শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলে চালের দাম কমে যাবে খাদ্যমন্ত্রী

চালের দাম আর বাড়বে না বলে জানিয়েছেন খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, টিআর, কাবিখা কর্মসূচী শুরম্ন করা হয়েছে। এতে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। আশা করি শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলে চালের দাম কেজিপ্রতি ২/১ টাকা করে কমে যাবে।


বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত ১৫/২০ দিন চালের দাম একটু বেড়েছে। তবে বর্তমানে চালের বাজার আবার নিন্মমুখী। আনত্মর্জাতিক বাজারে চালের দাম বেশি এবং দেশে অস্বাভাবিক শৈত্যপ্রবাহ থাকায় চালের দাম একটু বেড়েছে। দিনে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না পাওয়ায় মিলাররা চাল তৈরি করতে পারছে না। এতে চালের বাজারে একটু চাপ পড়েছে। তবে টিআর ও কাবিখা কর্মসূচী শুরম্ন করায় চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের বাজার আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আমাদের হাতে প্রচুর চাল মজুদ রয়েছে। বর্তমানে সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন চাল/গম মজুদ রয়েছে। আরও আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আসছে। সব মিলিয়ে মজুদের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১৪ লাখ মেট্রিক টন। আমরা প্রতিমাসে ৩ লাখ মেট্রিক টন করে টিআর, কাবিখা কর্মসূচীর মাধ্যমে চাল ছাড়লে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কিন্তু আমরা বুঝে-শুনে তা করছি। এই মুহূর্তে সরকারী গুদাম শূন্য করলে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে পারে। আমরা তাদের সে সুযোগ দেব না। তিনি বলেন, কৃষকদের কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা এই মুহূর্তে ধান-চালের দাম বেশি কমাতে চাই না। তবে ক্রয়ৰমতার মধ্যে রাখা হবে। তিনি বলেন, ধান-চালের দাম বেশি কমালে বোরো চাষে কৃষকরা আগ্রহ হারাতে পারে। আর দাম ভাল থাকলে তারা আরও বেশি জমিতে বোরো আবাদ করবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি চালের দাম একটু বেশি হলেও বিগত ৩/৪ দিন ধরে চালের দাম আর বাড়ছে না। বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। টিআর, কাবিখা কর্মসূচী শুরম্ন করায় চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আশা করি শৈত্যপ্রবাহ শেষ হলে চালের দাম কেজিপ্রতি ২/১ টাকা কমে আসবে। দিনে সূর্যের আলো পর্যাপ্ত না থাকায় মিলাররা ধান শুকাতে পারছে না। এ কারণে চাল তৈরি কম হচ্ছে। আর এতে চালের বাজারে প্রভাব পড়ছে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চালের দাম কমাতে ধানের উৎপাদন খরচ আরও কমিয়ে আনতে হবে। এ লৰ্যে ইউরিয়া সারের দাম আরও কমানো যেতে পারে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের খাদ্য গুদামের সংখ্যা এবং ধারণৰমতা বাড়ানো হবে। এ লৰ্যে বাসত্মবমুখী পদৰেপ নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে মাওয়াতে বিশ্বব্যাংক ৫ লাখ মেট্রিক টন ধারণৰমতার গুদাম তৈরি করে দেবে বলে সরকারকে জানিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের ৪০ শতাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে। বাজারে চালের দাম বেড়ে গেলে তারা বেশি করে ৰতিগ্রসত্ম হয়। এ কথা বিবেচনায় নিয়ে তাদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে।
মন্ত্রী বলেন, এবার অস্বাভাবিক শীতে সারাদেশে এ পর্যনত্ম মোট ২ লাখ ৩০ হাজার ৫শ' পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিগত ১৬ নবেম্বরের মধ্যে বিতরণ করা হয় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫শ' পিচ। উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলাসহ আইলায় ৰতিগ্রসত্ম সাতৰীরা জেলায় ৪ হাজার পিস কম্বল বিতরণের জন্য দেয়া হয়েছে। এর পর শীতের ভয়াবহতা দেখে আরও ৯১ হাজার পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা ও সাতৰীরায় ১২ হাজার পিস কম্বল দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইউএনডিপি আগামী ২/১ দিনের মধ্যে আরও ১ লাখ পিস কম্বল দেবে।

No comments

Powered by Blogger.