সম্মান- জা মা ল আ ব্রো- অনুবাদ : আন্দালিব রাশদী

খাপ্রম্ন শহরে সরকারী হাসপাতালের মর্গের বাইরে একটি দেহবিচ্ছিন্ন মাথা, লম্বা কালো চুল ধুলোয় ঢাকা পড়ছে। ভেতরে মর্গে সুইপার, ডাক্তার, মাছির ভনভন এবং খোলা সত্মন একটি নগ্নদেহ। হাত ভাঙ্গা, মোচড়ে বিকৃত পা-জোড়া।
সিন্ধুর মেয়ে, সিন্ধুর জনগণের কাছে যে সম্মানের প্রতীক আমজনতার চোখের সামনে নির্বসন হয়ে পড়ে আছে, এক ফালি সুতোও নেই গায়ে। বাসনা ও ভীতি মূর্ত হয়ে উঠেছে তার বিস্মিত চাহনি ভেদ করে।

একটি কমনীয় ও সাদামাটা মেয়ে ভালোবাসার বেদীতে আর একটি বলির মেষ। তার গলা কেটে ফেলা হয়েছে, কিন্তু সে তার ভালোবাসার অমর্যাদা করেনি। হাসতে হাসতেই সে বিয়ের ব্রত গ্রহণ করেছে কিন্তু শীঘ্রই এ হাসি দা-কুড়ালের যুদ্ধে পরিণত হয়। তার আঙ্গুলগুলো কেটে ফেলা হয়েছে এবং তার ভালোবাসা হারিয়ে গেছে চিরদিনের জন্য।
তার ভাই বাইরে দাঁড়িয়ে_ যে ভাই তার মত একই মায়ের দুধ খেয়েছে। তাদের রক্তনালীতে একই রক্তের ধারা। এই ভাইটির জন্য তার ছোটবেলায় মেয়েটির প্রার্থনা গীত ছিল_ 'আলস্নাহ আমার ভাই আদিলকে রহম কর।' কিন্তু ভাইটি নির্মম হয়ে উঠে সম্মানের জন্য বোনটিকে হত্যা করেছে। যদিও তার হাতে পুলিশের হাতকড়া, ভাইটির মাথা উঁচু, যেন সে কোন যুদ্ধ বিজয়ী বীর।
মেয়েটির মাও সেখানে। এই মায়ের ওপর তার অঢেল আস্থা, ছুরি ও কুড়ালের আঘাতে তার নিহত হবার নীরব সাৰী। মায়ের অনত্মরে মেয়েটির স্মৃতি জমে আছে_ তার আবোল তাবোল কথা, তার ছোট ছোট আনন্দ ও বেদনা সবকিছু। মেয়ের চাওয়া-পাওয়া সত্যি সত্যিই সে বুঝত।
তার স্বামীর শক্ত, খসখসে জখমপ্রাপ্ত পায়ের গোড়ালি। হাঁটার সময় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। দেখে মনে হয় যে কোনো মুহূর্তে হুমড়ি খেয়ে পড়বে। তার মুখের এক প্রানত্ম থেকে লালা গড়িয়ে পড়ে। বারবার সে মর্গের দিকে তাকাচ্ছে আর চিৎকার করে বলছে, 'সোনা আমার আমি পাঁচ হাজার দিয়ে তাকে কিনেছিলাম।'
এক জোড়া বলদ, দুই খ- জমি এবং নারীর সহিষ্ণুতা নিয়ে হেসেখেলে নেচেগেয়ে মেয়েটি বেড়ে ওঠে। কিন্তু বয়স যখন তার কেবল তের বছর, জীবনের জলতেষ্টা নিভে যায়। তার সাথে শেষ হয়ে যায় ছোটবেলার সব খেলাধুলা।
'আলস্নাহ আমার আদিলকে রহম কর।'
আলস্নাহ তাকে রহম করেছে, এক জোড়া বলদ ও দুই খ- জমির একচ্ছত্র মালিকানা দিয়েছে। আর বোনটির বেলায় তার স্বামীই হয়ে উঠেছে তার ভাগ্যনিয়নত্মা। স্বামীতো সে অধিকার গাঁটের পয়সা দিয়ে কিনেই নিয়েছে।
বিয়ের পোশাক, হাতে মেহেদি সজ্জা, রম্নপার অলঙ্কার_ সব মিলিয়ে সে এত খুশি যে, বারবার মাকে আলিঙ্গন করছিল। সে তো তখনও ছোট। বিয়েটা তার মনে হয়েছে পুতুলের বিয়ের মতই। স্বামীকে ভেবেছে বাবা কিংবা ভাইয়ের মত একজন কেউ। সে যখন স্বামীর সাথে ঘুমোতে যেত মধ্যরাতে লোকজন শুনত তার আত্মচিৎকার এবং তার মুখে স্বামীর হাতের চড় থাপ্পড়ের শব্দ।
তার সব জীবনীশক্তি ও উজ্জ্বলতা শেষ হয়ে গেল। জীবন তার কাছে হয়ে ওঠে গ্রীষ্মের গুমোট রাতের মত কানত্ম ও দুর্বার বোঝা। প্রতিটি সকাল শ্বাসরম্নদ্ধকর এবং প্রতিটি রাত যন্ত্রণাদায়ক।
দু'হাজারে কেনা একটি ক্রীতদাস। তাকে রান্না করতে হয়, ঘরবাড়ি পরিষ্কার করতে হয়, গরম্ন-বাছুরের খাবার যোগাড় করতে হয়, বীজ কেনার ও ফসল তোলার মৌসুমে মাঠে পড়ে থাকতে হয়। সবার ওপর নিজেকে সমর্পণ করতে হয় স্বামীর কাছে, বলপূর্বক তার যৌনবাসনা মেটাতে। প্রস্ফুটিত হবার আগেই তার নারীত্বের সৌন্দর্য নেতিয়ে পড়ল।
দু'বছর পর যখন বাপের বাড়ি ফিরে এল তার চোখ বেয়ে তখন ঝরছে অবিরাম অশ্রম্নধারা। আবেগে কণ্ঠ রম্নদ্ধ হয়ে আসছে তার। ভাইকে দেখে কেঁদে ওঠে এবং তার বাহুতে নিজেকে জড়িয়ে নেয়_ তখন সে ভাই ও স্বামীর পার্থক্যটা বুঝে উঠতে পারে। যখন তার চোখে দেখে একদল বালক ও বালিকা ছেলেবেলার খেলা খেলছে তার অনত্মরের কান্না ভেঙ্গে পড়ে। ঘরের দেয়াল ও দরজার ওপর হাত বুলায়_ যেখানে তার শৈশবের অনেক স্মৃতি। সে কিছুটা সানত্ম্বনা পায়। তার ইচ্ছে হয় পুরনো সেইসব দিনের মতো লাফিয়ে উঠবে, নাচবে, গান ধরবে।
ডানা মেলে ধরার হঠাৎ ইচ্ছে বিদু্যৎ ঝলকের মতো মুহূর্তের জন্য আচ্ছন্ন করে আবার দ্রম্নত মিলিয়ে যায়।
আকাশ মেঘে ঢাকা। পুবের হাওয়ায় তার জামার সামনের ভাগ পতপত করে উড়ছে। একটি অদ্ভুত আবেগ জামার সামনে দিয়ে তার বুকে এবং সেখান থেকে তার হৃৎপি-ে ঢুকে পড়েছে। বৃষ্টির ফোঁটা ঝরছে। সে ঠিক একইভাবে দাঁড়িয়ে। বালক-বালিকারা দৌড়ে পালাচ্ছে, গান গাইছে। বৃষ্টিতে পুরো ভিজে যাওয়ায় জামা শরীরের সাথে লেপ্টে আছে। তার মনে হল যেন সে বৃষ্টির সাথে মিশে যাচ্ছে_ যা তার জীবনেও প্রপাতের সংবাদ নিয়ে আসছে।

তার মহীওয়াল, সমবয়সী বন্ধু বৃষ্টির রূপ ধরে তাকে অাঁকড়ে রেখেছে। তার ঠোঁট দল মেলে আছে, যখন বন্ধুটি তার হাত ধরল, সম্বিত ফিরে পায় মেয়েটি। বিব্রত হয়ে সে ঐ দৃশ্য ছেড়ে পালিয়ে যায়।
তার নির্মল সৌন্দর্য নারীত্ব এবং যৌন আকাঙ্ৰা-নির্মম শক্তির আগুনে সব জ্বলে গেছে। নতুন ভালোবাসার উন্মেষে এগুলো যেন নতুন জীবনের ইজারা লাভ করেছে। স্বামীর নির্মমতায় যে সব অনুভূতি চাপা পড়েছিল বন্ধুত্বের উচ্চ বাহুস্পর্শে আবার তা জাগিয়ে তোলে। তার গানে রক্তিম আভা, শরীর তৃষ্ণার্ত। সে তখন পূর্ণাঙ্গ মেঘ, এই বুঝি ভেঙ্গে পড়ে; সে তখন অগি্নশিখা এখনই পুড়ে ফেলবে এবং নিজেও পুড়ে যাবে।
সামাজিক সংস্কার এবং ভাইয়ের সম্মান তাকে বাধা দিতে পারেনি। উজ্জ্বল গাত্রবর্ণের চোখে সুর্মা টানা, ফ্যাশনদুসত্মর অাঁচড়ানো চুলে মাহীওয়াল যখন পাশ দিয়ে যায়, লজ্জায় সে চোখ নামিয়ে আনে, দোপাট্টা টেনে মুখ ঢাকে। মাহীওয়ালের পৰে তার মনোভাব বোঝার জন্য এটুকুও যথেষ্ট। এটা তার জন্য আনন্দের যে, একজন পুরম্নষ কেবল তার চোখে পড়ার জন্য সাজগোছ করে বের হচ্ছে। তার অনত্মরে ভালোবাসার শিখা যখন জ্বলছে, সে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে দূর দিগনত্মের দিকে। শিখাটাকে যতই অবদমন করার চেষ্টা করছে, ততই বেড়ে উঠছে। দিয়াশলাইয়ের বাক্সভর্তি একটি পুটলি যখন তার কাছে পেঁৗছল_ ভেতরে কাজল, লিপস্টিক ও মিঠাই, তার সমসত্ম শরীরে তখন আগুন। বন্ধুর উপহার।

এই গোপন বিষয়টির কথা মাকে বলল। দু'জন নারীর মধ্যে যখন অভিজ্ঞতা বিনিময় হয় তা স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে যা কিছু গোপন তা প্রকাশ করার মতো। তাদের মধ্যে খাঁটি সমঝোতা। মা মেয়ের মুখম-লে সজোরে চড় কষাল, কঠোর তিরস্কারে মেয়ের মনে আঘাত দিল, কিন্তু দিনশেষে মেয়ের পৰ নিল। মা ও মেয়ের মধ্যে গোপন কিছু নেই।

জীবনের উত্থান ও পতনে যদি কোন সুখের মুহূর্ত থেকে থাকে, সে মুহূর্তগুলো কেটেছে কুঠারের ছায়ার নিচে। মুহূর্তের আনন্দের মূল্য কাউকে দিতে হয় জীবন দিয়ে। হাসি এবং শোক_ এ যেন দেয়া-নেয়া একই কথা।
যখন সে মাহীওয়ালকে দেখতে এল আনন্দে সে আত্মহারা। পৃথিবী তাদের জন্য হয়ে উঠেছে আনন্দধাম। তাদের হৃদয়ে ফুটেছে সহস্র পুষ্প-সতেজ এবং সুঘ্রাণে ভরপুর। সে আর সাধারণ সেই মেয়েটি নেই। গোটা পৃথিবী তার কাছে এক আগন্তুক। যখন সে তার কাছাকাছি হল, মনে হল মোমের মতো গলে গেছে। যখন মাহীওয়াল তাকে স্পর্শ করল সে পিছিয়ে এল। সে তাকে যা দিতে এসেছে তা দিতে পারল না। সে করজোড়ে প্রার্থনা করল চাই, কিন্তু মেয়েটি দিতে পারল না।
ফিরে এসে মায়ের পা অাঁকড়ে ধরল, "আমাকে ঐ পাষ-ের হাত থেকে বাঁচাও।' একই করম্নণ আবেদন জানাল সমাজের মুরবি্বদের এবং অন্য সকলকে। যে তাকে হুল ফোটায় তার সাথে কেমন করে গা এলিয়ে দেবে? তোতা পাখির আদুরে ঠোকর ফেলে ভীমরম্নলের বিষহুল কেমন করে গ্রহণ করবে? কনে পণ হিসেবে যা পেয়েছে, যেন সেটাই সেই হুল। এমন কি নিজের জীবনের হুমকি মেনেও সে চাইল তার বিয়েটা ভেঙ্গে দেয়া হোক।
যেখানে জমি ও নারীর জন্য অবলীলায় ধড় থেকে মাথা ফেলে দেয়া যায়, সেখানে কন্যাদের নিয়ে বাণিজ্য চলে। অমূল্য বলে বিবেচনা করা হলেও কন্যার গায়ে একটি মূল্যের ছাপ লাগিয়ে দেয়া হয়। একটি কন্যার মূল্য যেখানে সাতটি কোরআন পাকের সমান (প্রাচীন আরবে কন্যাশিশু বলি দেয়া ছিল নিত্যকার ঘটনা। এই অপচর্চা বন্ধ করার জন্য নবীজী ঘোষণা করলেন একটি কন্যাশিশু হত্যা করা সাতটি কোরআনপাক-হত্যার সমান), আর তাকে যদি নামমাত্র মূল্যে পাওয়া যায়, কে তাকে তালাক দেবে?
তার স্বামী বলল, আমি এ বিয়ে ভাঙতে যাচ্ছি না, যা হবার হোক। সারা জীবন সে অলস বসে থাকুক, কিছু এসে যাবে না। জমি আর নারী কে ছেড়ে দেয়? সে নিজেকে ধারণা দেয় ব্যাপারটা এত সসত্মা নয়; তাকে যদি মুক্তি দিতে হয় তাহলে সর্বোচ্চ কতটা আদায় করা যায় তার হিসেব কষে।
একদিকে রয়েছে অহংকার, অত্যাচার ও লোভ, অন্যদিকে ভঙ্গুর বন্ধন, নেতিয়ে পড়া লতার মত একটি মেয়ে। জীবনে এই প্রথম যে ভালোবাসার স্বাদ পেয়েছে। মেয়েটি তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তার প্রস্ফুটিত হবার, বিকশিত হবার অধিকার। কিন্তু এ এক দুঃসাহসী কাজ। দু'হাজার টাকা কনে পণের বিনিময়ে যে বিয়ের অঙ্গীকার তা-ই নির্মম শেকল-বন্ধন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার কঠোর তাগাদার কাছে, তার স্বামী পরাভব মানে, তাকে তালাক দিতে সম্মত হয়। তার তো কেবল মুখ দিয়ে কটা কথা বলা।
যদিও নিষ্ঠুর স্বামীর হাতে মেয়েটি বেজায় ভুগছিল, একের পর এক তালাকের শর্ত সে-ই আরোপ করে যাচ্ছে আর গোটা দুনিয়া তার এই অধিকার মেনে নিয়েছে। তার অধিকার এমনই নিরঙ্কুশ যে, মেয়েটির ভাই ও মা পরাজয় মেনে নিয়েছে।
যে কোন মূল্যে তাকে মুক্ত করতে করজোড়ে ভাইকে অনুরোধ করল। চোখ বেয়ে নেমে এলো অশ্রম্নধারা, কিন্তু অশ্রম্ন তো তার দাসত্বের বন্ধন আলগা করতে পারল না।
রায় ঘোষণা করল তার আপন ভাই, 'তাকে চুলে ধরে টেনে এনে স্বামীর কাছে আত্মসমর্পণ করাও।'
দু'হাজার রম্নপীর লোভ যে সামলাতে পারল না, তাকে বলা হলো 'সম্মানিত লোক', তার যার অনুভূতি নিয়ে বাণিজ্য চলল, তাকে বশা হলো 'বাজে' মেয়ে।
সেদিনই শেষ রাত। চরম হতাশা তাকে সম্পূর্ণভাবে অস্থিতিশীল করে ফেলেছে। যখন মাহীওয়াল ইঙ্গিত দিল সে তার সিঁথি বরাবর চার আঙ্গুল তুলে তার স্ত্রী হিসেবে নিজেকে স্বীকার করে নিল। শরীর ও আত্মা একাত্ম হয়ে গেছে। যদিও আগে তাকে তার সাথে নিবিড় হতে নিরম্নৎসাহিত করেছে, এবার প্রতিজ্ঞা করল দেখা করবেই।
প্রণয়ের বেদীতে দেহদান করতে যখন সে বের হল, তার ভাই তাকে ধরে ফেলল। যখন সে বোনটিকে হত্যা করার জন্য কুড়াল তুলল তার বেঁচে থাকার বাসনা তীব্র হয়ে উঠল। তার দোপাট্টা ভাইয়ের গায়ে রেখে বলল, 'ভাইরে, আমাকে মেরে ফেলিস না।'
তার মা হাতে কোরআন নিয়ে দৌড়ে এল। বলল, বাবারে, একটু দয়া কর। আমি কোরআন হাতে নিয়ে তোর কাছে মিনতি করছি।'
তার স্বামী চিৎকার করে উঠল 'সে আমার, সে যাই হোক। সে কলঙ্কিনী হলেও আমি কিছু মনে করব না। কিন্তু তাকে মারবে না। আমি সাবধান করে দিচ্ছি।'
ভাই চিৎকার করে বড় বোনের স্বামীকে বলল, 'চুপ কর, হারামজাদা, এটি নষ্ট মেয়ে মানুষ।'
'আর তোমার কি খবর? এ পর্যনত্ম কয়টা মেয়েকে তুমি নষ্ট করেছ; বল আমাকে, শুনি।'
কোরআন হাতে যে মা দাঁড়িয়েছিল, তাকে ঠেলে সরিয়ে দিল। বোনের মাথা টেনে এনে খুন করার জন্য কুড়াল আঘাতপ্রতিহত করার জন্য বোন হাত উঁচিয়ে ধরল। প্রথমে বিচ্ছিন্ন হল চারটি আঙ্গুল, তারপর মাথা।
তার মা এবং কোরআন রক্তের ছোপে লাল হয়ে গেল। মার সাহায্য নিয়ে বোনের ফিতে খুলে পাজামা টেনে নামাল। তারপর উত্তেজনায় চিৎকার করতে থাকল।
হাসপাতালের মর্গ, ছিন্ন বেনী, ছুরির ঝনৎকার, সুইপার, ডাক্তার, মাছির ভনভন, খোলা সত্মন, বোন, কন্যা ... ।

[জাকাল আব্রো সিন্ধী ভাষার গল্পকার। ভারতীয় সাহিত্য একাডেমি প্রকাশিত 'শর্ট স্টোরিজ ফ্রম পাকিসত্মান' থেকে গল্পটি অনুবাদ করা হয়েছে। সিন্ধী থেকে গল্পটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন এম আসাদউদ্দিন।]

No comments

Powered by Blogger.