেষ পারদর্শী। হিযবুল মুজাহিদীনের সদস্য ও পাকিস্তানী নাগরিক মোস্তাক ১৯৮০ সালে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জন্মগ্রহণ করে। সে ২০০১ সালে জঙ্গী সংগঠন হিযবুল মুজাহিদীনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পাকিস্তানে গমন করে এবং লস্কর-ই-তৈয়বার মোজাফ্ফরাবাদ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে তিন মাসব্যাপী জঙ্গী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।
ঢাকার গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠনগুলোর মেরুদ- ভেঙ্গে গেছে। ভারত বা পাকিস্তান কিংবা যে কোন দেশের জঙ্গীরাই বাংলাদেশে আসুক না কেন তারা এখানে কোন তৎপরতা চালানোর মতো জঙ্গী ঘাঁটির আশ্রয় পাবে না। মাঝে মধ্যেই দেশী ও আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনগুলোর জঙ্গীরা ধরা পড়ছে। দেশে উদ্বিগ্নœ হওয়ার মতো জঙ্গী তৎপরতা নেই। জঙ্গী দেশী বা বিদেশী জঙ্গী সংগঠনগুলোর জঙ্গীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত আছে।

No comments

Powered by Blogger.