বুক অব ফ্যাক্টস- খামখেয়ালিপনা by আইজ্যাক আজিমভ

 সাংসদ থাকা অবস্থায় আইজ্যাক নিউটনের একমাত্র রেকর্ডকৃত কথা ছিল, জানালা খোলার জন্য একটা অনুরোধ।
 ইংরেজ নার্স ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল, যাঁকে একই সঙ্গে বলা হতো ‘দ্য লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প’, ক্রিমিয়ার যুদ্ধে যুদ্ধাহতদের সেবা করে যিনি বিখ্যাত হন, তিনি যেখানেই যেতেন না কেন সঙ্গে একটি পেঁচা নিয়ে যেতেন।


এমনকি ১৮৫৪ সালে তিনি যখন ক্রিমিয়া গিয়েছিলেন, তখনো তাঁর সঙ্গে পোষা পেঁচা ছিল।
 হেনরি ফোর্ড বিশ্বাস করতেন, ভবিষ্যতে সয়াবিন একটি সম্ভাবনাময় কাঁচামাল হবে। তিনি নিশ্চিত ছিলেন এটাকে বাণিজ্যিকভাবে মূল্যবান বস্তুতে রূপান্তরিত করা সম্ভব হবে। আমেরিকার বিশাল মন্দার সময় ফোর্ড সয়াবিন থেকে তৈরি কাঁচামাল গাড়ি নির্মাণে ব্যবহার করেন। একবার ফোর্ড একটা সম্মেলনে যোগ দিতে যান, যেখানে তাঁর জুতো বাদে পরিধেয় পোশাকের বেশির ভাগই সয়াবিনসামগ্রী থেকে তৈরি ছিল।
 রবার্ট মসেস, যিনি বিশ শতকে নিউইয়র্কের অনেক ব্রিজ, টানেল ও পার্কওয়ের পরিকল্পনাকারী, বিস্ময়কর সত্যি হচ্ছে তিনি কখনোই গাড়ি চালানো শেখেননি।
 চিকিৎসক জেমস বেরি, যিনি পুরুষের ছদ্মবেশে থাকা একজন মহিলা। তিনি রানি ভিক্টোরিয়ার সেনাবাহিনীতে একজন জেনারেল হন। এরপর তিনি মেডিকেল করপেস ঢোকেন এবং একজন সার্জন হিসেবে ৪০ বছর কাজ করেন। সেখানে তিনি হাসপাতালের ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে উন্নীত হন। ১৮৬৫ সালে জেমস বেরির মৃত্যু হলে তাঁর আসল নারী পরিচয় প্রকাশ পেয়ে যায়।
 সাবেক ফরাসি অর্থমন্ত্রী জাঁক নেকার (১৭৩২-১৮০৪) যখন বিপত্নীক হন; তিনি তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহকে একটা পাথরের বেসিন অ্যালকোহলে পূর্ণ করে, তার ভেতর ডুবিয়ে সমাহিত করেন। ওই সমাধিক্ষেত্রের চাবি শুধু তাঁর কাছেই ছিল। ১৮০৪ সালে তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি নিয়মিত স্ত্রীর সমাধি পরিদর্শন করতে যেতেন, মৃত্যুর পর তাঁর নিজের মৃতদেহও ওই বেসিনে সমাহিত করা হয়।
 জন অনস্টন, যাঁর জন্ম ১৮২৩ সালে। আমেরিকার অনেক ক্রো ইন্ডিয়ানকে হত্যার জন্য কুখ্যাত। তিনি বলেন, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর হত্যার প্রতিশোধ নিতেই তিনি ওসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। ক্রো ইন্ডিয়ানরা তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেছিল। তিনি শুধু একজন ইন্ডিয়ানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হতেন না। তাঁর হাতে নিহত ইন্ডিয়ানদের যকৃৎ খাওয়ার জন্যও তিনি কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। যকৃৎখাদক জন অনস্টন নামেই ডাকা হতো তাঁকে। ৭৬ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন জন অনস্টন।
 টমাস আলভা এডিসন প্রথম জীবন থেকেই কানে কম শুনতেন এবং তাঁর হবু স্ত্রীকে মোর্স কোড শেখাতেন। তাঁর হবু স্ত্রী মোর্স কোডে বার্তা আদান-প্রদানে পারদর্শী হয়ে উঠলে, এডিসন তাঁর হাতে টোকা দিয়ে দিয়ে মোর্স কোডের বার্তায় বিয়ের প্রস্তাব দেন। তাঁর হবু স্ত্রীও মোর্স কোডেই জবাব দেন। তাঁদের বিয়ের পরও তাঁরা প্রায়ই মোর্স কোডেই কথা বলতেন। যখন তাঁরা কোনো নাটক দেখতে যেতেন, মিসেস এডিসন তাঁর স্বামীর হাঁটুর ওপর তাঁর হাত রাখতেন এবং নাটকের ডায়লগগুলো মোর্স কোডে তাঁকে জানিয়ে দিতেন।
ভাষান্তর: হাসান খুরশীদ

No comments

Powered by Blogger.