সিসিমপুর- কাকতাড়ুয়া ও ইকরি

টুকটুকি, শিকু, ইকরি ও হালুমকে নিয়ে সিসিমপুরের গল্প। সঙ্গে আছে আরও অনেকে। সবাই মিলে নানা কাণ্ড ঘটায় এখানে, যা জানতে হলেপড়তে হবে।ইকরি মুকুলের ফসলের মাঠে বেড়াতে বেড়াতে একটা কাকতাড়ুয়া দেখতে পেল। সে মুকুলকে বলল, এই মানুষটা এভাবে রোদে দাঁড়িয়ে আছে কেন? মুকুল হেসে বলল, ওটা কাকতাড়ুয়া ইকরি।


ইকরি খুশি হয়ে বলল, কাকতাড়ুয়া! কী সুন্দর নাম। আহা রে! রোদে ওর খুব কষ্ট হচ্ছে!
নিজের ছাতাটা কাকতাড়ুয়ার মাথায় পরিয়ে দিল ইকরি। তারপর তার কালো চশমাটা কাকতাড়ুয়াকে পরিয়ে দিয়ে বলল, এইবার তুমি আরাম পাবে। ইকরির কাণ্ড দেখে মুকুল হাসছে।
ইকরি কাকতাড়ুয়াকে বলল, তোমার পিপাসা লেগেছে? পানি খাবে কাকতাড়ুয়া?
ইকরি পানির ফ্লাস্কটা কাকতাড়ুয়ার মুখে ধরে বলে, খাও খাও... পানি খাও!
কাকতাড়ুয়া চুপচাপ। কোনো কথা বলছে না। ইকরি মন খারাপ করে বলল, কাকতাড়ুয়া কথা বলছে না কেন মুকুল? ও কি কথা বলা শেখেনি, বড় হলে শিখবে?
এইবার মুকুল বলল, ও কথা বলতে পারে না, আর ও বড়ও হবে না।
ইকরি বলল, কেন?
মুকুল বলল, কাকতাড়ুয়ার প্রাণ নেই তাই। ও আসলে কোনো জীব নয়। ও জড়। আমি ওকে এভাবে তৈরি করেছি! আর জড়বস্তু খায় না, কথ বলে না, নড়াচড়া করে না, বড়ও হয় না, নিঃশ্বাসও নিতে পারে না।
ইকরি বলল, মুকুল, তাহলে তুমি ওকে তৈরি করেছ কেন?
মুকুল বলল, আমি ওকে বানিয়েছি আমার ফসলের মাঠ পাহারা দেওয়ার জন্য। তুমি যেমন ওকে মানুষ মনে করেছ, পাখিরাও তেমনি ওকে মানুষ মনে করে। তাই ভয়ে মাঠের ফসল নষ্ট করতে আসে না।
ইকরি ঠোঁটে আঙুল দিয়ে শশশসসস.. করে ফিসফিসিয়ে বলল, আস্তে বলো মুকুল, পাখিরা যদি শুনে ফেলে ও মানুষ না, ওর জীবন নেই, তাহলে আর কাকতাড়ুয়াকে ভয় পাবে না।
মুকুল ইকরির কথায় অবাক হয়ে হেসে ফেলল।

1 comment:

  1. অনেক সুন্দর হয়েছে......

    ReplyDelete

Powered by Blogger.