ধোনি কোহলি রায়নার ব্যাটে জয় ভারতের- ২৯৬ রান করেও পারল না বাংলাদেশ by জামান তৌহিদ

আইডিয়া কাপ ক্রিকেট সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও হার মানতে হলো স্বাগতিক বাংলাদেশকে। এর ঠিক উল্টোটি ঘটল ভারতের জন্য। বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারায় ভারত। অধিনায়ক মহেন্দর সিং ধোনির ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি, মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বীরত কোহলি এবং অলরাউন্ডার সুরেশ রায়নার হাফ


সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বাংলাদেশের দেয়া ২৯৭ রানের টার্গেট ম্যাচের ১৫ বল হাতে রেখেই টপকে যায় ভারতীয়রা। ফলে আসরের ফাইনালে খেলার সম্ভবনা ভারতের জন্য উজ্জ্বল হয়ে উ্ঠলেও বাংলাদেশের জন্য তা অনেকটাই নিষ্প্রভ হয়ে এল। কারণ প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ম্যাচ হারায় ফাইনাল খেলার জন্য এ ম্যাচ জয় পাওয়া জরম্নরী ছিল বাংলাদেশ-ভারত দুই দলের জন্যই।
শিশির আতঙ্ক_আগের দু'টি ম্যাচেই টসে জিতে তাই ঝুঁকি নেননি শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। পরে ব্যাট করে বাংলাদেশ-ভারত দু'দলের বিপৰেই জয় পায় লঙ্কানরা। গতকাল ভারতের বিপৰে অবশ্য তেমনটা করলেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিব অব হাসান। টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধানত্ম নিলেন শাকিব। কিন্তু তা কি ভাল হলো না মন্দ হলো_হয়ত সে সময়টায় এমন প্রশ্ন ছেয়ে গেছে বাংলাদেশী সমর্থকদের। কিন্তু তামিম ইকাবল এবং ইমরম্নল কায়েসের ৮০ রানে উদ্বোধনী জুটি এমন প্রশ্নকে দানা বাঁধতে দেয়নি ভক্তদের মন। গতকাল দারম্নণ ব্যাটিং করেছেন বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। ভারতীয় বোলারদের ওপর আধিপত্য বিসত্মার করে ব্যাট চালিয়েছেন সাবলীলভাবেই। ইমরম্নল একটু ধীরগতিতেই খেলেছেন, তবে তামিম যেন সেই ২০০৭ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের মূর্তিই ধারণ করেছিলেন ভারতীয়দের বিপেৰ। ভারতীয় পেসার শ্রীশানত্মের বলে গৌতম গাম্ভীরকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৪২ বলে ১০ বাউন্ডারি এবং এক ছক্কার সাহায্যে ৬০ রান করেন তামিম। আরেক ভারতীয় পেসার আশীষ নেহরার বলে বীরত কোহলির হাতে ধরা পড়ার আগে ১০০ বলে ৫ বাউন্ডারি এবং ১ ছক্কায় ৭০ রান করেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে ম্যাচে এসে প্রথমবারের মতো আনত্মর্জাতিক হাফসেঞ্চুরির দেখা পাওয়া ইমরম্নল কায়েস। তামিম-ইমরম্নলের জুটিতে পাওয়া ৮০ রান বর্তমানে ভারতের বিপৰে ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। আগের রেকর্ডটি ছিল তামিম ইকাবল-জাভেদ ওমরের সংগ্রহ ৭৮ রান। গতকালের ম্যাচে মাত্র ১১ ওভারে ওপেনিং জুটি ৮০ রান উপহার দিলেও বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০০ পেরোতে পারেনি মিডলঅর্ডারের ব্যর্থতায়। মোহাম্মদ আশরাফুল (৪৮ বলে ২৯), অধিনায়ক শাকিব আল হাসান (১ বলে ০), রাকিবুল হাসান (৪০ বলে ৩২) এবং মুশফীকুর রহিম (১৩ বলে ৬)- গতকাল বড় ইনিংস উপহার দিতে পারেননি কেউই, বাংলাদেশের স্কোরও তাই ৩০০ পেরোয়নি। উড়নত্ম সূচনার পরও ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে। অবশ্য স্কোরটা আরও কমই হতে পারত যদি-না দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মাহমুদুলস্নাহ রিয়াদ এবং স্পিনার নাঈম ইসলাম বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করতেন। বিশষ করে রিয়াদ ৪৫ বলে ৬০ রানের একটি ইনিংস উপহার দিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহকে ৩০০-এর কাছে টেনে নেন ২৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ২৯৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই হোঁচট খায় ভারত। কুইক সিঙ্গেল নিতে গিয়ে বোলার আব্দুর রাজ্জাকের থ্রোতে রানআউট হন বীরেন্দর শেভাগ। ভারতের সংগ্রহ তখন ১ উইকেটে ২৮ রান। ৪৯ রানের মাথায় গৌতম গাম্ভীরের উইকেট হারায় ভারত। পেসার রম্নবেল হোসেনের বল সরাসরি বোল্ড আউট হন ভারতীয় ওপেনার। দলীয় ৫১ রানে পতন ঘটে ভারতের বিপদের সময ভরসা হয়ে ওঠা যুবরাজ সিংয়ের উইকেটটি। এবারে বাংলাদেশী পেসার সৈয়দ রাসেলের বলে বোল্ড আউট হন যুবরাজ। তবে এরপর আসত্মে আসত্মে ম্যাচ ভারতের অনুকূল নেয় ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দর সিং ধোনি এবং বীরত কোহলির ১৫২ রানের জুটি। ১০২ বলে ৯১ রান করে শাকিব আল হাসানের হাতে কট এ্যান্ড বোল্ড হন কোহলি। তবে সুরেশ রায়নাকে সঙ্গী করে দলকে লৰ্যে টেনে নিতে থাকেন ধোনি।

No comments

Powered by Blogger.